ভুতের মতন চেহারা যেমন
নির্বোধ অতি ঘোর –
যা কিছু হারায়,CBI বলে
কেষ্টা ব্যাটাই চোর।
‘দিদি’র সবচেয়ে অনুপ্রাণিত ‘ভাই’, মাথায় অক্সিজেন (পরুন বুদ্ধি) কম যাওয়া, শ্রীমান কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মন্ডল যখন গ্রেপ্তার হন, তখন আমি ব্যস্ত ছিলাম বনগাঁ সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশ বর্ডারে আমাদের দেশের অতন্দ্র প্রহরী বিএসএফের জওয়ানদের রাখি পরানোর অনুষ্ঠানে। সেখানে বহু সাধারন মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠান দেখতে। অনুব্রতর গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে মানুষের মধ্যে যে স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ দেখা গেল তার সাথে তুলনা করা যেতে পারে১৯৭১ সালে পূর্ববঙ্গের (অধুনা বাংলাদেশ) পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পনের খবরে আনন্দ প্রকাশের সঙ্গে। মানুষের মুড দেখে মনে হচ্ছিল, রাম-রাবনের যুদ্ধে যেন কুম্ভকর্ণের পতন হল। শুধু বীরভূম নয়, সারা পশ্চিমবঙ্গ যেন এক দুঃশাসনের থেকে মুক্ত হল! ‘দিদি’র অনুগৃহীত সংবাদ-মাধ্যমগুলি পর্যন্ত টিআরপি নষ্ট হওয়ার ভয়ে এই গ্রেপ্তারীর সংবাদ যথেষ্ট উল্লাস, উৎসাহের সঙ্গে পরিবেশন করতে বাধ্য হল।
অনুব্রত মন্ডল বীরভূমের অলিখিত মনসবদার ছিলেন বললেও ভুল হবে – তিনি এই জেলার সরকারি প্রশাসন, পুলিশ ও তাঁর দলের সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান মানুষ ছিলেন! সেখানে দেশের আইনের শাসনের জায়গায় অনুব্রতীয় আইনশাস্ত্র অনুযায়ী শাসন ব্যবস্থা মানতে জেলার মানুষকে বাধ্য করা হয়েছিল। আইন না মেনে হুঙ্কার, প্রশাসনকে বোম মারা ও মিথ্যা মামলা সাজানোর প্রকাশ্য হুকুম দেওয়া তাঁর কাজের অঙ্গ হিসেবে পরিচিত। প্রশাসন ও দলীয় কর্মীদের দ্বারা তাঁর আজ্ঞা পালনে বীরভূমে রাষ্ট্রের শাসন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপর যিনি বলেন যে এই শিশুসূলভ সরল মানুষটির কি অপরাধ ছিল তা তিনি জানেন না – তখন সেই ব্যক্তির অভিনয় দক্ষতার প্রশংসা করেও তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার সম্পর্কে সন্দেহ জাগে। আমি মনে করি, এই স্থূল বুদ্ধির মানুষটির উচ্চাশা ও লোভের সুযোগ নিয়ে তাকে ব্যবহার করা হয়েছে। যে বা যারা তাকে ব্যবহার করেছে তারা সকলেই কিন্তু কেন্দ্রীয় অনুসন্ধানকারী সংস্থার র্যাডারে ধরা পড়বে। এ সবই অভিযোগ – প্রমাণের দায়িত্ব অনুসন্ধানকারীদের। যদিও অদম্য “অনুপ্রেরনা” বলতে পারেন যে তিনি অনুব্রতকে আগেই চিনতে পেরেছিলেন – কারন তিনিই প্রথম বি-জ্ঞান ভিত্তিক তত্ত্ব “ওর মাথায় অক্সিজেন কম যায়; কথাটা বুঝতে হবে” – বলেছিলেন। আসলে অক্সিজেন বলতে মহান মানুষজন বুদ্ধি বোঝেন! এই বুদ্ধি নিয়েই তিনি জেলার সব অবৈধ কাজকর্মে মদত দিয়েছেন এবং তোলা তুলেছেন – গরু পাচার, বৈধ-অবৈধ বালি খাদানের তোলা, পাথর খাদানের তোলা, গেস্ট-হাউস ও মেলা-হাটের থেকে তোলা, সবেরই বন্দোবস্ত করেছেন। মাননীয়ার কাছে অনুরোধ, তিনি যেন বিদায় বেলায় তাঁর এই আদরের ভাইটিকে তোলাশ্রী বা তোলাভূষণ সম্মানে ভূষিত করেন!
এবার আসি এই কান্ডের অন্দরে সত্যের সন্ধানে। একটু লক্ষ্য করলে এখানে পার্থ-কান্ডের সঙ্গে যে তফাৎ দেখা যায় তা হল, পার্থ অনেকটা ছুপা-রুস্তম কায়দায় অপারেশন চালালেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির অমোঘ অঙ্গুলিহেলনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পার্থর ব্যাপারে সমস্ত সূত্র মারফৎ সঠিক খবর পেয়ে অপারেশন-পার্থ সাফল্যমন্ডিত করেছে। কিন্তু অনুব্রত-কান্ডে সেই অদৃশ্য শক্তি অন্যভাবে অপারেশান চালিয়েছে। কারন,অনুব্রতর বুদ্ধির গোড়ায় “অক্সিজেন” কম থাকায় সে নিজেই অফুরন্ত সূত্র রেখে দিয়েছে যা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বিশেষ তদন্তসাপেক্ষে জানতে হয়নি! এখানে দাবার সবচেয়ে বড় বোরে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের গ্রেপ্তারী। অনুব্রতর লম্ফঝম্প, বীরভূমের প্রশাসন ও পুলিশের আচরণ যা জমিদারদের খাস চাকরের মোসাহেবীকেও হার মানায়; ‘দিদি’র আশীবাদের হাত মাথায় থাকা – এসব থেকে বেরিয়ে এসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যেভাবে কাজ করেছে,তা প্রশাসনের আইএএস ও আইপিএস মহল পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারেনি। মনে রাখতে হবে, এই অনুসন্ধানকারী সংস্থাদ্বয় কেন্দ্রীয় সংস্থা হলেও তারা কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা এই তদন্তে নিয়োজিত হয়নি। এক্ষেত্রে তাদের রিপোর্টিং অথরিটি হল উচ্চ আদালত। তাই কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপির এই অনুসন্ধানে কোন হস্তক্ষেপ করার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও যেটা সত্যি তা হল, দীর্ঘ সময় রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় থাকা “কেন্দ্রে দোস্তি, রাজ্যে কুস্তি” নীতির সফল রূপকার সিপিএম সেটিং তত্ত্ব অবতারণা করে ভবিষ্যতে “টালির চালা” বা “শান্তিনিকেতন”কে সমর্থনের সুযোগ বজায় রাখছে। এ রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা রাজনীতিকরা তাদের ঔদ্ধত্যের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে রাজ্যের জনগণকে গরু-ছাগলের পাল মনে করেন! তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল, তারা মিছিল করে ‘অনুসন্ধানে’ কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ করছে; একই সঙ্গে তাদের তিন মন্ত্রী উচ্চতর আদালতে আবেদন করেছে – তাদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীণ সম্পত্তির ব্যাপারে যেন ইডি অনুসন্ধান না করতে পারে! ভারি অদ্ভুত আব্দার – চুরি করলে দোষ নেই, কিন্তু দেশের সংবিধান অনুযায়ী তার তদন্ত যে সংস্থার করার কথা, তাকে তদন্ত করতে দেব না! বোধহয়, এমন পরষ্পর বিরোধী কার্যকলাপ এরাই করতে পারে এবং এরা জনগণকে কতটা মূর্খ ভাবে তা এদের হাস্যকর আন্দোলনের মধ্যেই বোঝা যায়।
যাক এসব কথা। আমার প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার নিরিখে বলতে পারি, বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রতর যে এমন অবস্থা হতে যাচ্ছে তা তার বশংবদ এবং ‘দিদি’র খাস ভৃত্য প্রশাসনিক কর্তারা জানতেন না – তা অসম্ভব। তবে, মোদ্দা কথা হল, প্রমাণ সব আগেই ছিল। কিন্তু বারুদের স্তুপে আগুন কে লাগালো? লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে, CBI এর modus operandiতে কোন নতুনত্ব নেই। শুধু পুরাতনভৃত্যর মস্তিষ্কের নিরেট অংশের সুযোগ নিয়ে তার পরামর্শদাতারাই তাকে ডুবিয়েছে। পার্থ-কান্ডের পর SSKMএর ডাক্তাররা আর শাসকদলের অভিযুক্ত VVIP চোর বদমাইশদের বিনোদন এবং বিশ্রামস্থল হতে দিতে পারবেন না – উচ্চ আদালতের তীক্ষ্ণ নজর আছে। কাজেই অনুব্রতর ‘অসুস্থ নাটক’ এর চিত্রনাট্য বদলের প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া অনুব্রতকে