তালিবানরা ইসলাম ধর্ম মানে না

তালিবান শাসন এখন সারা আফগানিস্তান জুড়ে প্রতিষ্ঠিত। তালিবানদের একক ক্ষমতায় পঞ্জশিরের আহমেদ মাসুদ ও আমরুল্লা সালেহর প্রতিরোধ ভাঙ্গা সম্ভব নয় দেখে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সরাসরি পঞ্জশিরের উপর বোমাবর্ষণ করে। এই ঘটনা একসঙ্গে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিল। এতে প্রমাণ হল যে, পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী তালিবানদের হয়ে আফগানিস্তানের মানুষদের বিরুদ্ধে সরাসরি অঘোষিত যুদ্ধে নেমেছে। আবার তালিবানদের সমর্থন ও স্বীকৃতির মাধ‍্যমে চীন প্রমান করল, তারা তাদের স্বার্থে যে কোন জঙ্গী গোষ্ঠীকে মদত দিতে পারে। আবার পাকিস্তানকে “বিশ্বস্ত বন্ধু” বলে বাইডেন প্রশাসনের প্রকাশ‍্য বার্তা এবং আমেরিকার বর্তমান সরকারের কর্মপদ্ধতি প্রমাণ করে যে এই প্রশাসন এমনকি আমেরিকার জনসাধারণের মানসিকতা বুঝতে অক্ষম। ওয়াশিংটন পোষ্টের মত কাগজও বলছে, আমেরিকার আফগানিস্তান থেকে সৈন‍্য সরানোর সিদ্ধান্ত (যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে নেওয়া) সঠিক হলেও বর্তমান প্রশাসন যেভাবে আফগানিস্তান ছেড়ে তালিবানদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে পালিয়ে গেল তাতে আমেরিকার বিদেশনীতির চরম ক্ষতি হল। অথচ বাইডেন প্রশাসন এখনো পাকিস্তানকে সামরিক সাহায্য সহ সমস্ত রকম সাহায‍্য করে যাচ্ছে। এতে তারা বিশ্বের অন‍্যান‍্য দেশের কাছে প্রমাণ করে দিল, তারা মুখে গণতান্ত্রিক মূল‍্যবোধের কথা বললেও আমেরিকা জঙ্গী তোষনকারী দেশ এবং ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ হিসেবে আমেরিকার আর কোন বিশ্বাসযোগ‍্যতা রইল না। এভাবে চললে মহাশক্তিধর ‘সুপার পাওয়ার’ তকমা থেকে যে আমেরিকার নাম বাদ যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
এবার আসি তালিবান সরকারের আফগানিস্তান শাসনের শুরুতে। তালিবানরা সরকার গঠনের আগে গণতন্ত্র, নারী স্বাধীনতা – বিশেষতঃ মহিলাদের লেখাপড়া, চাকরীর স্বাধীনতা দেওয়ার ব‍্যপারে অনেক বড় বড় কথা বলেছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, পাকিস্তানের প্রত‍্যক্ষ মদতে তালিবানদের পাস্তুন গোষ্ঠী ও রাষ্ট্রসংঘের ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কের মানষজন সরকার গঠনে প্রাধান্য পেল। সরকারের প্রধান হল হাক্কানি নেটওয়ার্ক থেকে। ফলে, তালিবান সরকারের বকলমে পাকিস্তানের জঙ্গী শাসন প্রতিষ্ঠার পথেই আফগানিস্তান এগিয়ে গেল। মনে হয়, প্রথম তালিবান সরকারের থেকেও এই দ্বিতীয় তালিবান সরকারের শাসন আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের আরো খারাপের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
একটি দেশের ক্ষমতায় ব‍্যপকভাবে নাক গলানোর জন‍্য যে অর্থনৈতিক শক্তির প্রয়োজন তা পাকিস্তানের নেই। পশ্বিমী দেশগুলির থেকে সাহায‍্য এবং ঐ দেশগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ব‍্যবসা বাণিজ্য ছাড়া পাকিস্তানের দিনগুজরান অসম্ভব। এজন‍্য প্রথমেই তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য করার সর্ত রেখেছে যে তা করতে হবে পাকিস্তানের টাকা – যার কোন মূল‍্য আন্তর্জাতিক বাজারে নেই। এতে আফগানিস্তানের সমূহ ক্ষতি। পাকিস্তানের চাপে তালিবানদের পাস্তুন গোষ্ঠী, যেখানে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রভাব, ক্ষমতা দখল করায় আফগানিস্তানের অন‍্যান‍্য জনগোষ্ঠী যেমন হাজারা, তাজিক, উজবেকরা অসন্তুষ্ট, তেমনি ইরান ও রাশিয়াও এখন এদের সন্দেহের চোখে দেখছে। তালিবানদের বড় অংশও এইভাবে পাখিস্তানের হস্তক্ষেপে সন্তুষ্ট নয়। তালিবানদের মধ‍্যে গন্ডগোল শুরু হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এর মধ‍্যেই তাদের একমাত্র এ‍্যজেন্ডা – কাশ্মীর দখল ও ভারতের খন্ডিতকরন – এর জন‍্য জঙ্গী মনোভাবাপন্ন পাকিস্তান তালিবানদের প্ররোচনা দিতে শুরু করেছে। যত সময় গড়াবে, তত পাকিস্তানের উপর তালিবানদের নির্ভরতা বাড়তে থাকবে এবং পাকিস্তানের চাপও বাড়বে। শেষমেষ এই চাপ ব্ল‍্যাকমেলের পর্যায়ে যাবে। কারন তালিবান তাদের অন‍্য বন্ধু রাষ্ট্র চীনের থেকে তাদের অর্থনীতি, বিশেষতঃ পরিকাঠামো উন্নয়ণে বিশেষ সাহায‍্য পাবে না। চীনের বৈদেশিক সাহায্যের নীতি নিরীক্ষণ করলে বোঝা যায় যে, তারা নিযেদের স্বার্থসিদ্ধির জন‍্য নরম সুদে ধার দিয়ে সাহায্য গ্রহনকারী দেশকে ঋণ ফাঁদে জড়িয়ে দেয়! এখানে চীনের স্বার্থ হল ভারত ও পাকিস্তানের উপর চাপ রাখার জন‍্য বাগরাম এয়ারপোর্টের পূর্ণ সত্ত্ব এবং আফগানিস্তানের ভিতর দিয়ে সড়ক নির্মান করে মধ‍্য এশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সড়ক সংযোগ। এতে আফগানিস্তানের জনগনের আর্থিক বিকাশের সুযোগ নেই। কারন চীন এসব কাজে নিজের দেশের মানষজনকে নিয়োগ করে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও তাই করেছে।
এখানে উল্লেখ করা যায় যে, পাকিস্তান ভারতে ইসলাম বিপন্ন বলে অনেক কাল্পনিক অভিযোগ করে। কিন্তু এই পাকিস্তান চীনে উইঘুর মুসলমানদের উপর অমানুষিক অত‍্যাচারের পরেও এ ব‍্যপারে সম্পূর্ণ নীরব। এভাবে পাকিস্তান তার কাজের মাধ‍্যমে নিজেদের এক ‘বর্বর দেশ’ (rouge country) তে পরিণত করেছে। সম্প্রতি EU পাকিস্তানের সঙ্গে ব‍্যবসা-বাণিজ‍্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহনের যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছে। যদি রাষ্ট্রসংঘ অদুর ভবিষ্যতে পাকিস্তানকে “বর্বর দেশ” ঘোষণা করে তাহলে এই উপমহাদেশের সবকটি দেশের পক্ষেই মঙ্গল। পাকিস্তানের রাজনীতি, অর্থনীতি এমনকি সমাজনীতি, পুরোটাই নির্ভর করে কিভাবে ভারতের ক্ষতিসাধন করা যায় তার উপর। এই নীতি রূপায়নে পাকিস্তান যে ধর্মকে আঁকরে ধরেছে তা এখন পৃথিবীর বেশীরভাগ রাষ্ট্রের কাছে (এমনকি ইসলামিক রাষ্ট্রের কাছেও) ধর্ম বিকৃতি মনে হচ্ছে। একটু বিশদে ব‍্যখ‍্যা করা যাক।
ধ্রুপদী ইসলামী আইন অনুযায়ী পৃথিবীতে তিন ধরনের রাষ্ট্র আছে। দার-আল-ইসলাম – যেখানে ইসলামী আইন মোতাবেক রাষ্ট্র শাসিত হয়। দার-আল-সুলহ – যেগুলি অমুসলিম রাষ্ট্র হলেও সেখানে মুসলমানদের ধর্মাচরনে বাধা দেওয়া হয় না। শুধু তাই নয়, এই রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ইসলামী রাষ্ট্রগুলির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের চুক্তি সম্পাদিত আছে। দার-আল-হার্ব – যে রাষ্ট্রগুলি ইসলামী রাষ্ট্র নয় এবং যাদের সঙ্গে কোন ইসলামী রাষ্ট্রের অনাক্রমণ বা শান্তি চুক্তি নেই।
এই তিন প্রকার দার অর্থাৎ স্থানের কথা কিন্তু কোরান বা হাদাশে পাওয়া যায়না। একমাত্র কোরানে অপ্রত‍্যক্ষভাবে দার-আল-সুলহ এর উল্লেখ আছে। আবু আল ফদলের বক্তব‍্য অনুযায়ী, কোরানে দুই দার-এর উল্লেখ আছে। মানব জীবনের পরবর্তী স্তরের দার ও ভোগবিলাসী মানব জীবনের দার। এর মধ‍্যে প্রথমটি অবশ‍্যই উৎকৃষ্টতর। পরবর্তীতে বিভিন্ন যুদ্ধজয় ও রাজ‍্য দখলের পর এই তিন ধরনের দার-এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। দার-আল-ইসলামের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় আবু হানিফা এবং তাঁর শিষ‍্যদ্বয়, আবু ইউসুফ ও আল-সায়বানীর বক্তব‍্যে। ইসলামী রাষ্ট্রগুলির মধ‍্যেকার বিভাজন ও রাজনৈতিক মতানৈক‍্যের কারনে এখনকার সময়ে দার-আল-ইসলাম ও দার-আল-হার্ব এর পৃথকীকরন শুধু অবাস্তবই নয়, যুদ্ধবাজদের রাজনৈতিক অপচেষ্টা মাত্র। ইসলামী রাষ্ট্রগুলির মধ‍্যেও ধর্ম পালনের বিস্তর প্রকারভেদ, পাশ্চাত‍্য ও প্রাচ‍্যের অমুসলিম দেশগুলির মুসলমান নাগরিকদের অবাধ ধর্মাচরন এই দুই দারকেই অকেজো করে দিয়েছে। বিশেষতঃ ইসলামী রাষ্ট্রগুলির রাষ্ট্রসংঘে যোগদানের পর এখনকার আধুনিক বিশ্বে দার-আল-সুলহ ছাড়া আর কোন রাষ্ট্র নাই। সুরা ৪:৯০ অনুযায়ী এমন রাষ্ট্র যার সঙ্গে ইসলামী রাষ্ট্রের অনাক্রমণ নীতি প্রযোজ‍্য, আল্লা তেমন রাষ্ট্রকে আক্রমণ করার অনুমতি দেন না।
এত কথা বলার কারন একটাই। যে ইসলামের দোহাই দিয়ে অসামাজিক ও অমানবিক কাজের ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে, তা কতটা ইসলাম ধর্ম অনুমোদিত তা জানা। এবার আফগানিস্তানের তালিবানী ফতোয়াগুলির দিকে নজর দেওয়া যাক। অশিক্ষা, কুশিক্ষার আলোতে দেশবাসীকে আচ্ছন্ন করে রাখলে তারা নিজেদের ভালোমন্দ বিচারের ক্ষমতা হারাবে। সেজন‍্য তালিবানী শিক্ষামন্ত্রী বললেন স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি – এসবের কোন মূল‍্য নেই! মনে পড়ে গেল হীরকরাজার দেশের এক অবিস্মরনীয় উক্তি : “যত জানে, তত কম মানে”। দেশের মানুষ শিক্ষা পেলে প্রশ্ন করবে; ভালোমন্দ বুঝতে শিখবে – বিশেষতঃ নারীরা। আরেকটা কথা, মেয়েদের অশিক্ষিত রাখলে তাদের সন্তানরাও অশিক্ষিত থাকবে – এমন সম্ভাবনাই বেশী। ফলে, তালিবান রাজত্বে উচ্চশিক্ষা প্রথমেই বন্ধ হল। যে কোন ধর্ম-শিক্ষা সম্পন্ন করলে তা মানষকে সহিষ্ণুতা শেখায়। সুতরাং যুদ্ধবাজ তালিবান এবং তাদের পালক পিতা পাকিস্তান কখনোই আফগানিস্তানের নাগরিকদের যথার্থ ধর্ম-শিক্ষার সুযোগ দেবেনা। পক্ষান্তরে তারা মোল্লা-মৌলভী মারফৎ নিজেদের সুবিধার্থে বিভিন্ন বাধা-নিষেধ ও বিদ্বেষ ছড়ানো ফতোয়া জারি করবে। ইতিমধ্যে সে কাজও শুরু হয়েছে। তালিবানরা সরকার গঠনের আগে মেয়েদের পড়াশোনা ও খেলাধুলা এবং চাকরীতে বাধা দেবেনা বলে প্রতাশ্রুতি দিয়েছিল। সরকার গঠন করতে না করতেই তারা মেয়েদের খেলাধুলা ও চাকরী বন্ধ করতে শুরু করল। মেয়েদের পড়াশোনার জায়গায় হাজারো বাধানিষেধ আরোপ করে পড়াশোনাও কার্যত বন্ধ করে দিল। এটা খুব অদ্ভুত যে এইসব অশিক্ষিত মোল্লারা তাদের কাজকে শরিয়তের দোহাই দিয়ে সমর্থন করতে বলে! এখানে পরিষ্কারভাবে বলা যাক যে কোরানে সুস্পষ্ট নির্দেশ আছে যে, যেসব অমুসলিম রাষ্ট্রে ধর্মের কারনে মুসলিমদের উপর অত‍্যাচার করা হয় এবং তাদের ধর্মাচরনে বাধা দেওয়া হয়, সেসব রাষ্ট্রের সঙ্গে ক
য়ন সাচ্চা মুসলমান সম্পর্ক রাখবে না। তাদের থেকে সুবিধা নিলে সেই মুসলমানের আল্লার নির্দেশে দোজখ প্রাপ্তি হবে। সুতরাং, উইঘুর ধ্বংস দের উপর অত‍্যাচার ও তাদের মসজিদ ধ্বংস করার পরেও চীনের সঙ্গে তালিবানদের দোস্তি ও চীনের থেকে সুবিধা গ্রহন করে তালিবান নেতৃত্ব অত‍্যন্ত গর্হিত পাপ করেছে এবং ইসলামের বিরুদ্ধাচরণ করেছে! পাকিস্তান সরকারও এই একইদোষে দুষ্ট। কজন মুসলমান ধর্ম যাজক এরজন‍্য পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন! আসলে rogue state পাকিস্তান এই মূহুর্তে সারা বিশ্বজুড়ে জঙ্গী যোগান দেওয়ার কাজে লিপ্ত। এই জঙ্গীদের পরিকল্পনা হচ্ছে ধর্মের নামে নাশকতা চালিয়ে যাওয়া। এতে কিন্তু সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিশ্বের ইসলাম ধর্মী সাধারণ মানুষ। আমাদের সৌভাগ‍্য যে বেশীরভাগ ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তানের চাল ধরে ফেলেছে। ফলতঃ, এখনো অব্দি বিশ্বব‍্যপী ইসলামী ভ্রাতৃত্বের আওয়াজ তুলেও পাকিস্তান সেভাবে ইসলামী রাষ্ট্রগুলির থেকে মদত পায়নি। উপরন্তু হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও পাস্তুনদের নিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল আশেপাশের ইসলামীদেশের কাছে ভালো ঠেকবে না। শুধু তাই নয়, তালিবানের মধ‍্যে হাজারা ও তাজিকরাও এদের কর্তৃত্ব বেশীদিন মানবেনা। কোন মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের কথায় মজে গিয়ে এখনো অব্দি বর্তমান তালিবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। পক্ষান্তরে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ইরান ওউজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তান তাদের অসন্তুষ্টি ব‍্যক্ত করেছে। রাষ্ট্রসংঘের ঘোষিত জঙ্গীদের নিয়ে পাকিস্তানের মদতে গঠিত সরকারকে একমাত্র স্বীকৃতি দিয়েছে চীন। এমনকি তালিবানের ঘোষিত সদর দপ্তর কিছুদিন আগেও যে দেশে ছিল, সেই কাতার অব্দি ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়ে চলছে।
জঙ্গী তালিবানদের উপর পাকিস্তানি শাসন বন্ধ করার জন‍্য; এই বিশ্বকে স্থায়ীভাবে জঙ্গী সন্ত্রাস মুক্ত করার জন‍্য, অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রসংঘের যে যে উপায় অবলম্বন করা উচিৎ তার প্রথমেই এই পাকিস্তান নামের বর্বর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর তত্বাবধানে ভেঙ্গে দিয়ে জঙ্গী উৎপাদন ও তার সাপ্লাই চনটিকেই ধ্বংস করে দিতে হবে। অবশ‍্যই প্রবল বাধা আসবে চীনের থেকে। বিশ্বের রাষ্ট্রনায়কদের সেই বাধার সফল মোকাবিলা করতেই হবে বিশ্বকে সন্ত্রাসমুক্ত করার জন‍্য। আর হ‍্যাঁ, আফগানিস্তানের সকল নাগরিকের মুক্ত ভোটাধিকার প্রয়োগে যে সরকার তৈরী হবে তাকেই রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *