এই অমানিশা আর কতদিন

একটি আত্মঘাতী জাতি কতদিন তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে? হ‍্যাঁ, বাঙ্গালী জাতির কথাই বলছি। স্বাধীনতাপূর্ব সময় থেকে পশ্চিমবঙ্গের এবং তার সঙ্গে পূর্ববঙ্গের মানুষের উপর বারবার অত‍্যাচার, অবহেলা ও বঞ্চনার অভিশাপ ঝরে পড়েছে। ১৮৮০র সময় থেকেই বাঙ্গালী যুবশক্তির একটি বড় অংশ সশস্ত্র পদ্ধতিতে বৃটিশের অত‍্যাচারের প্রতিদান হিংসার মাধ‍্যমে দেওয়ার শপথ গ্রহণ করে। এই বাঙ্গালী বিপ্লবীরা মোটামুটি দুটি দলে – অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর – বিভক্ত ছিল। যখন বৃটিশ শাসককুল বিপ্লবীদের কাজকর্মে ব‍্যতিব‍্যস্ত বোধ করতে লাগল, ইতিহাস বলে, গান্ধীজি তাঁর অতিরিক্ত হাইপ তোলা গণআন্দোলন – অসহযোগ – শুরু করলেন। গান্ধীজি কখনো বিপ্লবীদের শাসক-বিরোধীতাকে সমর্থন করেননি, বরং সক্রিয় বিরোধীতা করেছেন। তিনি তাঁর কাজের মধ‍্যে দিয়ে বাঙ্গালীদের, তাঁর ধারনাপ্রসুত ‘ভারতীয়ত্ব’-এর বাইরে রাখার চেষ্টা করেছেন। ফলশ্রুতিতে তাঁরই শিষ‍্য জওহরলাল নেহরু স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে বারবার বাঙ্গালীদের তথা পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বঞ্চনার চেষ্টা করেছেন। এমনকি “দি গ্রেট ক‍্যালকাটা কিলিং” এবং “নোয়াখালী হিন্দু গণহত‍্যা”র পরে প্রতিনিয়ত যখন পূর্বপাকিস্তান থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল সংখ‍্যক হিন্দু শরণার্থীর আগমন শুরু হল, তখন জওহরলালের নেতৃত্বে কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার পঞ্জাবের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের শরণার্থীদের সঙ্গে বিমাতৃসূলভ আচরন করেছেন – এসবের ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে। ফলে, বিশেষতঃ পূর্ববঙ্গ থেকে আসা শরণার্থী পরিবারগুলির মনে কংগ্রেস দলের প্রতি প্রতিকুল মনোভাব জন্ম নেয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে কংগ্রেস কখনো তা দূর করার চেষ্টা করেনি।
আবার পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালী মুসলমানদের কথা বলতে গেলে বলতে হয়, বাঙ্গালী – হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে কখনো ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা বিষে আক্রান্ত ছিল না। যেহেতু, সব বাঙ্গালী মুসলমানই হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়েছিল, তাদের কৃষ্টি, সভ‍্যতা, কথাবার্তা সবই একরকম। আরবী কৃষ্টি, আচার-আচরণ তাদের অজানা ছিল। সেকারনে এই বাঙ্গালী মুসলমানদের আরবী মুসলমানরা নীচুজাত (সাচ্চা মুসলমান নয়) মনে করত! পশ্চিম পাকিস্তানের উর্দুভাষী মুসলমান শাসকেরা যখন বুঝল যে, পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালী মুসলমানদের বেশীদিন দাবিয়ে রাখা যাবে না, তখন তারা চরম সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কার্ড খেলল। একই দল, মুসলিম লীগের জিন্নার নেতৃত্বকে চ‍্যালেঞ্জ জানানোর জন‍্য অধিকতর মুসলমান দরদী সাজার চেষ্টায় থাকা হোসেন সুরাবর্দীর নেতৃত্বে “দি গ্রেট ক‍্যালকাটা কিলিং” ও “নোয়াখালী গণহত‍্যা”র মধ‍্যে দিয়ে হিন্দু-বিদ্বেষের মাপকাঠিতে পাকিস্তানের শীর্ষ নেতা হতে চেয়েছিলেন। একাজে ধর্মীয়স্থান মসজিদগুলিকে ব‍্যবহার করে এবং মসজিদের মৌলানা, মৌলভীদেরও এই কাজে যুক্ত করেন; এরা সাধারণ মুসলমানদের মধ‍্যে হিন্দুদের উপর বিদ্বেষ জাগাতে অগ্রণী ভূমিকা নেন। যে সাধারন বাঙ্গালী মুসলমানরা বাংলা ছাড়া অন‍্য ভাষা জানতেন না, তাদেরকে কোর-আন থেকে বেছে বেছে খন্ডিতভাবে বিভিন্ন সুরার অপব‍্যাখ‍্যা করে মৌলভীরা হিন্দু-বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন। আর্থিক সাহায‍্য ও ইন্ধন আসে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে। হিন্দু বিতাড়নও গণহত‍্যার পর পশ্চিম পাকিস্তানের প্রভূত্ব পূর্ব পাকিস্তানের গলায় ফাঁসের মত চাপ বাড়াতে থাকে। ফলে, ১৯৬৯ সাল থেকেই শুরু হয় আন্দোলন, হিংসা, আবার হত‍্যালীলা, ধর্ষণ। এই সময় পূর্ব পাকিস্তানে রমনা কালী মন্দির সহ অজস্র মন্দির ধ্বংস করা হয়। সার্বিকভাবে হিন্দুরা বাঙ্গালী মুসলমানদের তুলনায় অনেক বেশী নির্যাতিত হন। তারপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর সক্রিয় সাহায‍্যে পাকিস্তানী উর্দুভাষী হানাদারদের হটিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হয়। কিন্তু, ঐ যে মসজিদ থেকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর সেট-আপ, সেটা বহল থাকে। তার সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষার নামে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে অজস্র মাদ্রাসা তৈরী হয় – যাদের হিন্দু-বিদ্বেষের আঁতুরঘর বলা যেতে পারে। এসবের ফলে দুই বাংলাতেই বাঙ্গালীদের নিজেদের মধ‍্যে সুদূরপ্রসারী ঘৃণা ও হিংসার বাতাবরণ তৈরী করার চেষ্টা করা চলল – যা এখনো চলছে। এর ফলে কার লাভ আর কার ক্ষতি, তা পর্যালোচনা করলেই আমরা এর কারন জানতে পারব।
প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের কথায় আসি। পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালীদের সুদীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাসে আরেকটি কথা বলা দরকার। যে উদ্বাস্তু পরিবারগুলির সক্রিয় সমর্থনের উপর ভিত্তি করে কম‍্যুনিষ্টরা তীব্র গণআন্দোলনের মাধ‍্যমে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলো, সেই মানুষদের সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়ণের কোন চেষ্টাই তারা করেনি। উপরন্তু, ১৯৭৯ সালে মরিচঝাঁপিতে পুলিশের সহায়তায় কম‍্যুনিষ্টরা হতভাগ‍্য উদ্বাস্তুদের গণহত‍্যা সংঘটিত করে তাঁদের স্থায়ীভাবে কম‍্যুনিষ্ট তথা সিপিএমের স্থায়ী বিরোধী করে তোলে।আবার, যখন উদ্বাস্তুদের বিপুল সংখ‍্যার চাপে রাজ‍্যের অর্থনীতি বিপর্যস্ত, সেই ৫০-৬০এর দশকে কংগ্রেস,কম‍্যুনিষ্ট নির্বিশেষে উদ্বাস্তুদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের আদি বাসিন্দাদের ক্ষেপিয়ে তোলার কাজ করা হয়! শুধু হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ নয়, “ঘটি-বাঙ্গাল” ভেদও তৈরী করা হল! এমন একটি ভাব যেন, এই “বাঙ্গাল”গুলো এদেশে উড়ে এসে জুড়ে বসে এখানকার সম্পদে অনধিকার ভাগ বসাচ্ছে! তারপর বাম জমানায় নতুন শিল্প ত দুরস্ত্, চালু শিল্পগুলিও শ্রমিক আন্দোলনের অজুহাতে বন্ধ করে দিতে লাগল! তখন কম‍্যুনিষ্ট দলগুলির যারা সর্বভারতীয় নেতৃত্বে ছিলেন, তাঁদের নিজেদের রাজ‍্য – পাঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কেরালাতে এভাবে পাইকারী হাযে চালু শিল্প বন্ধ করা হয়নি! অর্থাৎ, বাম শ্রমিক আন্দোলন প্রতিটি রাজ‍্যের ক্ষেত্রে আলাদা! অবাঙ্গালী কর্মচারীরা তাঁদের নিজ নিজ রাজ‍্যে ফিরে গেলেও এই রাজ‍্যের বাঙ্গালী শ্রমিকদের অবস্থা হল শোচনীয়। এদিকে, অপারেশন বর্গার কারনে একলপ্তে এই রাছ‍্যে বড় ছমি না পাওয়ায় উন্নতমানের আধুনিক চাষাবাদ করাও এখানে সম্ভব হল না। কম‍্যুনিষ্টরা পশ্চিমবঙ্গে সমবায় আন্দোলনকেও সমর্থন দেয়নি। ফলে, চাকরীর বাজার রাজ‍্যে খুব সংকুচিত হয়েপড়ল। আবার সরকারী চাকরীতে জাতিগত সংরক্ষণের জন‍্য শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কারনে বাঙ্গালীর মধ‍্যে জাতিগত বিদ্বেষের সূচনা হল। মনে রাখতে হবে, বাঙ্গালীর মধ‍্যে জাতিগত অশ্পৃশ‍্যতা কখনো ছিল না।
আবার, পূর্ববঙ্গ অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তান, অধুনা বাংলাদেশের সাধারণ বাঙ্গালী মুসলমানদের মধ‍্যে আধুনিক শিক্ষার আলো যাতে সহজে প্রবেশ করতে না পারে তার চেষ্টা উর্দুভাষী মুসলমানরা প্রথম থেকেই করে আসছে। এর দুটি উদ্দেশ‍্য : এক, অশিক্ষিত মানুষকে শোষণ করা সহজ; দুই, এদের মাদ্রাসা শিক্ষায় রাখলে জেহাদী বানানো সহজ হয়। পরধর্ম আগ্রাসনের কামনা বাঙ্গালী মুসলমানের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে আরবী কৃষ্টি ও সভ‍্যতার অপভ্রংশ – উর্দুভাষী মুসলমান – আর তা পুরোপুরি নিজেদের স্বার্থে। কারন, এর জন‍্য বাঙ্গালী মুসলমান সমাজের আর্থিক বা আত্মিক – কোন উন্নয়ণ হয়নি। বরং হিন্দু বাঙ্গালীদের শত্রু বানিয়ে তাঁরা নিজেদের সামাজিক ক্ষতি ডেকে এনেছে। অবশ‍্য এটা ঠিক যে, হিন্দু-মুসলমান উভয় বাঙ্গালী সমাজে বহু মানুষ আছেন যাঁরা বাঙ্গালী ঐক‍্যের মধ‍্যে বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বাকে জাগাতে আগ্রহী। কিন্তু দূর্ভাগ‍্যজনকভাবে তাঁদের সংখ‍্যা অন‍্যদের তুলনায় নগণ‍্য। বাঙ্গালী মুসলমানের মনে হিন্দু বিরোধী মনোভাব জাগানোর জন‍্য শুধু যে নাটক, সিনেমার আশ্রয় নেওয়া হয় তাই নয়, বাংলা ভাষায় আরবী ও উর্দু শব্দ প্রয়োগ করে তা জোরের সঙ্গেচাপিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে ত বটেই, পশ্চিমবঙ্গেও জলের বদলে বাঙ্গালী মুসলমানকে পাণি বলতে বাধ‍্য করা হচ্ছে! তাছাড়া ফুফা-ফুফি, চাচা-চাচি, আপা, বুবু ইত‍্যাদি প্রচুর বিজাতীয় শব্দ বাংলায় ঢুকিয়ে বাঙ্গালী মুসলমানদের বাঙ্গালী হিন্দুর থেকে পৃথক জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চলছে। এতে করে বাঙ্গালী হিন্দুদের জাতিগত নির্মূলকরন (ethnic cleansing) করার পর যে অল্পসংখ‍্যক বাঙ্গালী মুসলমান অবশিষ্ট থাকবে তাদের আরবী-উর্দু কৃষ্টি ও সভ‍্যতা রক্ষার কৃতদাস হিসেবে বেঁচে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
পশ্চিমবঙ্গে যেমন বামফ্রন্টের সময় থেকেই সূক্ষ্মভাবে বাঙ্গালী হিন্দু ও বাঙ্গালী মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ‍্যে বিভেদ ছড়ানোর জন‍্য মাদ্রাসা ও মসজিদ থেকে জেহাদী শিক্ষা ও জেহাদের ডাক দেওয়া হত, তেমনি প্রশাসন শক্ত হাতে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা প্রকাশ‍্যে আসতে দিত না। কিন্তু মমতা ব‍্যানার্জীর তৃণমূল দল ১১ বছর আগে ক্ষমতায় আসার পর জেহাদী-ইসলামকে শুধু তোল্লা দেওয়াই নয়, জেহাদীদের দলের বিভিন্ন স্থানীয় নেতাদের দলের নেতৃত্বে বসানোর কাজ শুরু হল! বামফ্রন্টের রাজত্বে সিপিএমের নেতৃত্বে যখন গুন্ডাগর্দী শুরু হয়, তখনই বাঙ্গালীদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালের ১৭ই মার্চ বর্ধমানের সাঁইবাড়ি হত‍্যাকান্ডে সিপিএমের ক‍্যাডারদের নৃশংস বর্বরতা পশ্চিমবঙ্গবাসীকে শুধু স্তম্ভিত করেনি – রাজ‍্যের মানুষের প্রতিবাদের ভাষাকে কেড়ে নিয়েছিল। তারপর, সিপিএমের ক‍্যাডার রাজে বিরোধী কন্ঠ স্তব্ধ করার জন‍্য একের পর এক হত‍্যালীলা সংঘটিত হতে থাকে। ১৯৮৫ সালের ২রা জুলাই বর্ধমানের কেশবাড়ি গণহত‍্যা। ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। ছোট আঙারিয়া…….কেশপুর……..। গণহত‍্যা, ধর্ষণ, ও জোর করে আদায় করা কাটমাণি বা দালালী ইত‍্যাদি বিভিন্ন রকম অত‍্যাচারে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অভ‍্যস্ত হয়ে উঠল। তৃণমূল রাজত্বে এই অত‍্যাচার গণতান্ত্রিক রূপ পেল! বহু মানুষ একে পেশা হিসেবে গ্রহণ করল। যে সিন্ডিকেট রাজ সিপিএম শুরু করেছিল তা তৃণমূলের রাজত্বে মহীরুহে পরিণত হল। প্রশাসনিক প্রশ্রয়ে বা ঔদাসিন‍্যে, অনৈতিক উপায়ে ও শোষণে সংগৃহীত অর্থের ভাগাভাগির কারনে খুনোখুনির অনেক ঘটনা ঘটতে লাগল! সাম্প্রতিককালে বগটুই গ্রামের নারকীয় ঘটনা এর সাক্ষ‍্য বহণ করে।
যেকোন নির্বাচনে বিরোধীদের গায়ের জোরে হটাতে প্রতিটি সাধারন নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মৃত‍‍্যু মিছিল দেখল। আশ্চর্য লাগে, বগটুই গ্রামের ঘটনায় মূখ‍্যমন্ত্রী বলে দিচ্ছেন, পুলিশ কিভাবে তদন্ত করবে, তদন্তের অভিমুখ কি হবে! কে দোষী – কাকে গ্রেপ্তার করতে হবে – এসব সংবাদ মাধ‍্যম ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে মৌখিক আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা মূখ‍্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর আছে কিনা – সংবিধান কিভাবে তাঁকে এই ক্ষমতা দেয় এবং প্রশাসনের উপর এভাবে চাপ সৃষ্টি করা যায় কিনা – তা জানার ইচ্ছা রইল। এমনকি প্রশাসনের বাইরে, শাসকদলের একজন নেতা গণমাধ‍্যমের সামনে বলে দিচ্ছেন যে, প্রশাসন কিভাবে কেস সাজাবে! প্রশাসন পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ার এর থেকে বড় লক্ষণ আর কিইবা হতে পারে!
এই রকম ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতিতে, হিংসা-দ্বেষের রাজনীতির শিকার হচ্ছে বাঙ্গালী, মারছে বাঙ্গালী, মরছেও বাঙ্গালী – তা সে হিন্দু বা মুসলমান যাই হোক না কেন। বাঙ্গালীকে ধর্ম, জাতপাতে ও আঞ্চলিকতায় (বাঙ্গাল, ঘটি, রাজবংশী, ঝাড়খন্ডী ইত‍্যাদি) বেঁধে রেখে যারা সুবিধা নিচ্ছেন এবং যে নেতারা তা করতে সাহায‍্য করছেন, তাদের আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলার একতা দেখাতে না পারলে বাঙ্গালী জাতির অস্তিত্বই লুপ্ত হবে। আত্মপ্রবঞ্চক, ভ্রষ্ট রাজনীতির যুপকাষ্ঠে বাঙ্গালী জাতি বলিপ্রদত্ত – তার দায় যেমন বাঙ্গালী-অবাঙ্গালী রাজনীতিকের, তেমনি ধর্ম ব‍্যবসায়ী সহ মেরুদন্ড খোয়ানো সমগ্র বাঙ্গালী জাতির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *