আমআদমি পার্টির কাছে পশ্চিমবঙ্গের মাটি কতটা ঊর্বর

পাঁচ রাজ‍্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে কয়েকটি বিষয় পরিষ্কারভাবে রাজনীতির আঙ্গিনায় উঠে এসেছে। চার রাজ‍্যে বিজেপির জয় এবং কেন্দ্রশাসিত দিল্লীর বাইরে প্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ রাজ‍্য পাঞ্জাবে আপের উত্থান। তারপরই উচ্ছসিত আপ নেতৃত্বের ঘোষণা – পশ্চিমবঙ্গ তাদের পরবর্তী রাজনৈতিক টার্গেট। তখন থেকেই বাঙ্গালীদের আপ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার কথা শুরু হয়েছে! আপের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বলার মত সময় এখনো না এলেও এ বিষয়ে আলোচনা হতেই পারে। প্রথমে বলতে হয়, আপ (আম আদমি পার্টি) গঠনতন্ত্র ও সংগঠনে অন‍্য আঞ্চলিক দলগুলির থেকে আলাদা কিছু নয় – যেমন অন‍্য আঞ্চলিক দলগুলি একজন সুপ্রিমো দ্বারা চালিত হয়, তেমনি আপও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল।
কে এই অরবিন্দ কেজরিওয়াল? ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের অফিসার কেজরিওয়াল আই আই টি খড়্গপুর থেকে মেকানিক‍্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংএ বি টেক পাশ করার পর ১৯৯৫ সালে ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসে (ইনকাম ট‍্যাক্স) যোগ দেন। চাকরীতে তিনি বিভিন্ন কারনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন

এবং তিনি ২০০৬ সালে চাকরীতে পদত‍্যাগ করলেও তা মামলা-মকদ্দমার পর ১৯১১ সালে গৃহীত হয়। চাকরী জীবনেও কেজরিওয়ালের চাকরী অপেক্ষা সামাজিক ন‍্যায়ের জন‍্য লড়াই করার প্রবণতা অনেক বেশী লক্ষ‍্য করা যায়। চাকরী করার সময় কেজরিওয়াল কখনোই সরকারী আধিকারিকের চাকরীর প্রতি যে বিশ্বস্ততা দেখানোর কথা তা দেখাননি। তিনি আন্না হাজারের ‘সরকারীস্তরে এবং রাজনীতিতে দূর্ণীতি’র বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হন। সেখানে সহযোগী হিসেবে পান সহকর্মী মণীশ শিশোদিয়াকে। তারপর বিভিন্ন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দূর্ণীতির বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন শুরু করেন দিল্লীতে। সরকারের right to information (RTI) বিল পাশ করাতে তাঁর আন্দোলন যথেষ্ট গুরুত্ব দাবী করে। কিন্তু, তারপর দুটি NGO পরিচালনার ব‍্যাপারে (যার একটি নন-রেজিষ্টার্ড) এবং আরো কয়েকটি ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালের সাদা জামায় কালির ছিটে লাগে। আন্না হাজারের অরাজনৈতিক, সামাজিক আন্দোলনের মধ‍্যে দিয়ে যার সামাজিক প্রতিষ্ঠা, সেই কেজরিওয়ালের পুরো লড়াই রাজনীতির ময়দানে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন‍্য – এই উদ্দেশ‍্য যখন সামনে এলো তখন শুধু যে তিনি আন্নার থেকে সরে গেলেন তাই নয়, তাঁর আন্দোলন রাজনৈতিক সততার পরাকাষ্ঠা আর থাকলো না। যে অচলায়তনের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই, তিনি সেই অচলায়তনেরই অংশ হয়ে গেলেন। কেজরিওয়াল জনলোকপাল বিলের খসড়া তৈরীর কমিটিতে থাকলেও এবং প্রথমদিকে আন্না হাজারে, অরুন্ধতী রায়ের মত সমাজ-জীবনে দূর্ণীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা মানুষরা তাঁর সঙ্গে সাথ দিলেও পরে কেজরিওয়ালের NGOতে ফোর্ড ফাউন্ডেশান সহ বিদেশী এজেন্সির ফান্ডিং করার ব‍্যাপারে কেজরিওয়াল কোন সঠিক ব‍্যখ‍্যা না দিতে পারার কারনে তাঁরা কেজরিওয়ালের বিরোধীতা করেন।