দশবার সাক্ষ্য দিতে ডাকলেও একবারের তরে সে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়নি। একবার হাজিরা দিয়েই অসুস্থতার অজুহাতে বেরিয়ে গিয়েছিল! তারপর শেষবার বোলপুরের সরকারি হাসপাতালের সুপার ও ডাক্তারকে অনুব্রতর বাড়ি গিয়ে মিথ্যা অসুস্থতার শংসাপত্র দিতে ‘বাধ্য’ করা হল! এমনভাবে কেস সামনে এল যে, CBIকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করার ক্ষমতা যেন অনুব্রতর আছে! এটা পরিষ্কার, অনুব্রত এই নাটকে এক নিরেট বুদ্ধির আকাট চরিত্র। কিন্তু তার পরামর্শদাতারা কারা? সেই প্রশ্নের উত্তর পেলেই অনুব্রতর উইকেটের চিরতরে পতন নিশ্চিত হবে। সারদা-কান্ডে গ্রেপ্তারী, এমনকি উচ্চপদস্থ IPSকে জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টার বিরুদ্ধে রাজ্যের “অনুপ্ররনা” যেভাবে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন, তার ছিঁটেফোটাও এবার দেখা গেল না। তার কারন একটাই – দলের এবং প্রশাসনের রাশ পুরোপুরি “অনুপ্রেরনা”র হাতে নেই, অনেকটাই আলগা হয়ে গেছে। কিন্তু তিনি নিজের বিরুদ্ধে ত আর আন্দোলন করতে পারেন না – স্নেহ অতি বিষম বস্তু; বিশেষতঃ রক্তের সম্পর্কের মধ্যে। সুতরাং কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে ‘দিদি’র বড় ভরসা কেষ্টর উইকেট পড়ার পেছনে আরেক “শান্তিনিকেতন”এর থেকেই বারুদের স্তুপে দিয়াশলাই কাঠি জ্জ্বালানো হয়েছে বলে অনুমানের যথেষ্ট কারন আছে। মুসল পর্বে এখন “টালির চালা”র সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দী হল একই অঞ্চলের “শান্তিনিকেতন”। আমি এইসব ঘটনার শুরু থেকেই বলে আসছি, রাজ্যে দল ও প্রশাসনের রাশ কার হাতে থাকবে বা যাবে তার লড়াই চলছে। তবে, দুই গোষ্ঠীর কুশীলবরা তাদের নির্বুদ্ধিতায় “খেলা হবে”র নেপথ্য খেলা জনসাধারনের কাছে প্রকাশ করে দিচ্ছে। আস্তাকুঁড়ের পাশে পড়ে থাকা দলের এক ছাঁটমালকে বাজারী মাধ্যম “বুদ্ধিজীবী” তকমা দিয়ে দম দেওয়া টাট্টুঘোড়ার মত রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছে! তার বুদ্ধির একটি উদাহরণ – দলের এক পথসভায় তিনি সরবে তাঁর নবতম আবিষ্কার ঘোষণা করেছেন! পার্থর “বান্ধবী”র বাড়ি থেকে নাকি ৪০ কোটি নয়, ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে! এবং বাকী ৬০ কোটি টাকা নাকি ইডির অফিসাররা পকেটে পুরেছেন! অঙ্গভঙ্গী সহকারে তিনি উপস্থিত গুটি কয়েক শ্রোতাকে বলছেন! এমন আজগুবি স্ক্রিপ্টে অভিনয় বোধহয় সিনেমার সেরা কমেডিয়ানরাও করতে পারবেন না! এই রকম অজ্ঞ, চতুষ্পদীয় সমতুল বুদ্ধির সেনাপতি থাকলে হাগিস পরিহিত রাজনীতিবিদ যুবরাজের পর্যন্ত যুদ্ধজয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকে কি! এই “বুদ্ধিজীবী” নেতার সিজার লিষ্ট তৈরীর পদ্ধতি সম্বন্ধে বিন্দুমাত্রও ধারনা নেই। উনি বোধহয় ওনাদের লুঠের বখরা কাড়াকাড়ির পদ্ধতির অভিজ্ঞতার সঙ্গে বিষয়টা গুলিয়ে ফেলেছেন! আবার তিনি পার্থর হয়ে সাফাই দেওয়ার বদলে তাকে আরো গাড্ডায় ফেললেন! এদিকে বীরভূমের বেতাজ বাদশার গ্রেপ্তারের পর কিছু সাধারণ নাগরিক তার গাড়ি লক্ষ্য করে জুতো দেখাচ্ছিলেন, যা বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদের একটি ভাষা। তার বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে তৃণমূলের প্রবীন সাংসদ যিনি নাকি তথাকথিত “অধ্যাপক”, বললেন, এ লোকগুলোর গায়ের চামড়া দিয়ে নাকি ওনার পায়ের জুতো তৈরী করাবেন! আবার “অনুপ্রেরনা” যেমন ডিজিটাল মাধ্যমকে কুকুর বলছেন, তেমনি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে তুই-তোকারি করছেন! এই দলটির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি দেখে বাঙ্গালী হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। পুলিশ, প্রশাসনের নিস্তব্ধতায় মনে হয় তারাও দিশাহারা!
এভাবে তৃণমূল দলের মূষল যুদ্ধে যে ভাবে “টালির চালা”র নেতৃত্ব এবং তাঁর দলবল প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে, তাতে মনে হয় যেন – চোরের মায়ের বড় গলা! চুরির অভিযোগ করা যাবে না, তার অনুসন্ধান করা যাবে না, সরকারি টাকা খরচের কোন হিসাব দেবে না – এরা কি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক? অবশ্য এসব প্যানিক প্রতিক্রিয়া হতেও পারে! কারন, আমরা জানি, শ্রমিক মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে তা রাণী মৌমাছির কাছে জমা রাখে। রাণী নিজে কোন মধু সংগ্রহ করে না। এভাবে যদি অনুচর নেতৃত্ব বার্তা দিতে থাকে, তাহলে বলতে হবে, “টালির চালা” অপেক্ষা প্রথম দু রাউন্ডে “শান্তিনিকেতন” এগিয়ে গেছে।
সুতরাং, আরো উইকেট পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখানে বলা দরকার, “টালির চালা”র কাছের নেতা-নেত্রীরাও কিন্তু তেমনভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের ঝড় তোলেননি। দলের কিছু তৃতীয় সারির খুচরো নেতা-নেত্রী ছাড়া নিয়ম রক্ষার মিছিলে কোন হেবি ওয়েট নেতার দেখা মেলেনি! শুধু “অনুপ্রেরনা” নিজে এবং কিছু লাইট ওয়েট নেতা, নেত্রী, যাদের উইকেট অদূর ভবিষ্যতে পরার সম্ভাবনা নেই, সংবাদ-মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে হাস্যকর রকমে পার্থ ও অনুব্রতকে সমর্থন করছেন। “অনুপ্রেরনা” বলছেন – কেষ্টকে কেন গ্রেপ্তার করা হল – কি তার অপরাধ! এ বিষয়ে জনসমক্ষে প্রশ্ন তুলে তিনি শিশুসুলভ অজ্ঞতার অভিনয় করছেন – পশ্চিমবঙ্গবাসীর দুর্ভাগ্য। কিন্তু “শান্তিনিকেতন” গ্রুপের কেউ এখনো পর্যন্ত এই দুই অভিযুক্ত অপরাধীর পক্ষে কিছু বলেননি। তৃণমূল যখন দল হিসেবে “জিরো টলারেন্স”এর কথা বলে; আবার একই সঙ্গে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব কেষ্টর গ্রেপ্তারের কারন না জানার ভান করেন, তখন এই ধরনের দ্বিচারিতা দলের চরম অবক্ষয়ের ইঙ্গিত দেয়।
জানিনা, এই লেখা ছাপার আগে আরো উইকেটের পতন হবে কিনা। তবে, একটা কথা নির্দিধায় বলা যায়, “টালির চালা” বনাম “শান্তিনিকেতনের এই লড়াইয়ের প্রথম পর্যায়ে “শান্তিনিকেতন” শুধু যে এগিয়ে আছে তাই নয়, দলের প্রায় পূর্ণ কর্তৃত্ব তার নিয়ন্ত্রণে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দলে এবং প্রশাসনে “টালির চালা”র ক্ষমতা খর্ব হতে বাধ্য। এই তৃণমূল দলটি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দল ও সরকারি প্রশাসনের মধ্যে বিভেদ রেখা তুলে দিয়ে প্রশাসনকে দলের অধীনে এনে দলকে সরকারি প্রশাসনের উপরে প্রতিষ্ঠা করে! তাই, মুষল যুদ্ধের পর্বে দলের আভ্যন্তরীন সংঘর্ষের সঙ্গে প্রশাসনিক অরাজকতাও বাড়বে।
অনুব্রত কান্ড পরবর্তী খেলা হবে আতঙ্ক
