করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজ‍্যের স্বাস্থ‍্যব‍্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সারা দেশের সঙ্গে আমাদের পশ্চিমবঙ্গেও আছড়ে পরেছে। তার প্রভাবে এই মূহুর্তে রাজ‍্যের স্বাস্থ‍্য পরিষেবা সম্পূর্ণ বেসামাল হয়ে পড়েছে। কারনগুলি খতিয়ে দেখে প্রতিকারের বিধান দেওয়ার চেষ্টায় এই প্রতিবেদন।
২০২০ সালের প্রথম করোনার ঢেউয়ের সময় থেকে এখনকার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কিছু মৌলিক পার্থক‍্য আছে। প্রথমত, এই দ্বিতীয় ঢেউ অনেক অল্প সময়ে বিপুল সংখ‍্যক মানুষকে সংক্রমিত করেছে – অর্থাৎ এর সংক্রমণ ক্ষমতা প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় অনেক বেশী। দ্বিতীয়ত, এই ভাইরাসটি অতি দ্রুত ফুসফুস ও কিডনীকে নষ্ট করার ক্ষমতা রাখে। এর চিকিৎসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হল রেমডিসিভির। পাঁচদিনের কোর্সে ওষুধটি IV পুশ করতে হয়। প্রথম দিকে প্রশাসনের দীর্ঘসূত্রিতার কারনেএর যোগান রাজ‍্যের সরকারী হাসপাতালগুলিতে খুব কম ছিল। সেজন‍্য করোনা রোগীর চিকিৎসায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই আমাদের রাজ‍্য পিছিয়ে পরে। এর দায় রাজ‍্য প্রশাসনের, সঠিকভাবে স্বাস্থ‍্যদপ্তর, বিশেষতঃ স্বাস্থ‍্যভবনের। এরপর আসি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবায়। এই রাজ‍্যে রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা অনেক সময়ই অত‍্যন্ত মারমুখী এবং তারা যখন ডাক্তার ও অন‍্যান‍্য স্বাস্থ‍্যকর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মারধোর করে সেসব এত বছরেও রাজ‍্য সরকার এবং তার পুলিশ বন্ধ করতে ব‍্যর্থ। ফলে, হাসপাতালের চিকিৎসায় work-to-rule এর উপরে যে মানবিক দিক থাকে সেটা অনেক ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত। তবুও বলতে দ্বিধা নেই, ডাক্তার, সিস্টার ও স্বাস্থ‍্যকর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু রাজ‍্য সরকার রাজ‍্যের স্বাস্থ‍্য পরিকাঠামোর মূল সমস‍্যাগুলি সমাধানে ব‍্যর্থ হওয়ায় আজ যখন স্বাস্থ‍্যব‍্যবস্থার উপর করোনা রোগীর অতিরিক্ত চাপ এসে পরেছে, তখন তারা দিশেহারা হয়ে গেছে। এর একটি জ্বলন্ত উদাহরন অক্সিজেনের ঘাটতি। তাহলে আমাদের রাজ‍্যসহ কোন রাজ‍্যেই অক্সিজেনের ঘাটতি থাকার কথা নয়। সারা দেশে অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা দিন প্রতি সর্বোচ্চ ৭৫০০ মেট্রিক টন। এর মধ‍্যে করোনা পরিস্থিতিতে মেডিকেল অক্সিজেনের গড় চাহিদা দিনপ্রতি ৫৫০০ মেট্রিক টন। সুতরাং বাণিজ্যিক কাজে অক্সিজেনের ব‍্যবহার সাময়িক বন্ধ করে অক্সিজেনের যথাযথ বন্টন ব‍্যবস্থা চালু রাখলে অক্সিজেনের অভাব হওয়ার কথা নয়। আসলে সমস‍্যা অন‍্য জায়গায়। সেটা হল অক্সিজেন বহনকারী সিলিন্ডারের ঘাটতি। সাধারণত দরকারের থেকে ১৫-২০% অব্দি বেশী সিলিন্ডার মজুত রাখা হয়। সেজন‍্য চাহিদা হটাৎ বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় এই ঘাটতি। সুযোগ বুঝে একশ্রেণীর অসাধু ব‍্যবসায়ী অক্সিজেন সিলিন্ডারের কালোবাজারী শুরু করেছে; কেউবা বাণিজ্যিক কাজে (ওয়েল্ডিং সহ ) এই অক্সিজেন ব‍্যবহার করছে। এর জন‍্যই অক্সিজেনের ঘাটতি। এগুলো রাজ‍্য সরকারের দেখার কথা। তারা এই কাজে এখনো অব্দি ব‍্যর্থ। আবার একই সাপ্লাইয়ের অক্সিজেন ফ্লো-রেগুলেটারের সাহায‍্যে কয়েকজন রোগীকে দেওয়া যায়। অবশ‍্য এই ব‍্যবস্থা সাময়িক আর এতে অক্সিজেনের ব‍্যবহার কম হয় না। কিন্তু সাময়িক অক্সিজেন ঘাটতির সময় রোগীদের বাঁচিয়ে রাখার জন‍্য এই ব‍্যবস্থা জরুরী। খবরে দেখলাম, ফ্লো-রেগুলেটার খারাপ থাকায় এক সরকারী হাসপাতালে দুজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অবশ‍্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন‍্য কথা বলেছেন। আমরা প্রতিদিন সংবাদ মাধ‍্যম মারফৎ জানতে পারছি দিল্লী, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় অক্সিজেনের অভাবে কত মানুষ মারা যাচ্ছেন। করোনার প্রথম আক্রমণের সময় যেমন রাজ‍্য প্রশাসন মৃত ও আক্রান্তের হিসেবের গোলমালে জড়িয়ে গিয়েছিল, এবারেও আবার দেখছি অক্সিজেনের অভাবে নাকি মানুষ এই রাজ‍্যে মারা যাননি। অথচ রাজ‍্যবাসীর অভিজ্ঞতা ভিন্ন। এই অতিমারীর মোকাবিলায় আমাদের রসদ পর্যাপ্ত নয় – সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আন্তরিক চেষ্টা ও সততা নাথাকলে তা অপরাধ।
আমাদের স্বাস্থ‍্যদপ্তর শুধু যে অক্সিজেনের কালোবাজারী রুখতে ব‍্যস্ত তাই নয়, ওষুধের কালোবাজারীও দেদার চলছে। হার্টের সমস‍্যায় কিছু রোগীকে atrial fibrillation আটকানোর জন‍্য একটি ওষুধ rivaroxaban। এটির ১৪ ট‍্যবলেটের পাতার এমআরপিতে দাম ১২০ টাকা। ওষুধটি অনেক জায়গায় করোনা রোগীদের দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বাজারে এই ওষুধটি আর পাওয়া যাচ্ছেনা। বহুগুণ বেশী দাম দিলে পরিচিত দোকানে মিলছে!
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা জানাচ্ছি – যদিও এমন ঘটনা আমাদের রাজ‍্যে আকছার ঘটছে। সোদপুরের সুভায়নী হাসপাতালে একজন করোনার রোগী মারা গেলেন। নিম্ন মধ‍্যবিত্ত পরিবারের ঐ রোগীর জন‍্য হাসপাতালে একলক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন। তারপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব‍্য, পুরো বিলের তিনলক্ষ আঠারো হাজার টাকা না দিলে মৃতদেহ ছাড়া হবে না! এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্য‍্যন্ত (ত্রিশ ঘন্টা) মৃতদেহ আটকে রাখা হয়েছে। প্রশাসন কি করছে? সরকার এ ব‍্যপারে শুধু ‘অ‍্যডভাইসারি’ জারি করছ! অ‍্যডভাইসারি প্রাইভেট স্বাস্থ‍্যকেন্দ্রগুলি শুনলেও মানতে আইনত বাধ‍্য নয়। সরকার ‘বিজ্ঞপ্তি’ জারি করলে তারা সেটা মানতে বাধ‍্য। এই দ্বিচারিতা কিন্তু গোপন আঁতাতের সন্দেহ তৈরী করে।
যখন সাধারণ মানুষজন সবাই জানেন যে প্রথম ঢেউয়ের পর করোনার মত RNA ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসা সময়ের অপেক্ষা মাত্র, তখন সরকারের তথাকথিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সরকারকে কি পরামর্শ দিয়েছিল? আমরা দেখলাম, প্রথম ঢেউয়ের প্রকোপ কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে সরকারী, বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের জন‍্য নির্দিষ্ট বেড এবং সর্বোপরি পরিকাঠামো বন্ধ করেদেওয়া হতে লাগল। অথচ এই সময় দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন‍্য তৈরী হলে – পরিকাঠামোর আরো উন্নতি করলে, এই বিপর্যয় অনেকটাই এড়ানো যেত। এর সঙ্গে উৎসবের মরসুমে সংযম দেখানো মানুষদের কাছে বিনোদনের সকল উপকরণ, সিনেমা হল, রেষ্টুরেন্টে, শপিং মল, ক্লাব, সুইমিংপুল, চিড়িয়াখানা এমনকি পর্যটন ও হোটেলগুলিও দেশের অর্থনীতির দোহাই দিয়ে খুলে দেওয়া হল! এগুলো রাজ‍্য সরকার অত‍্যন্ত ভুল কাজ করেছে যার খেসারত এখন জনসাধারণকে দিতে হচ্ছে। একজন পরামর্শদাতাও কিন্তু পরিকাঠামো আরো মজবুত করার কথা বললেন না। এরপর ট্রেন, মেট্টো, বাস, অটো সমেত সমস্ত গণপরিবহণের উপর থেকে সব রকমের বাধানিষেধ তুলে নেওয়া হল! হ‍্যাঁ, ইতিমধ্যে সাধারণ নির্বাচনে রাজনীতির মিটিং, মিছিল, জমায়েত দ্বিতীয় ঢেউয়ের দ্রুত ছড়িয়ে পরতে সাহায্য করল। এখন রাজ‍্যে দৈনিক সংক্রমণের সংখ‍্যা বিশ হাজারের উপর। দৈনিক মৃত্যু তিনশো থেকে সাড়েতিনশোর মধ‍্যে। মনে রাখতে হবে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরীক্ষার হার অন‍্য রাজ‍্যের তুলনায় কম।
এমনকি করোনা রোগীর মৃত্যুর পরেও শান্তি নেই। সরকার সৎকারের নিয়ম আর মূল‍্য বেঁধে দিয়েছে! কিন্তু এখানে এসব খাতায় লেখা থাকে। মানুষের অভিজ্ঞতা অত‍্যন্ত খারাপ। একভদ্রমহিলা টিভিতে জানিয়ে ছিলেন তাঁর আত্মীয়ের সৎকার করার জন‍্য তাঁকে কিভাবে খেপে খেপে ত্রিশ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এম্বুল‍্যান্স থেকে, শববাহী গাড়ি থেকে, ডোম অব্দি, সব জায়গায় মানুষ তোলাবাজির শিকার। মর্গ থেকে দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন‍্য দশ থেকে পঁচিশ হাজার, যে কোন রকম টাকা চাওয়া হচ্ছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন‍্য দায়ী করোনা ভাইরাসের পরিবর্তিত জিন মিউটেশান – এটি সব RNA ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য যার ফলে ভাইরাসের চরিত্রগত কিছু পরিবর্তন হতে পারে। এখন যে কথাটা প্রায়শঃই শোনা যায় – ডাবল মিউট‍্যান্ট, ট্রিপল মিউট‍্যান্ট ভ‍্যরিয়েন্ট ইত‍্যাদি। আমাদের দেশে এখনো অব্দি নয় রকমের মিউটেট করা করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। ভাইরাসের ধর্ম বোঝা যায় তার জিনোম সিকোয়েন্সিং অনুধাবন করলে। এই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে একবার পরিবর্তন হলে তা সিঙ্গল মিউট‍্যান্ট, দুবার হলে ডাবল মিউট‍্যান্ট, তিনবার হলে ট্রিপল মিউট‍্যান্ট ইত‍্যাদি। এইভাবে পরিবারের যে আলাদা রকমের ভাইরাস তৈরী হয়, তাদের ভ‍্যরিয়েন্ট বলে। আর এই ভ‍্যরিয়েন্টগুলি যখন তাদের ধর্মের পরিভর্তন ঘটিয়ে সংক্রমণ ক্ষমতা, মিউটেশান ক্ষমতা, সণাক্তকরণ ক্ষমতা (যার উপর ভ‍্যাকসিনের কার্যকারিতা নির্ভর করে) ইত‍্যাদির পরিবতন করে তখন তাদের বলে আলাদা স্ট্রেইন। আমাদের দেশে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সবচেয়ে বেশী সংক্রমণ পাওয়া গেছে দুটি স্ট্রেইনের – ব্রিটেন স্ট্রেইন (B.1.1.7), এছাড়া E484Q এবং L424R এই দুটি ভ‍্যরিয়েন্টের সংমিশ্রণে উৎপন্ন ডাবল মিউট‍্যান্ট স্ট্রেইন – এটির সংক্রমণ ক্ষমতা অন‍্যদের তুলনায় কয়েকশোগুণ বেশী। এছাড়া সাউথ আফ্রিকা স্ট্রেইন, ব্রাজিল স্ট্রেইন, অষ্ট্রেলিয়া স্ট্রেইন, ক‍্যলিফোর্ণিয়া স্ট্রেইন ইত‍্যাদিও পাওয়া গেছে। আমাদের রাজ‍্যে এখনো অব্দি একটি ট্রিপল মিউট‍্যান্ট ভ‍্যরিয়েন্ট স্ট্রেইন পাওয়া গেছে (B.1.618)। এর দ্রুত সংক্রমণ করার ক্ষমতা এবং replication ক্ষমতার জন‍্য এটি মারাত্মক রূপ ধারন করেছে। যত বেশী ভ‍্যরিয়েন্টের স্ট্রেইন পাওয়া যাচ্ছে, তত আমাদের বায়োটেকনোলজির জ্ঞানে বোঝা যাচ্ছে, এই স্ট্রেইনগুলির ভ‍্যাকসিনকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতাও ততই বাড়ছে। নতুন নতুন স্ট্রেইনের জন‍্য নতুন নতুন ভ‍্যকসিনের আবশ‍্যকতা অবশ্যই আছে।
এবার আসি এই রাজ‍্যের ভ‍্যকসিনেশানের কথায়। এখনো অব্দি প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে দেশে সতেরো লক্ষের মত মানুষের টীকাকরন হয়েছে। যদি দুটি ডোজের সম্পূর্ণ টীকাকরনের হিসাব ধরা হয়, তবে ১% মানুষের টীকাকরন শেষ হয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্য‍্যন্ত এককোটি বিশলক্ষের মত টীকা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ টীকাকরনের হার ০.৫% মাত্র। কিন্তু এই রাজ‍্যে সবচেয়ে বড় সমস‍্যা হল অনুপ্রাণিত আদেশনামা। এই পরিস্থিতিতে যখন প্রায় সব কিছু লকডাউনের পর্যায়ে চলে গেছে তখন, ১লা মে পরবর্তী টীকাকরনের ক্ষেত্রে সরকারী আদেশ হল, সব বেসরকারী টীকাকেন্দ্রে টীকা ব‍্যবস্থা তুলে দিয়ে শুধু সরকারী হাসপাতাল, সরকারী স্বাস্থ‍্যকেন্দ্রে এবং পৌরসভা দ্বারা টীকাকরন করতে হবে। এমনকি যারা প্রথম ডোজ বেসরকারী স্বাস্থ‍্যকেন্দ্রে নিয়েছেন, তাদেরও এই সরকারী ব‍্যবস্থার মধ‍্যে দিয়ে যেতে হবে। আবার ১৮+ বয়েসের মানুষদের টীকাকরন শুরু হয়েছে। সুতরাং টীকাকরনের সংখ‍্যা অনেক বাড়বে। এদিকে টীকাকরনকেন্দ্রের সংখ‍্যা কমবে। আমরা যুবা-বৃদ্ধ নির্বিশেষে একই লাইনে দাঁড়িয়ে গুঁতোগুঁতি করে টীকা নেব! হয়ত যারা টীকা নেবেন তাদের অনেকেই করোনা সংক্রমণ ফ্রি পাবেন। অথচ যে মানুষছন অল্প কিছু কনভেনিয়েন্স ফি দিয়ে আগের মত বেসরকারী স্বাস্থ‍্যকেন্দ্রে টীকা নিচ্ছিলেন, সেই ব‍্যবস্থাটা চালু রাখলেসরকারের কি অসুবিধা ছিল তা আমাদের অজানা।
পরিশেষে বলি, করোনা রোগীর চাপে এমনিতেই হাসপাতালের পরিকাঠামো চাপের মধ‍্যে। এখন যদি ডেঙ্গু, ফ্লু ইত‍্যাদির বাড়বাড়ন্ত হয় (বর্ষাকাল আসছে), তবে অন‍্য রোগীরা আমাদের রাজ‍্যে চিকিৎসা পাবে কি করে সেটা যেন প্রশাসন মাথায় রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *