আমাদের পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন সরাসরি শাসকদলের অঙ্গুলীহেলনে চালিত হয়, তা একটি পরীক্ষিত সত্য। সেটা একমাত্র শাসকের সমর্থক ও সুবিধা পাওয়া সংবাদমাধ্যম ছাড়া আর সবাই মেনে নেন। ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তবু প্রশাসনের কিছুটা ঋজুতা ছিল। কিন্তু তথাকথিত বামফ্রন্টের নামে সিপিএম পার্টির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সকল পোস্টিং, প্রমোশান, সর্বোপরি অপছন্দের আধিকারিকদের অফিসার-অন-কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠিয়ে দেওয়া এসবে রাজ্য প্রশাসন ধীরে ধীরে অভ্রস্ত হয়ে উঠল। পঞ্চায়েত ও পুরসভার মাইনে রাজ্য সরকার দেয় বলে তাদের পুরো কন্ট্রোল এভাবেই ঐ রাজনৈতিক দল নিজেদের হাতে নিয়ে নিল। একটি বিখ্যাত দৈনিক কাগজকে ধমকে,চমকে, বিতর্কিত অগ্নিকাণ্ডের পর সেও ঐ রাজনৈতিক দলের নেতাদের কন্ট্রোলে চলে এলো। সেই শুরু। বর্তমান সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেই প্রথম পুলিশের নীচু তলায় দলের আনুগত্য বাড়াতে সক্ষম হল। পুরষ্কার-তিরষ্কারের নতুন স্কিম তৈরী হল। তারপর ধীরে ধীরে উপরতলার আধিকারিকদের ধরা হল। IAS, IPS, WBCS, WBPSরা শুধু তাদের আনুগত্যের জার্সিটা পাল্টে নিল। দু তিন বছরের মধ্যে “সিপিএম এর মেধাবী ছাত্রী”র তাঁবে চলে এলো পুরো রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যে ঘটল ‘পার্কস্ট্রীট কান্ড’। সেই খবরের সম্প্রচারে যার পর নাই রুষ্ট হয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো সংবাদমাধ্যমগুলোর খানিকটা ‘স্ক্র টাইট’ দিলেন। ব্যবহৃত হলো দোধারী তলোয়ার। বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ বিশেষ সংবাদপত্র বিপননে বাধা, সঙ্গে বিজ্ঞাপন বন্ধ – এমনিই নরম মেরুদন্ডের বাংলা প্রচার মাধ্যম – একদম নুয়ে পড়ল।
যত সময় অতিবাহিত হল, সংবাদমাধ্যমগুলোর উপর শাসকের চাপ বৃদ্ধি পেতে পেতে তা এমন জায়গায় চলে গেল যে, “বাবু যত বলে, পারিষদদলে বলে তার শতগুণ”। এই সংবাদমগুলি যত স্তাবকতা করতে লাগল, তত তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা কমতে লাগল। কিন্তু প্রশাসনিক বিজ্ঞাপন দাক্ষিণ্যে এদের লাভের অঙ্ক আরো স্ফীত হল। এদের গ্রাহকসংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে এরা এদেরই মত কিছু মেরুদন্ডহীন মানুষজনকে শোবিজনেস থেকে, কাউকেবা আনকোরা অবস্থায় তুলে এনে তাদের “বুদ্ধিজীবী” ছাপ মেরে তাদের মুখ দিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করতে লাগল। সংবাদপত্র ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমে এদের অবমূল্যায়ন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও, সংবাদমাধ্যমের লাভ বৃদ্ধি পেতে লাগল। এদের আর নির্ভিক, নিরপেক্ষ ইত্যাদি ভেকধারী হওয়ার প্রয়োজন রইল না। এরা শাসকের বা প্রশাসনের বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়, এমন খবর প্রচারের স্পর্ধা হারিয়ে ফেলল। এমনকি, যদিও প্রচার করতে বাধ্য হয়, তবে এমনভাবে তা পরিবেশন করে যাতে আসল খবরটাই নষ্ট হয়ে যায়। এমনই একটি ঘটনার খবর হল দেবাঞ্জন কান্ড।
এই দেবাঞ্জন দেব IAS, জয়েন্ট সেক্রেটারী এবং কোলকাতা পৌর নিগমে কর্মরত এই পরিচয়ে জাল টীকাকরন কেন্দ্র খুলে মানুষকে টীকা দেওয়ার নামে ধোঁকা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, শাসকদলের লোকসভা সদস্যা শ্রীমতী মিমি চক্রবর্তী এখানে টিকা নিয়ে সার্টিফিকেট না পাওয়ায় তাঁর ব্যক্তিগত সচিবকে দিয়ে থানায় FIR দায়ের করেন এবং তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে জানতে পারে যে এই দেবাঞ্জন দেব একটি জাল IAS এবং সে কোলকাতা পৌর নিগমের কোন অফিসার নয়! সে জাল টীকাকেন্দ্র কোলকাতা পৌর নিগমের নামে চালাচ্ছিল এবং মানুষজনকে বিনামূল্যে টীকা (!) দিচ্ছিল। পুলিশ ঐ ক্যাম্প বন্ধ করে তদন্ত শুরু করে। এই জালিয়াতকে ধরার কৃতিত্ব সংবাদমাধ্যম লক্ষ্যণীয়ভাবে শাসকদলের সাংসদ তথা শাসকদলের উপর দেয়! দেবাঞ্জন কত বড় জালিয়াত এবং শিক্ষক থেকে আরো কত মানুষজনকে সে ঠকিয়েছে তার বিস্তারিত বিবরন দেওয়া শুরু হল! এরসঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে যে ধোঁকা দেওয়া হল তার কি সম্পর্ক তার কোন ব্যখ্যা পাওয়া যায়না। সুতরাং সন্দেহ করার যথেষ্ট কারন আছে যে তদন্ত প্রভাবিত হচ্ছে এবং আসল জায়গা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। করন এটি কোন সাধারণ জালিয়াতি নয়। সবচেয়ে বড় কথা, যারা জাল টীকা পেয়েছেন তাঁদের নাকি কোভিশিল্ড নয়, অ্যামিকাসিন৫০০ নামের অ্যান্টিবায়োটিক পুশ করা হয়েছে! এই অ্যান্টিবায়োটিক বশী হলে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়। এতে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু সরাসরি মৃত্যু হয় না। এদিকে সরকার নাকি দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে “অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু” ঘটানোর অভিযোগ আনছে!
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রশ্ন। প্রথম, একটি বা দুটি জাল ভায়ালে অ্যামিকাসিন পাওয়া গেলেও এটা কিকরে বলা যায় যে, একাধিক ক্যাম্প করে কয়েক হাজার মানুষকে জাল টীকা দেওয়া সবাই একই জিনিষ পেয়েছেন? জৈব বা অজৈব ক্ষতিকারক কিছু ত থাকতেই পারে। আবার যদি এতে মৃত্যু হয়ও তা অনিচ্ছাকৃত বলে লঘুকরণ করায় অন্য ‘গন্ধ’ পাওয়া যেতেই পারে। আবার দেখা যাচ্ছে এই জাল IASটি বহুদিন ধরে ঘুরন্ত নীলবাতি (যা জয়েন্ট সেক্রেটারীরা পান না) গাড়িতে বডিগার্ড সহ চলাফেরা করতেন। কোলকাতা পৌর নিগমের মূল ভবনে নাকি এর অবাধ যাতায়াত ছিল। তাহলে নিশ্চয়ই সেখানে পার্কিংলটে তার গাড়ি থাকার কথা। আমার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এই লোকটি সাধারণ চিটিংবাজ হলে এভাবে দিনের পর দিন পৌর নিগমের উচ্চপদস্থ আমলা সেজে সাধারণ কর্মচারীদের চোখে ধূলো দেওয়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ অতি উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ ও প্রোটেকশান না থাকলে এভাবে পার পাওয়া যায় না। আমরা একাধিক ছবিতে নিগমের মেয়র ও মন্ত্রী জনাব ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে তার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার ছবি দেখেছি। শুধু তাই নয়, তালতলায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ট্যাচু উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও স্থানীয় এমএলএ মহাশয়ার নামের সাথে এই জাল আধিকারিকের নামও প্রস্তর ফলকে জ্বলজ্বল করছিল। আচ্ছা, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য যে পৌর নিগমের মেয়র, ডেপুটি মেয়র তাদের নিগমের উচ্চপদস্থ আমলাকে চেনেননা! এই ঘটনা জানাজানি হতে বালখিল্য বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে এই জালিয়াতের নামে কালো কালি লেপে দওয়া হয়েছে। পরে এই ফলক খুলে নেওয়া হয়। আবার দেখা যাচ্ছে, এক অনুষ্ঠানে এই জালিয়াত মঞ্চ আলো করে সিনিয়ার মন্ত্রী শ্রী সুব্রত মূখোপাধ্যায়ের পাশে বসে আছে! এই সব সরকারী অনুষ্ঠানে যারা ফলক লাগানোর দায়িত্ব পান তারা খসরা ফলক তৈরী করে প্রধান অনুষ্ঠানকারী, এক্ষেত্রে মেয়র, বা তার সচিবকে দেখিয়ে অনুমোদন করে নেন। এটাই দস্তুর। এমন জালিয়াতি সখানে ধরা না পরাটাই বিস্ময়ের। মন্ত্রীরা কোন অনুষ্ঠানে থাকলে তার একটা প্রোটোকল থাকে। এছাড়া আলাদা সিকিউরিটি চেকিং থাকে। পুলিশ এই জাল IAS তথা জাল পৌর নিগম আধিকারিক সম্পর্কে কিছু জানত না বললে তাদের কর্মদক্ষতা সম্পর্কেই প্রশ্ন জাগে। এদিকে
সমস্ত সংবাদমাধ্যম এই জাল IAS কে জালিয়াত প্রমাণ করতে ও রাজ্য পুলিশের তৎপরতার পক্ষে মূহুর্মূহ প্রচার করতে ব্যস্ত। এখন তাদের তোতাপাখি ‘বুদ্ধিজীবি’কুল শীতঘুমে আছেন! পুরো ব্যপারটাই মনে হয় আসল অপরাধীদের আড়াল করার জন্য।
আজ মানুষকে ভাবতে হবে যে দেবাঞ্জন সামান্য ৪২০ ধারার চিটিং বাজী, এমনকি অনিচ্ছাকৃত খুণের চেষ্টার অপরাধী কি? সে কিন্তু অর্থের বিনিময়ে ‘টীকাকরন’ করছিলনা। বরঞ্চ সে তার টীকাকরন কেন্দ্র চালানো এবং তার প্রচারের জন্য টাকা খরচ করেছে। এখানে প্রশ্ন দুটি। এক, কেন সে এটা করেছে এবং দুই, কে তাকে এর জন্য অর্থ দিয়েছে এবং কি উদ্দেশ্যে দিয়েছে। এই দৃষ্টিকোনে তদন্ত চালানোর ক্ষমতা রাজ্যের CID বা যতই SIT গঠন করা হোক, কারোরই নেই। এমনকি রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপিও তা বুঝেছে বলে মনে হচ্ছে না। তাদের অনেক নেতা রাজনৈতিক কারনে CBI তদন্ত চেয়েছেন। এটা CBIএর এক্তিয়ারেও পড়ে না। একমাত্র NIA এই তদন্ত করতে পারে। কারন, এখানে এমন শক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা যারা দেশের মানুষের ক্ষতি করতে চায়। এটা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য নয় যে, একজন সাধারণ জালিয়াত শুধু নাম কেনার জন্য এত টাকা খরচ করে ভূয়ো টীকাকরনকেন্দ্র চালাবে। এর কর্মপদ্ধতি লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, এই শ্রীমান প্রথমে রাজ্রের ক্ষমতাশালী মানুষজন, মূলতঃ শাসকদলের VIPদের কাছে নিজেকে আস্থাভাজনকরেছে, তারপর সে এই জাল টীকার ফাঁদ পেতেছে। সে কিন্তু একটি নয়, পরপর বিভিন্ন টীকাকেন্দ্র খুলে জাল টীকা দিচ্ছিল। অর্থাৎ তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এই জাল টীকা দেওয়া। তার বাজেয়াপ্ত করা কোন ভায়ালে অ্যামিকাসিন৫০০ পাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু তাতে কি প্রমাণ হয় যে সে অন্য কিছু, যেমন ক্ষতিকারক ভাইরাস বা অন্য জৈব বা অজৈব ক্ষতিকারক কিছু প্রয়োগ করছিল না?
এখানে কিছু ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে মালদার সুলতানপুর চেকপোষ্ট দিয়ে একজন চীনা নাগরিক হান জুনওয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করার পর ধরা পড়ে। তার এক শাকরেদ সুন জিয়াং উত্তর প্রদেশে কিছুদিন আগে ধরা পড়ে। এই হান জুনওয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ রিপোর্ট থাকায় ভারত সরকার তার ভিসার আবেদন নামঞ্জুর করে। তখন সে নেপাল ও বাংলাদেশের ভিসা নিয়ে চীন থেকে নেপাল হয়ে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে। তার কর্মপদ্ধতিই বলে সে অসৎ উদ্দেশ্যেই একাজ করেছে। আমরা এও লক্ষ্য করেছি যে, চীন ইউহানের ভাইরোলজি ইন্সটিটিউটের ল্যাবোরেটরীতে ভাইরাসের থেকে জৈব অস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়ার সাথে সাথে অন্য অনেক রকমভাবে ভারতে নাশকতামূলক কাজকর্ম বাড়াতে চাইছে। একাজে সে ইতিমধ্যেই পাক-ই-স্তানকে ঘোষিত দোসর হিসাবে পেয়েছে। আবার, কিছুদিন আগে নিউটাউনে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত দুই দুষ্কৃতির পাক-ই-স্তান যোগ এবং ড্রাগ মাফিয়া যোগের খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে। তারপর আর তদন্তের বিষয়ে কিছু শোনা যাচ্ছে না! ভূয়ো টীকাকরন শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, মহারাষ্ট্রেও ধরা পড়েছে।
এসব থেকে একটি জিনিষ খুব পরিষ্কার। আমাদের দেশকে অস্থির করতে বিদেশী শত্রুরা কোমর বেঁধে নেমেছে। আর এ কাজে তাদের ‘পঞ্চম স্তম্ভ’ এই দেশেরই কিছু মানুষ। নাহলে শুধু বিদেশীদের পক্ষে আমাদের দেশের অভ্যন্তরে লাগাতার নাশকতা চালানোর চেষ্টা করাও সম্ভব ছিলনা। কে বলতে পার, এইসব দেবাঞ্জনরা তাদের সহযোগী হিসেবে নেমেছে কিনা। টাকার সংস্থানও নিশ্চয়ই বিদেশী শক্তির থেকে আসছে। আশ্চর্য হচ্ছে, আমাদের সংবাদমাধ্যমগুলোর একটি বড় অংশ বুদ্ধিহীণ অমেরুদন্ডী প্রাণীর মত “কাকে নিয়ে গেল কান” বলে চিল চীৎকারে কাকের পিছনে ছুটতে লেগেছে। সুতরাং এই দেবাঞ্জনদের পিছনের আসল কুশীলবদের ধরার জন্য একমাত্র NIA তদন্তই যথার্থ হতে পারে। তাতে কোন রাজনৈতিক নেতা যদি জড়িয়ে যান তাহলে তাঁকে বাঁচানোর জন্য যথার্থ তদন্ত না করা বা তদন্তের পরে লঘু ধারায় চার্জসিট দেওয়া কি দেশের মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী নয়?
এখানে তদন্তের আরো একটি সম্ভাব্য দিকের আলোচনা করাও জরুরী। সেটি হল ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীজী বা বিজেপি যাতে কোনওভাবে ক্ষমতায় না আসতে পারে তার রাস্তা প্রশস্ত করা। কিভাবে? ধরা যাক, এই ধরনের ভূয়ো টীকাকরন ক্যাম্প যা দেবাঞ্জন দেব কয়েকটি জায়গায় সংঘটিত করার পর কয়েক হাজার (আনুমানিক) মানুষের শরীরে টীকার নামে অজানা কিছু ঢুকিয়ে দিল। মহারাষ্ট্রেও জাল টীকাকরন কেন্দ্র থেকে এমন অনেকে টীকা নিয়েছেন। হয়ত আরো জায়গায় জাল টীকা দেওয়া হয়েছে। আমরা জানি, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল একটি সংগঠিত কাঠামোতে পুলিশ, প্রশাসন ও বড় মিডিয়া হাউসগুলির মিলিত প্রচেষ্টায় চলে। যদি এই ভূয়ো টীকা নেওয়ার পর কয়েকজনেরও মৃত্যু হয় তবে এখানকার রাজনৈতিক পরিবেশে সব একসঙ্গে গেল গেল করবে। এবং সঙ্গে সঙ্গে রব উঠবে মোদী টিকা দিয়ে দেশের মানুষদের খুণ করছে! “মোদী হটাও – দেশ বাঁচাও”। এতে হয়ত দেশে রাজনৈতিক পালা বল হত, কিন্তু বিদেশী শক্তি দেশের অভ্যন্তরে যে বিভেদ তৈরীতে সক্ষম হবে তাতে ভারতের অস্তিত্বই বিপন্ন হবে। দেশের স্থায়িত্বের বিনিময়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভ দেশদ্রোহিতার নামান্তর। তবে, ধন্যবাদ শাসকদলের সাংসদকে তার এই জাল টীকার কার্যকলাপের মৌচাকে আঘাত করার জন্য। এটা খুবই চিন্তার কথা যে, কি বিরোধী, কি সরকার – কেউই এর কার্যকরী ও সঠিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চাইছে না। NIA কে দিয়ে বিস্তৃত অনুসন্ধান আশু প্রয়োজন।
জাল ভ্যাকসিনকান্ডের আসল নায়ক কারা
