চীনের জৈব অস্ত্রের প্রথম টার্গেট ভারত

         আজ প্রায় দুবছর ধরে যে ভাইরাস পৃথিবীকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ছে তার নাম কেন ইউহান ভাইরাস তা আগে আলোচনা করা হয়েছে। যদি জাপানী এনকেফেলাইটিস, স্প‍্যানিশ ফ্লু হতে পারে, তবে ইউহানের ইন্সটিটিউট থেকে নির্গত ভাইরাসের নাম অবশ‍্যই ইউহান ভাইরাস রাখা হবে। এখনো অব্দি পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় আঠারো কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রায় চল্লিশ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু যেদেশের থেকে এই ভাইরাস ছড়ালো তার কোন মুক্ত আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান করা হল না! অনেক পরে যদিও WHO কন্ট্রোল্ড আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান দল অনুসন্ধান করেছে, সেখানে চীনা পর্যবেক্ষণ ও অনুমতি সাপেক্ষে একটি স্তর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা গেছে। free investigation আজও হয়নি! পৃথিবীতে যার কারনে বৃহত্তম মানবগোষ্ঠী আক্রান্ত হল এবং মৃত্যু হল, সেই অতিমারীর তদন্তে এতটা রাখঢাক করা অবশ‍্যই গভীর সন্দেহের উদ্রেক করে। যদি চীনের কিছু লুকানোর না থাকত তবে এত রাখঢাক, বাধানিষেধ কেন? আবার ঐ ইন্সটিটিউটেরই একটি ল‍্যাবোরেটরীতে এই ভাইরাস নিয়ে কাজ করার সময় একই প্রজেক্টের যে তিনজন বিজ্ঞানী করোনা আক্রান্ত হয়ে এই রোগের প্রথম আক্রান্ত হিসেবে মারা যান, তাঁদের চিকিৎসা সম্পর্কে কোন তথ‍্য, চীনা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ‍্যের বাইরে  আর কিছু জানা যায়না। সমস্ত তথ‍্যপ্রমাণ যে দিকে ইঙ্গিত করে তা হল, এই ভাইরাসটিকে জেনেটিক ইঞ্জিনীয়ারীং করে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব‍্যবহার করার জন‍্য ঐ ল‍্যাবোরেটরীতে গবেষণা করা হচ্ছিল। কিন্তু আকস্মিক কোন অঘটনে ভাইরাস তার site থেকে মুক্ত (escape) হয়ে যায়। এইভাবেই তার সংক্রমণ শুরু হয়। এটি যদি শুধুই প্রাকৃতিক সাধারণ ভাইরাস হত তবে ঠান্ডা, গরম সব পরিবেশে মানুষের থাকার উপযোগী জায়গায় এভাবে একই রকম কর্মক্ষমতা বজায় রেখে বেঁচে থাকতে পারত না।
       এবার প্রশ্ন হল, এই ভাইরাস থেকে চীন কেন জৈব অস্ত্র তৈরী করবে? উত্তর পেতে কিছু বছর পিছিয়ে যেতে হবে। চীনেই গত দু দশকে দুটি ভাইরাস SARS ও MERS বাদুরের থেকে মানুষের দেহে সংক্রামিত হয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ‍্য ঐ ইন্সটিটিউটে আছে। বাদুর থেকে মানুষের দেহে সংক্রমণ ছড়ায় এমন RNA ভাইরাস নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও পরিকাঠামো, দুইই চীনের হাতে ঐ ল‍্যাবোরেটরীতে মজুত থাকায় একাজে তাদের স্বাভাবিকভাবে ওখানেই এগিয়ে আসার কথা।
        এখন প্রশ্ন হচ্ছে, চীন জৈব অস্ত্র বানাবে কেন এবং তার টার্গেট কারা? এর উত্তর বিশদে দেওয়া প্রয়োজন। আমেরিকার সঙ্গে চীনের যতই মতবিরোধ থাকুক, তাদের পারস্পরিক বাণিজ‍্যিক প্রয়োজনীয়তাই দু দেশের সম্পর্কের মধ‍্যে যুদ্ধের ছায়া ফেলতে দেবে না। আবার এই মূহুর্তে রাশিয়া চীনের প্রতিদ্বন্দীও নয় এবং তাদের মধ‍্যে কোন সীমান্ত বিরোধ নেই। কিন্তু চীনের ভয় অন‍্য জায়গায়। তারা বিভিন্ন কৌশলগত দিক থেকে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করে আগে যেভাবে সফল হয়েছিল, বিশেষতঃ ১৯৬২ সালের যুদ্ধে, সেই ভারতকে এখন আর দেখতে পাচ্ছে না। যখন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে আমেরিকার উচ্চতম মহল থেকে সরাসরি জানানো হয়েছিল যে পাকিস্তানকে কাশ্মীরে free access  দিয়ে তাদের দাবী না মেনে নিলে পাকিস্তান ভারতের উপর পারমানবিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে; তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী বলেছিলেন, পাকিস্তান তার সব পরমানু বোমা ভারতের উপর ফেললে ভারতের পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ মারা যাবে। সেইসঙ্গে এটাও বলেছিলেন যে তারপর পৃথিবীর মানুষ ঘুম থেকে উঠে জানতে পারবে যে পাকিস্তান বলে একটি দেশ পৃথিবীতে ছিল। সেইদিনই বোঝা গিয়েছিল, গান্ধী-জওহরলালের শত্রুকে প্রেম নিবেদনের অহিংস নীতি আর নেই। ভারত ঐ সময় থেকেই দ্রুত তার সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে এবং পররাষ্ট্রনীতিতে জাতীয়তাবোধের ভিত্তিও সুদৃঢ় হয়েছে। কিন্তু চীনের তাতে বেজায় আপত্তি। কারন, চীনের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ বর্ডার বরাবর রাস্তা বানানো, প‍্যাংগং লেকের ও ভুটানের ডোকালামকে নিজেদের মিলিটারী কন্ট্রোলে নিয়ে এলে চীনের এই অঞ্চলের উপর আধিপত‍্য বিস্তার করা খুব সহজ হয়। চীন, দীর্ঘ সময় ধরে ম‍্যাকিয়াভেলীর তত্ত্ব অনুসারে, শুধুমাত্র ভারতকে ব‍্যতিব‍্যস্ত রাখার কারণে পাকিস্তানকে আর্থিক ও সামরিক সাহায‍্য দিয়ে যাচ্ছে। আন্তজার্তিক ক্ষেত্রে সর্বদা ভারতের বিরোধীতা করা চীন রুটিন পদ্ধতিতে চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গত আট-নয় বছর ধরে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ও ভারতের বিদেশনীতির ব‍্যপক পরিবর্তনেয ফলে, বিশেষতঃ কাশ্মীরে পাকিস্তানের দুঃসাহসিক দুর্বিত্তগিরির ক্ষমতাও কমেছে। আবার চীনের বড় ভরসা ছিল যে তাদের সমস্ত কাজকে ভারতের সব কমু‍্যনিষ্ট দলগুলি সমর্থন করত- তাতেও ভাটা। ভারতীয় রাজনীতিতে কমু‍্যনিষ্টরা এই মূহুর্তে মার্জিনালাইজড - নখদন্তহীণ বাঘ! এদিকে ইরান ও মধ‍্যপ্রাচ‍্য থেকে সরাসরি খণিজ তেল আমদানি এবং চীনের প্রধান রপ্তানীর রাস্তা মসৃণ রাখার জন‍্য দরকার চীন সাগরের উপর একচ্ছত্র আধিপত্য ও সঙ্গে দরকার ভারত মহাসাগরে তার প্রভূত্ব। এতে ভারতের স্বার্থত বটেই, সার্বভৌমত্ব সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ধরে নিয়ে চীন শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপকে উদার হস্তে সাহায‍্য দিয়ে জোট বাঁধতে চেষ্টা করেছে। সেখানে শ্রীলঙ্কা তাদের চাল ধরে ফেলায় আর অবস্থানগত কারনে মালদ্বীপের পক্ষে প্রত‍্যক্ষ বিরোধীতায় অসুবিধা থাকায় চীনের এই চেষ্টা সর্বতোভাবে ফলপ্রসু হয় না। এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগায় জাপান ও অষ্ট্রেলিয়া ভারতের সঙ্গে জোট বেঁধে এই জলপথে চীনের বাধা হয়ে দাঁড়ালো। তারা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারলতাদের আগ্রাসনের সবচেয়ে বড় বাধা ভারত। আবার চীনের পন‍্যের সর্ববৃহৎ খরিদ্দার আমেরিকা, তার পরেই ভারত। সুতরাং সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা সম্ভব নয়। তার অন‍্য কারনও আছে। ২০১৭সালে যখন ভুটানের ডোকালাম অঞ্চলে চীন রাস্তা বানাতে উদ্দোগী হয়, তখন ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় সৈন‍্য তাদের বাধা দিয়ে চীনা সৈন‍্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পরে। চীন ভেবেছিল ১৯৬২ সালে যেভাবে তারা ভারতসৈন‍্যদের পশ্চাদপসারনে বাধ‍্য করেছিল সেভাবেই এবারেও তারা ভারতীয়দের ভাগিয়ে দেবে। তা নাপারায় চীন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একদিকে ভারতের অরুনাচল প্রদেশকে তারা চীনের অংশ বলে দাবী করে, অন‍্যদিকে পাকিস্তানকে সমস্ত রকম নাশকতা চালানোর জন‍্য মদত দিতে থাকে। আগ্রাসী চীন এরপর ভারতকে পয়লা নম্বরের শত্রু বলে ভাবতে শুরু করে। তারপর ২০২০ সালে তারা আবার ভারতের উপর আগ্রাসী হয়ে প‍্যাংগং লেক ও তার আশেপাশের গালওয়ান সীমান্তের  উচ্চতর পাহাড়চূড়াগুলির দখল নিতে চেষ্টা করে। ঐ অঞ্চলে শীতের সময় সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন  থাকার কারনে জওয়ানদের সব রসদ এয়ারলিফ্ট করা হয়। এই অসুবিধা দূর করতে ভারত সরকার বর্ডার এরিয়ায় চওড়া রাস্তাই শুধু বানানো নয়, মাটির তলা দিয়ে টানেল তৈরী করার সিদ্ধান্ত নেয় যাতে সিয়াচীন - লাডাখ সীমান্তে সারা বছর সড়ক যোগাযোগ ব‍্যবস্থা অক্ষুন্ন থাকে। চীনের আগ্রাসন নীতি অনুযায়ী তারা হিমালয়ের কন্ট্রোল রাখার স্বপ্ন দেখে এবং সরাসরি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের উপর দিয়ে ইরান পর্যন্ত হাইওয়ে তৈরীর কাজে তারা ইতিমধ্যে বহু অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এই ill conceived প্রজেক্টের জন‍্য চীন ভারতের উত্তর প্রান্তের বর্ডার এরিয়াকে কুক্ষিগত করার জন‍্য সব রকম প্রয়াস চালাচ্ছে।
     ২০২০ সালে প‍্যাংগং লেক ও গালওয়ান হাইটের জন‍্য যে হাতাহাতি (আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া) যুদ্ধ হল তাতে চীনাপক্ষের অধিক ক্ষতি হওয়ায় চীন যুদ্ধ ও আগ্রাসন নীতির দিক পরিবর্তন করল। যেহেতু ভারত ও চীন দুইই পরমাণু অস্ত্রধর রাষ্ট্র, তাদের মধ‍্যে পরমাণু যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আবার প্রথাগত যুদ্ধ হলে তাদের ক্ষতি যে বেশী হবে তা কয়েকটি ছোটখাটো সঙ্ঘাতেই চীন বুঝতে পেরেছে। সুতরাং ভারতকে ঘায়েল করার জন‍্য আন্তজার্তিক কুটনীতির স্তরে চেষ্টা করেও যখন চীন কোন সাফল‍্য পেলনা , তখন তাদের হাতে একমাত্র বাকী থাকল জৈব অস্ত্র প্রয়োগ। এই জৈব অস্ত্র এমন হওয়া চাই যা ছোট জায়গার মধ‍্যে প্রয়োগ করলেও সহজেই বড় জায়গায় ছড়িয়ে পরে এবং ধীরে ধীরে আক্রান্তের প্রাণসংশয় হয়। আবার এর প্রয়োগে ধণসম্পত্তির যাতে ক্ষতি না হয় কারণ, বিজিত দল যখন সব ফেলে পালিয়ে যাবে তখন বিজয়ীদল সেসব ভোগ করতে পারবে। ভারতের সুবিশাল আয়তন ও লোকসংখ‍্যা ধরলে এই ধরনের জৈব অস্ত্রের মোকাবিলা করা খুবই শক্ত। এই জৈব অস্ত্র যা RNA বাইরাস থেকে তৈরী হতে পারত তা ভারতের উপর প্রয়োগ করলে খুবই কার্যকরী হবার সম্ভাবনা। কারন চীন শুধু ভারতের উত্তরের পাহাড়ী অঞ্চলের দখলই চাইছে না, সঙ্গে ভারতকে খন্ডিত হীণবল করে দিলে আর ভারত মহাসাগরে জোট বেধে ভারত চীনের আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে পারবে না।
      লক্ষণীয় যে, বাদুর থেকে প্রাপ্ত এই ধরনের RNA ভাইরাসের উপর চীনের অধিগত জ্ঞান থাকায়, জৈব অস্ত্র হিসেবে এই SARS Cov2 বা করোনা ভাইরাস থেকেই যে চীন জেনেটিঈ ইঞ্জিনিয়ারিং করে জৈব অস্ত্র তৈরীর বেষণা চালাচ্ছিল এবং তার প্রথম লক্ষ‍্য যে ভারত, সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকে না।
      চীনের বন্ধুত্বের মধ‍্যেও তাদের আগ্রাসী নীতির পরিচয় পাওয়া যায়। চীন যে শর্তে পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য ও পরিকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করছে তাতে পাকিস্তান খুব তাড়াতাড়ি ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পরবে। এটা বুঝেই মায়নামার ও বাংলাদেশ চীনের থেকে সার্বিক ঋণ নিতে দ্বিধাগ্রস্ত। আবার শ্রীলঙ্কা চীনের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী বন্দর চুক্তি করেও পিছিয়ে আসার জন‍্য ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পরিধি বাড়াচ্ছে। মালদ্বীপের সংখ‍্যাধিক‍্য জনগণ চীনের চাপের কাছে নতিস্বীকারের বিপক্ষে। যদিও ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের লাগাতার অপপ্রচারকে সমর্থন করছে চীন, তারা কিন্তু তাদের নিজেদের দেশে মুসলমানদের উপর চরম অমানবিক অত‍্যাচার চালাচ্ছে যা আমরা পাশ্চাত‍্যের প্রচারমাধ‍্যম থেকে জানতে পারছি। পাকিস্তান আবার এ সম্পর্কে একটি কথাও বলছেনা! সাম্প্রতিক অতীতে চীনের ব‍্যবহারের কারনে যখন তাদের দেশ থেকে সরাসরি বিভিন্ন পণ‍্য আমদানি এবং সফ্টওয়‍্যার ব‍্যবহার ভারত বন্ধ করে, চীন তখন তাদের তাঁবেদার ভারতীয় কমু‍্যনিষ্টদের দিয়ে তার প্রতিবাদ আন্দোলন সংঘটিত করতে ব‍্যর্থ হয়। ভারতের সঙ্গে লাগাতার একতরফা বিরোধ বাধিয়ে রেখে চীন যে তার আগ্রাসন নীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে, তাতে এটা পরিষ্কার যে নতুন অস্ত্র, তা জৈব অস্ত্র হলেও, তারা ভারতের উপর প্রয়োগ করবেই।। চীন যা ভুল করছে তা হল ভারতকে তাইওয়ান, উত্তর কোরিয়া বা মায়নামারের মত ধমকে চমকে তাঁবেতে রাখা সম্ভব নয়। কথায় আছে, "নিজের ভালো পাগলেও বোঝে"। তাই পাকিস্তান বা বাংলাদেশ কখনোই চীনের উস্কানিতে ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করবে না। অতয়েব ভারতকে ঘায়েল করার একমাত্র রাস্তা জৈব অস্ত্রের প্রয়োগ। চীন সেই চেষ্টাই করছিল SARS Cov2 ভাইরাস নিয়ে ইউহানের জাতীয় ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে।
        চীনের এই অপচেষ্টা বন্ধ না করলে এই দেশ "রোগ কান্ট্রি" হিসেবে পৃথিবীর মাথা ব‍্যথার কারন হতে পারে। কারন তাদের কোন কাজে স্বচ্ছতা নেই। তবে ভারত তার এক নম্বর টার্গেট। সেজন‍্য শুধু ভারত সরকারই নয়, ভারতীয় কমু‍্যনিষ্টদেরও চীনকে প্রত‍্যক্ষ বা পরোক্ষ মদত দেওয়া থেকে সরে আসতে হবে। কথায় বলে, "আপনি বাঁচলে বাপের নাম"।চীনকে সমর্থন করতে গিয়ে ভারতে কমু‍্যনিজম বিলীন হওয়ার জায়গায় চলে যেতে পারে কারন, চীনকে সমর্থন সরাসরি ভারতের অস্তিত্বের পরিপন্থী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *