করোনায়িত পশ্চিমবঙ্গ। কোভিড-১৯ এর তৃতীয় ঢেউ সারা দেশের সঙ্গে এই রাজ্যেও অপ্রতিরোধ্য। অপ্রতিরোধ্য বললাম বটে, তবে সত্যিই কি প্রতিরোধের চেষ্টা সরকার বা আমজনতা – কারোর মধ্যে আছে কি? অনেক সংবাদ-মাধ্যম ঘোষিত বোদ্ধা – বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন রকমের জ্ঞান দিয়ে আসছেন। এরমধ্যে আমজনতা সরকারী বিধিনিষেধের ছাড়ের মধ্যে যুক্তি খোঁজার চেষ্টা করতে গিয়ে প্রায় সব ক্ষেত্রেই কমিক সিরিজের সাময়িক বিনোদনের খোরাক পেয়ে যাচ্ছেন!
যেমন ধরুন সরকারী ছাপ মারা বিশেষজ্ঞ কমিটির মতে খোলা জায়গায় জলশা বা যাত্রা দেখতে গেলে করোনা সেখানে কবাডি খেলতে গেলেও কাউকে ছুঁতে পারবে না। আবার সিনেমা, থিয়েটার অর্ধেক দর্শক নিয়ে চললে কোন ভয় নেই, কিন্তু তার বেশী দর্শক এলেই করোনা সুনামির গতিতে আছড়ে পরবে! আবার বিয়ে সহ অন্য অনুষ্ঠান বাড়িতে ২০০ জন নিমন্ত্রিত অভ্যাগত এলে করোনা বাড়ির বাইরে ঘোরাঘুরি পর্যন্ত করবে না! যদি নিমন্ত্রিত ২০১ জন হয়ে যায় তাহলে করোনার ঢেউ ঝাঁপিয়ে পরবে! প্রথমে সেলুন, বিউটি পার্লার ও রেষ্টুরেন্ট বন্ধ করার আদেশ দিলেও তাঁরা, অর্থাৎ রাজ্যের করোনা বিশেষজ্ঞরা, দিব্যচক্ষে জানলেন এদের বাণিজ্য করার সময় কমিয়ে দিলে করোনা কোন ক্ষতি করতে পারবে না! দোকানপাট, আধুনিক শপিংমল ৫০% ক্রেতা নিয়ে অনুমতি আছে। তবে, ১০০% কতজনে হবে তার কোন মাপ নেই! অর্থাৎ কত সংখ্যার ৫০% তা কেউ জানে না! পরিবহন ও লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। পরিবহন ক্ষেত্রে বাস, ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে যাত্রীসংখ্যা কমানো যায় – এই তত্ব প্রথম জানা গেল! আবার দেখুন, ফুটবল, ক্রিকেট সহ বিভিন্ন খেলাধূলা চললে নাকি করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারন নেই! বোধহয় এরা ধরে নিয়েছেন যে, করোনা খেলোয়ারদের সমীহ করে ছেড়ে দেবে!
কিন্তু হ্যাঁ। রাজ্যে পড়াশুনা একদম বন্ধ থাকবে – স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা – সব। শিক্ষা মনেহয় এরাজ্যে বাহুল্যমাত্র। ডিগ্রি পাওয়ার সুবন্দোবস্ত কিন্তু করা আছে। দু বছর অ-শিক্ষায় রাজ্য চলছে। এবার তৃতীয় বছরটাও এভাবে চালাতে পারলে মোটামুটিভাবে একটি প্রজন্মের শিক্ষার ভিত্তিই নষ্ট করে দেওয়া যাবে। বিশ্বব্যাঙ্কেরগ্লোবাল ডিরেক্টার জেমি সাবেত্রাও অবিলম্বে স্কুল, কলেজ খোলার পক্ষে সওয়াল করেছেন। এই বন্ধে ক্ষতি সাধারন মানুষের – ক্ষতি মনুষ্যত্বের। লাভ কার? সেই লাভের কান্ডারীর খোঁজ করতে গিয়ে কয়েকটি অদ্ভুত তথ্য এবং তার বিশ্লেষণে কিছু প্রশ্নের জন্ম দিল। প্রথম প্রশ্ন, অনলাইন স্টাডির ধারনা – এর প্রচারে জানলাম যে দেশে, বিদেশে শিক্ষাদান ও শিক্ষাক্ষেত্রে কিছু পরিচিতি থাকার সুবাদে আমার জানার যেটুকু ভাঁড়ার তা নিতান্তই সেকলে,অচল! এখন শিক্ষাদান বিষয়ে বিজ্ঞ হলেন বলিউড তারকা থেকে প্রাক্তণ ক্রিকেট খেলোয়াড়! অভিনেতার থেকে জানতে পারলাম যে আধুনিক শিক্ষাদানের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি এক ক্লাশে দু জন শিক্ষকদ্বারা শিক্ষাদান! “বিজ্ঞাপনের গরু গাছে চড়ে” প্রবাদটি জানা থাকলেও জানা ছিলনা যে, এইসব অনলাইন টিউশান ক্লাশ করানো কোম্পানীগুলি ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের কতটা মূর্খ মনে করে। এদের বিজ্ঞাপনের কালোয়াতি প্রচারে মনে হয় সর্বজ্ঞ শিক্ষক ও সর্বজ্ঞ ছাত্র-ছাত্রী তৈরী করার জন্যই অনলাইন ক্লাসের কোম্পানীগুলির জন্ম হয়েছে – যেখানে শিক্ষক (কোন একটি বিষয়ের) বলছেন, ছাত্র যদি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরী ক্ষায় পাশ করে ইঞ্জিনিয়ার হয় তাহলে ঐ শিক্ষকও ইঞ্জিনিয়ার হলেন! পরশুরামের ছাগলাদ্য ঘৃত দাওয়াইয়ের কথা মনে পড়ল! তবে, এরা যখন বহু কোটি টাকা খরচ করে এত বিজ্ঞাপন করছে, তখন এদের বিনিয়োগের পরিমাণ কল্পনা করলে অন্ততঃ এটা বোঝা যাবে যে এরা লাভের ব্যবসা করতে এসেছে – টাকা ওড়াতে নয়। আবার এদের খদ্দের বা ‘মুরগী’ যাই বলা যাক, সেই টার্গেট সংখ্যা অনেক কমে যাবে যদি স্কুল, কলেজ খুলে গিয়ে শিক্ষাদান আবার করোনা পূর্ববর্তী সময়ে ফিরে যায়। সুতরাং এইসব কোম্পানী চাইবে, যেকোন মূল্যে ক্লাশরুম শিক্ষা – বিশেষতঃ স্কুলশিক্ষা বন্ধ থাকুক। কারন, এদের ‘খদ্দের’ স্কুল লেভেলেই বেশী। তারা কি ধরনের ‘তালা’ ব্যবহার করে এই রাজ্যে ক্লাশরুম শিক্ষা বন্ধ রেখেছে তা অনুমানসাপেক্ষ হলেও সাধারণের বুঝতে অসুবিধা হয় না। সেজন্য এমন ধারনা করা অমূলক নয় যে, করোনার দোহাই অন্য সব ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বন্ধ করার জন্য ব্যবহার না করে শুধু শিক্ষাঙ্গনের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হচ্ছে – বিশেষতঃস্কুলশিক্ষার ক্ষেত্রে। অথচ, যত হাস্যকর পদ্ধতিতেই হোক না কেন, পরীক্ষা হয়েচলেছে যথারীতি!
দেখা যাচ্ছে, মদের দোকান ও বার খোলা রাখতে সরকারী বিশেষজ্ঞরা খুবই দরাজ। এই রাজ্যে করোনা ভাইরাস বোধহয় মদের নাম শুনলেই উল্টো রাস্তায় দৌড়ে পালায়। করোনা জুজুর ভয়ে মানুষের বাইরের কাজকর্ম যত কমবে, মদ বিক্রি তত বাড়বে – এই সাধারণ সূত্রে সরকারী কোষাগার যে মদ বিক্রির থেকে পাওয়া আবগারী শুল্কের প্রভাবে স্ফীত হচ্ছে সে বিষয়ে সন্দেহ থাকার কথা নয়। আবার, যেখানে যতই স্ফূর্তি করুন, নিমন্ত্রণ খান, রাত দশটার মধ্যে আপনাকে আপনার রেজিষ্টার্ড খোঁয়ারে – মানে, আপনার বাড়িতে ফিরতে হবে। রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা অব্দি রাজ্যের বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাস রাস্তাঘাট, বায়ুমন্ডল – মানে খোলা আকাশের নীচে – সমস্ত কিছুর দখল নেয়! আর সকাল পাঁচটা বাজার একমিনিটেরও কম সময়ে ভাইরাসগুলি কোথায় লুকিয়ে পড়ে তা বোধহয় ঐ বিশেষজ্ঞরাই জানেন! এতে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেলেও সেখানে কারোর যেমন পৌষমাস, তেমনি যাদের গাড়ি ছাত্রছাত্রী, আইটি ও কলসেন্টারের কর্মীদের পরিবহন দেয় তাদের সর্বনাশ।
একটি বেসরকারী ব্যাঙ্কের শাখায় পাশবই আপডেট করতে গিয়ে জানলাম যে করোনার কারনে গত ছ মাস ধরে পাশবই আপডেট করা যায়না! পোষ্টঅফিসে রেজিষ্টার্ড পোষ্ট, স্পীডপোস্ট সহ প্রায় সব পোস্টাল সার্ভিস বন্ধ – অজুহাত করোনা! কদিন আগে দেখলাম, একটি শিশুকে তার মা খাওয়ানোর সময় ভয় দেখাচ্ছিল যে, তাড়াতাড়ি না খেলে করোনা এসে শিশুটিকে ধরবে! শুনলাম এভাবে ভয় দেখানোর জন্য শিশুটি নাকি তাড়াতাড়ি খেয়ে নেয়। সাম্প্রতিকতম যে আন্দোলন বাসমালিকরা করছেন তা হল করোনার জন্য বাসভাড়া বৃদ্ধি! আবার কেন্দ্রীয় সরকারও পিছিয়ে নেই। তাদের সংখ্যাতত্ত্বের মাহাত্যে দেশের অর্থনীতি নাকি এখন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক পাওয়া দৌড়ের থেকেও দ্রুত ছুটছে! তবুও কেন ব্যাঙ্কের আমানতে সুদের হার ক্রমশঃ কমছে তা বোধগম্য নয়। এখানে একটা কথা পরিষ্কার – মন্ত্রী-সান্ত্রী সবাই ধরে নিয়েছেন যে জনগণ হচ্ছে গোবর-গনেশ, তাকে যা বোঝানো যায় তাই বুঝবে!
এ রাজ্যের ভূক্তভোগী মাত্রই জানেন, নিজের বসতবাড়ি বানানো বা সম্প্রসারণের জন্য কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় “সিন্ডিকেট” নামক এক সংঘবদ্ধ তোলাবাজির শিকার হতে হয়। এদের এলাকাভিত্তিক ‘রেট’ হয়। আমার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা বলছে, এই রেট করোনা উপলক্ষ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। তোলাবাজরাও মানুষ – করোনার সঙ্গে যোঝার রসদ তাদেরও চাই! পোষ্ট অফিসের অনেকটা কাজকর্ম বন্ধ – কোন আদেশবলে তা জানা নেই। বলা হচ্ছে করোনায়িত সমাজে এখন স্পীডপোষ্ট, রেজিষ্ট্রীপোষ্ট ইত্যাদি প্রকারের কাজকর্ম বন্ধ। অবশ্য বেসরকারী ক্ষেত্রে এগুলো সবই চালু আছে – অবশ্যই উচ্চতর মূল্যে। সুতরাং সাধারণ মানুষের কাছে মোদ্দা ব্যপার দাঁড়ালো, সরকারী পোষ্টাল বিভাগের গঙ্গাযাত্রা আর সেইসঙ্গে চড়া দামে বেসরকারী পোষ্টাল সার্ভিসের পুষ্টিকরন! অবশ্য এর জন্য করোনা দায়ী – দুর্জনে বলে করোনা অজুহাত মাত্র।
তবে হ্যাঁ, যতই করোনার আস্ফালন চলতে থাকুক – যতই ডাক্তার, সিস্টার, স্বাস্থ্যকর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়ুন, নির্বাচন – সে উচ্চতম থেকে নিম্মতম স্তর – সব জায়গায় চালু থাকছে। ভোটপ্রচারে প্রার্থী দলবলসহ প্রচারে বেরোলে তাদের দেখেই বোধহয় করোনা লজ্জাবতীলতার মত একদিকে নুয়ে পড়ে থাকবে! করোনার ঘোষিত তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই কলকাতা পুরসভার নির্বাচন ‘সম্পন্ন’ হল। আর তারপর কয়েকদিনেই দেশের সব বড় শহরের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যায় কলকাতা প্রথম স্থানে পৌঁছে গেল। তারপর হাইকোর্টের গুঁতোয় বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি ও চন্দননগর পৌরনিগমগুলির নির্বাচন তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দিতে বাধ্য হল! বিশেষজ্ঞদের বিবেচনায় প্রার্থীদের প্রচারে কিন্তু কোন কার্যকরী বাধানিষেধ আরোপ হল না! অর্থাৎ আরো তিন সপ্তাহ প্রচার চলতে পারে! বাড়ি বাড়ি প্রচার চলবে – শুধু এইসব প্রার্থী, তাদের কর্মী ও ভোটারদের করোনা ধরবে না!
এবার করোনাকালের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণে আসা যাক – সরকারী ও বেসরকারী ক্ষেত্রে করোনার প্রভাব ও তার দোহাই। এটা ঠিক যে, সরকারী চাকরীর ক্ষেত্রে করোনার প্রভাব সাধারণভাবে যতটা না কর্মচারীদের উপর পড়েছে, তার চেয়ে অনেক মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বেসরকারী চাকরীর ক্ষেত্রে। সেখানে কর্মচারীদের বেতন হ্রাস করা থেকে ধরে চাকরী হারানোর প্রচুর ঘটনা ঘটেছে। আর অসংগঠিত ক্ষেত্রে করোনা এবং তৎসংক্রান্ত বিভিন্ন সরকারী বাধানিষেধের কারনে, মানুষের দুর্গতি অপরিসীম। সরকার নাকি এই পরিস্থিতিতে লক্ষ্মী প্রকল্প – ভান্ডার ইত্যাদি অনেক প্রকল্প দিয়েছে – একটা এমন প্রকল্প মনে পড়েনা, যেখানে এই কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের জন্য কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিজায়ী শ্রমিকের (কারা পরিজায়ী তার সংজ্ঞা রাজ্য সরকারের নথিতে আছে কি?) জন্য অনেক কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন দিয়েছে – সরকারের পোঁ ধরা সংবাদ-মাধ্যম; কিন্তু এই পরিজায়ীদের মধ্যে কতজন আবার তাঁদের পুরোনো কর্মসংস্থান দেওয়া রাজ্যে ফিরে গেছেন, কেন গেছেন – এসব তথ্য রাজ্য সরকারের কাছে নেই।
রাজনীতি সর্বস্ব – এলোমেলো করে দে মা, লুঠেপুটে খাই – নীতিতে বিশ্বাসী শাসক, যে সর্বদা ধামাধরা মোসাহেববেষ্টিত, তার বধির কর্ণকুহরে অনাহার, অর্ধাহারে থাকা, বিনা চিকিৎসায় ভুগতে থাকা মানুষের হাহাকার পৌঁছায় না।
এবার ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখানো বাংলা সংবাদ-মাধ্যম আর রাজনীতিকদের করোনা হাতিয়ার করে মিথ্যে ইমেজ তৈরীর প্রচেষ্টার কথা বলে এবারের মত শেষ করব।
রাজ্যের সুপ্রিমোর নাম ও ছবিসহ ফলের ঝুড়ি (!) এবং আরো কিছু জিনিষ নাকি সব করোনা পজিটিভ রোগীর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে – মহান সরকারের মানবিকতা মহতী উদ্যোগ! কার্যক্ষেত্রে সংবাদ-মাধ্যম মারফৎ জানা গেল, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সুকান্ত মজুমদারের কাছে এসব পাঠানো হয়েছে। এই প্রচারকে ১০০% রিডাকসান সেলে বিক্রি হওয়া বাংলার বুদ্ধিজীবি(!) রা অনুপ্রাণিত বাহবায় ভরিয়ে দিল। এখানে আমার জানা দুটো ঘটনার উল্লেখ করছি। আমার এক পূর্ব কলকাতার বন্ধুর এই সময়ে করোনা পজিটিভ হওয়ার পর সে গৃহ-অন্তরীন হয়। এছাড়া আমার পরিবারের এক যুব সদস্য করোনা পজিটিভ হয়ে প্রায় একই সময় গৃহ-অন্তরীন হলেও তাদের কারো কাছেই কোন ফলের ঝুড়ি ত দূরস্ত্, কোন সৌজন্যবার্তা অব্দি আসেনি। অবশ্য তারা ‘সেলিব্রিটি’ বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়। সুতরাং তথাকথিত সেলিব্রিটিকে যুক্ত করে প্রচার পাওয়ার মাধ্যম অবশ্যই করোনা – যা নবতম রূপ ওমিক্রন।
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের বক্তব্য অনুযায়ী ওমিক্রন আরটিপিসিআর-এ ধরা পরে না। এর জন্য যে জিনণ সিকোয়েন্সিং দরকার তার টেষ্টের সুযোগ এখানে সীমিত। অনুপ্রাণিত সংবাদ-মাধ্যমে রোজ যে বহু হাজার পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে তা নিশ্চয় ওমিক্রন নয় – ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট! তাহলে এখানে ওমিক্রন ঢেউয়ের কথা বলা হচ্ছে কোন যুক্তিতে? পুরো ব্যপারটাতেই কেমন এলোমেলো যুক্তির গন্ধ। সুতরাং সাধু সাবধান। নিজের পকেট থেকে স্বাস্থ্য নিজে বাঁচান। “ধান্দাবাজী জিন্দাবাদ”এর দর্শন থেকে শতহস্ত দূরে থাকুন।
করোনায়িত পশ্চিমবঙ্গে সবাই লাভের কড়ি গোছাতে ব্যস্ত