এত কথা বলার উদ্দেশ‍্য একটাই। যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে জানতে গেলে মমতা ব‍্যানার্জীর কর্মপদ্ধতি জানতে হবে, তেমনি কেজরিওয়ালের কর্মপদ্ধতি জানলে আপের কর্মপদ্ধতি জানা যাবে। মমতা ব‍্যানার্জী ও কেজরিওয়ালের মধ‍্যে মিলের জায়গাটা হল, দুজনেই জন-আন্দোলনের ভিত্তির উপর রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন এবং দুজনেই ব্ল‍্যাকমেলিংয়ে সিদ্ধহস্ত। রাজনৈতিক প্রয়োজনে প্রতিশ্রুতির খেলাপ দুজনের রেকর্ডেই আছে! শুধু মমতা ব‍্যানার্জী প্রথম থেকেই রাজনীতির আঙ্গিনায় আছেন আর কেজরিওয়াল অরাজনৈতিক, দূর্ণীতি বিরোধী আন্দোলনে পরিচিতি পেয়ে রাজনীতির আঙ্গিনায় তার ফসল তুলেছেন। যে রাজনৈতিক ভন্ডামী ও অসততার বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করে নেতৃত্বের দাবীদার হয়েছেন, পরবর্তী সময়ে সেই ভন্ডামী ও অসততার পরিকাঠামোর মধ‍্যে তিনি মধু আহরনের অন্বেষণে মনোনিবেশ করেছেন। নিঃসন্দেহে এটি সুচারুভাবে পরিকল্পিত দ্বিচারিতার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
প্রশ্ন উঠতে পারে, পরপর দুবার দিল্লীতে কেজরিওয়ালের আপ কিভাবে অভূতপূর্ব সাফল‍্য পেল। এ ব‍্যাপারে বলতে হয়, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কেজরিওয়ালের অবস্থান বদল য়থেষ্ট কার্যকরী হয়েছে। কেজরিওয়ালের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দী বিজেপি এবং কংগ্রেস সর্বভারতীয় দল হওয়ায় সব ইস‍্যুতে তারা সহজে নিজেদের অবস্থান বদল করতে পারেনা – এটা সব সর্বভারতীয় দলের ক্ষেত্রেই হয় – তাদের নীতির স্বচ্ছতা বজায় রাখার বাধ‍্যবাধকতা থাকে। বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে জাতীয় কংগ্রেস যত পিছিয়ে পড়েছে ততই তারা জেহাদী ও মৌলবাদী শক্তি এবং দেশবিরোধী কম‍্যুনিষ্টদের হাত ধরেছে। তার ফলে, শিক্ষিত, শান্তিপ্রিয় ভারতীয় মুসলমানদের অসহায়তা বেড়েছে এবং তাতে বিজেপির ও আঞ্চলিক দলগুলির লাভ হয়েছে। কারন, সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলি দেখলে বোঝা যায় যে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্বিমুখী। এক্ষেত্রে মুসলিম ভোট বিজেপির বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলির পক্ষে গিয়েছে। এই আঞ্চলিক দলগুলি প্রায় সকলেই কপট ইসলামপ্রেমী ‘সেকুলার’ ভেকধারী। এভাবেই দিল্লীর বিধানসভা ভোটে আপের সমর্থনে মুসলিম ভোট প্রায় একচেটিয়াভাবে পড়েছে কারন এই ভোটারদের কাছে অন‍্য অপশান ছিলনা! অন‍্যদিকে দিল্লীতে কেজরিওয়ালের দূর্ণীতি বিরোধী ইমেজ আপের পক্ষে হিন্দু মধ‍্যবিত্তদের একাংশের ভোট পেয়েছে যা দিল্লীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ‍্য – ভারতের অন‍্য জায়গায় তার প্রভাব পড়ার কথা নয়। আবার ‘ফ্রি সার্ভিস’ দেওয়ার যে টেকনিক আপ দেখিয়েছে, যেমন বিদ‍্যুত, জল – এসবের জন‍্য নিম্নবিত্তদের অধিকাংশ সমর্থন আপের দিকে গেছে। এখানে মনে রাখতে হবে, কেন্দ্রশাসিত দিল্লী বিধানসভার ক্ষমতা ও গন্ডি অনেক সীমিত। সে তুলনায় পাঞ্জাব বিধানসভা একটি পূর্ণাঙ্গ রাজ‍্যের এবং তার ক্ষমতার গন্ডি অনেক বেশী। পাঞ্জাবের পুলিশ প্রশাসন, পঞ্চায়েত ও কৃষি প্রশাসন কেজরিওয়ালের আপের কাছে এক নতুন পরীক্ষা।
আপের পাঞ্জাব বিধানসভার নির্বাচনে অভুতপূর্ব সাফল‍্যলাভের ব‍্যাখ‍্যা যারা করছেন তাঁদের অধিকাংশের ব‍্যাখ‍্যাই পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ায় সঠিক কারন বলা হয়নি। আপের এই জয়ের কারন কিন্তু দিল্লীর নির্বাচন জয়ের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। দিল্লীর শাসন ক্ষমতায় থাকার সুবাদে আপ নেতৃত্বের সঙ্গে জেহাদী ও কম‍্যুনিষ্ট ‘টুকরে গ‍্যাং’য়ের যোগাযোগ ছিলই। এদের একটি নীতি খুব পরিষ্কার – ম‍্যাকিয়াভেলীর তত্ত্ব অনুযায়ী এরা শত্রুর শত্রুকে বন্ধু হিসেবে জড়িয়ে ধরে। সেভাবেই এরা দিল্লীতে বিজেপি বিরোধী শক্তিশালী রাজনৈতিক দল আপের পক্ষে ভোট করেছে। পাঞ্জাবের খেলা আবার অন‍্যরকম। দিল্লীর প্রান্তে দীর্ঘদিন ধরে চলা তথাকথিত কৃষক আন্দোলনের সময় প্রকাশ পায় যে এই আন্দোলন শুধু ভারত বিরোধী জেহাদীশক্তি ও কম‍্যুনিষ্টদের মদতেই নয়, এই আন্দোলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল আরেক ভারত বিরোধী শক্তি – খালিস্তানীরা। খালিস্তানীদের কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উপর রাগের সবচেয়ে বড় কারন হল, বর্তমানে বাতিল হওয়া কৃষি আইন। এই আইনের ফলে সংগঠিত ও ক্ষমতাশালী কৃষক লবির কৃষিপণ‍্যের মূল‍্য ও বন্টন ব‍্যবস্থার উপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ বন্ধ হচ্ছিল। আমরা জানি যে, খালিস্তানী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে পাঞ্জাবের এই কুলাক শ্রেণী। কেজরিওয়াল ও আপ এই কৃষক আন্দোলনকে খুল্লামখুল্লা সমর্থন করায় এই শ্রেণী দেখল বিজেপির সঙ্গে থাকা শিরোমণি অকালি দল অপেক্ষা আপ তাদের অনেক কাছের। তারা বিভিন্ন কারনে কংগ্রেসের উপরেও অসন্তুষ্ট ছিল। অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সরকারী প্রশাসনকে দূর্ণীতিমুক্ত করার ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলো। যদি কৃষক আইনের জন‍্য জনসাধারনের বিরূপতা বিজেপিকে সইতে হত তা হলে, যেখানে এই আন্দোলন হয়েছে সেই উত্তরপ্রদেশে বিজেপি এত সংখ‍্যাগরিষ্টতা পেত না। পাঞ্জাবের ভোট নিয়ন্ত্রণ করেছে খালিস্তানী শক্তি। আমার অভিমত হল, এখান থেকেই আপের আসল পরীক্ষা শুরু হল। কারন, রাজ‍্যে ক্ষমতা দখল করেই দূর্ণীতি উপড়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে – সেই দূর্ণীতিগ্রস্ত ব‍্যবস্থার অংশীদার হয়ে – ক্ষমতার অলিন্দে বসে ভারতে কোন রাজনৈতিক দল সফল হয়নি। তাছাড়া, পাঞ্জাবে আপের প্রধান পৃষ্ঠপোষক খালিস্তানী শক্তিও দূর্ণীতি দুর করার ব‍্যাপারে আগ্রহী নয়। এই খালিস্তানীদের চাপ আপ সরকারের উপর ক্রমশঃ বাড়তে থাকলে কত দূর পর্যন্ত তা সামাল দেওয়ার দক্ষতা আপ দেখায় সেটাও পর্যবেক্ষণ করার ব‍্যাপার। এর অবিসম্বাদী ফল হল, দু বছর বাদে আপের জনপ্রিয়তায় ভাঁটার টান আসতে বাধ‍্য।
এবার আসি কেজরিওয়াল তথা আপের পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ঘোষিত প্রবেশের সম্বন্ধে কিছু কথায়। পশ্চিমবঙ্গে গত সাতান্ন-আটান্ন বছর ধরে পাঁচ-ছয় রকম স্তরে নির্বাচনে রিগিং হয়ে আসছে। এখন ত পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনও সন্দেহের ঊর্ধে থাকেন না! একমাত্র ২০১১ সালে এখানে রিগিং করেও শেষরক্ষা করা যায়নি। অন‍্য রাজ‍্যের থেকে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন একদম আলাদা। এই দীর্ঘ সময়ে সব সময়, একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে সর্বদা শাসকদলের (যখন যে দল ছিল) প্রার্থী জিতেএসেছে। সুতরাং, এখানে শাসক রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নির্বাচন জেতা অসম্ভব। বিশেষত পঞ্চায়েত ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন, যার দায়িত্ব রাজ‍্য নির্বাচন কমিশনের – সেই নির্বাচনগুলি কতটা নির্বাচন ও কতটা অন‍্য কিছু – তা সময়ের দলিলে লিপিবদ্ধ থাকছে। এমতাবস্থায়, আপের দুই প্রধান অস্ত্র, অনুদান ও দূর্ণীতি দূরীকরণ, পশ্চিমবঙ্গে কাজ করবে না। কারন, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্ণধার মমতা ব‍্যানার্জীর অনুদান নীতি, তার নাটকীয় ঘোষণা ও তাঁবেদার বাংলা সংবাদ-মাধ‍্যমগুলির প্রচার – এতকিছুর সঙ্গে আপ পাল্লা দিতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সুদীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস ও দূর্ণীতিগ্রস্ত প্রশাসনের সঙ্গে এ রাজ‍্যের মানুষ এতটাই পরিচিত যে, আপের প্রচার নতুন করে তাঁদের মনে দাগ কাটতে পারবে না। বিশেষতঃ অরুন্ধতী রায়রা আগেই কেজরিওয়ালের NGOতে বিদেশী অনুদানকে কাটমানির পর্যায়ে ফেলে দেওয়ায় আপ মমতা ব‍্যানার্জীর নিজের মাঠে তাঁর স্টাইলে খেলতে এলে তাদের পরাজয় অবশ‍্যম্ভাবী। হয়ত প্রথমবার বলে NOTAর সমসংখ‍্যক ভোট আপ পেতে পারে! সব রাজ‍্যের সব মানুষই যে অনুদানজীবি – তা ভাবার কারন নেই। সেজন‍্য পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টাকা লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুদানের জন‍্য তৃণমূল জিতেছে ধরে নিলে বলতে হয়, গোয়ায় ৫০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতেও সেখানে তৃণমূলের খাতা না খুলতে পারার কারন কি? আসলে প্রতিটি রাজ‍্যের পরিস্থিতি, চাহিদা ভিন্ন। পাঞ্জাবে খালিস্তানি ফ‍্যাক্টর কাজ করেছে। সেই ফ‍্যাক্টর ইউপিতে না থাকায় সেখানে কাজ করেনি। পশ্চিমবঙ্গে বিশেষতঃ মহম্মদ সেলিম সিপিএমের রাজ‍্য সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় এবং মমতা ব‍্যনার্জীর ” দুধেল খাই” নীতির প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, পশ্চিমবঙ্গের জেহাদী মুসলিম ভোট আপের দিকে যাওয়ার কোন কারন নেই।
সুতরাং, আপের সর্বাধিক বৃদ্ধি হয়ে গেছে। অন্ততপক্ষে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে অদূর ভবিষ‍্যতে তার রাজনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবণা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *