পার্থ ও অনুব্রত কান্ড বর্তমান রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তিতে যে কালিমা লেপন করেছে তার থেকে মুক্তির চেষ্টা করতে গিয়ে তৃণমূলের আভ্যন্তরীন অনৈক্যের যে খবর সংবাদ-মাধ্যমে বেরিয়ে আসছে তা এখন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের শিরঃপীড়ার কারন হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে গোষ্ঠীকোন্দলের খবর দলের অস্বস্তির কারন, তার প্রায় সবগুলির মূলে আছে বখরার ঝগড়া ও কাটমানির দখল নিয়ে দলের আভ্যন্তরীন লড়াই। দলের সমর্থক ও সাধারন মানুষদের থেকে ‘ঘুষ’ বাবদ টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগ। সঙ্গে জুড়েছে টাকা দিয়েও চাকরি না পাওয়ার অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে পুরোনো কথা মনে পড়ে খেল – তখন ঘোর সিপিএম আমল – আলিমুদ্দিনের অনুমোদন ছাড়া রাজ্যে একটি গাছের পাতা অব্দি নড়ে না! সে সময় রাজ্যে প্রোমোটারী ব্যবসার রমরমা। সব প্রোমোটাররা নিজেরাই ‘লোকাল কমিটি’র নেতা বা আলিমুদ্দিনের নির্দিষ্ট স্থানে ভেট চড়িয়ে ‘বড় ব্যবসায়ী’। এক সময় পার্টির ‘চাহিদা’ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, সেই চাহিদা মেটাতে গিয়ে প্রোমোটার একই ফ্ল্যাট তিন-চারজনকে বেচে দিত! এমন অনেক কেস ধরা পড়ার পর সরকার নড়েচড়ে বসে এই অস্বাভাবিক তোলাবাজিতে রাশ টানতে বাধ্য হয়।
বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে দু রকম পদ্ধতিতে অবৈধ অর্থ সংগ্রহের অভিযোগ পাওয়া যায় – অবশ্য এসব অভিযোগ প্রমাণের দায়িত্ব প্রশাসনের। যেভাবে সংবাদ-মাধ্যমে নিত্য নতুন অবৈধভাবে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে – যার প্রতি ক্ষেত্রেই শাসকদলের যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে – তার মূলে আছে বিভিন্ন অযোগ্য প্রার্থীদের সরকারি ও সরকারপোষিত সংস্থায় চাকরির বিনিময়ে মোটা টাকা সংগ্রহ! যে কেসগুলি যোগ্য প্রার্থীদের উচ্চ আদালতে মামলার প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের রায় অনুসারে কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করছে তার সংখ্যা নগণ্য। পরবর্তীকালে যেখানেই সরকারি চাকরির কথা জানা যাচ্ছে, সবেতেই দূর্ণীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমার এক ভূতপূর্ব সহকর্মী, যিনি রাজ্য সরকারের অতি উচ্চ পদে কর্মরত ছিলেন, আমাকে কয়েকদিন আগে ফোন করে বললেন, “মনে হচ্ছে এরা গত এগারো বছরে সব সরকারি চাকরিই বিক্রি করেছে!” এই উক্তিতে সত্যতা হয়ত নেই, কিন্তু সারবত্তা আছে। অর্থাৎ, সরকারি চাকরি, তা শিক্ষক নিয়োগ হোক বা অন্য জায়গায়, সবেতেই অনিয়ম করে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চনা করে অযোগ্যদের ঢোকানো হয়েছে! শুধু শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই দূর্ণীতির আর্থিক পরিমাণ আনুমানিক তিন হাজার কোটি হবে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের অনুমান। এছাড়া, জনশ্রুতি আছে যে, কোন নির্বাচনে দলের প্রার্থী হতে গেলে যথাস্থানে লক্ষ লক্ষ টাকার ভেট চড়াতে হয়! যদি কেউ দেশ সেবার সংকল্প নিয়ে নির্বাচনে লড়তে চান, তবে তিনি নিশ্চয়ই চড়া মূল্যে নির্বাচনের ‘সিট’ কিনবেন না! তারাই অর্থ ব্যয় করে নির্বাচনে লড়বেন, যাঁরা নির্বাচনে জিতে বিনিয়োগের বহুগুণ অর্থ, অবশ্যই অবৈধ উপায়ে, অর্জন করবেন! এ অসৎ ব্যবসার র্যাকেট হয়ে দাঁড়িয়েছে – গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দেশসেবার রাজনীতির চরম অবক্ষয় হিসেবেই একে দেখা হবে।
এরপর আসি অবৈধ উপায়ে উপার্জনের দ্বিতীয় গণ-অভিযোগে। এটি নিঃসন্দেহে একটি অভিনব পরিকল্পনা – যা রূপায়নের জন্য সরকারি প্রশাসনের সহযোগীতা আবশ্যক। তার জন্য ধীরে ধীরে সরকারের প্রশাসন যন্ত্রকে দলদাসে পরিণত করা হল। তারপর এই পদ্ধতিতে যে কাজটির সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন, তা হল, সরকারি কোষাগার থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে অনুদান দেওয়া। এর জন্য বিভিন্ন অকারন, অযৌক্তিক প্রকল্প ঘোষণা করে তাকে রাজ্যের ‘উন্নয়ণ’ বলে চালানো! এটি দু রকমভাবে করা হয় – প্রথমটি সরাসরি জনসাধারণের নির্দিষ্ট অংশকে বিভিন্ন নামের প্রকল্পের মাধ্যমে অনুদান হিসেবে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ প্রদান। এক্ষেত্রে বেশ কিছু ভুয়ো একাউন্টে টাকা যাওয়ার সুযোগ আছে যা ইউসির অডিট হলে ধরা পড়া উচিৎ। আবার প্রাপকদের থেকে কাটমাণি নেওয়ার অভিযোগও আসছে! দ্বিতীয়টি হল, বিভিন্ন NGO এবং অন্যান্য সংস্থাকে ‘উন্নয়ণ’ ও ‘গবেষণা’র স্বার্থে প্রকল্পভিত্তিক অনুদান প্রদান! এই দুটি ক্ষেত্রেই টাকা নয়ছয়ের বিরাট সুযোগ রয়েছে। প্রথম ক্ষেত্রে যে মানুষদের অনুদান দেওয়া হচ্ছে তা প্রকল্প বিশেষে সঠিক জায়গায় যাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে প্রশাসনিক গাফিলতি আছে। তবে তা ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত তা একমাত্র সঠিক অনুসন্ধান করলেই বোঝা যাবে। এমন মানুষের খোঁজ জানা আছে, যার বাড়ি, গাড়ি থাকা সত্বেও তার স্ত্রী ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রাপক! আবার এমন সংবাদ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে যে, স্বামী বর্তমানে স্ত্রী ‘বিধবা ভাতা’ পাচ্ছে! ১০০ দিনের কাজে MGNREGA প্রকল্পে প্রকৃত প্রাপক ও টাকার খরচের মধ্যে কারচুপি না থাকলে রাজ্য সরকার কেন বারবার UC দিতে ব্যর্থ হচ্ছে! যে কোন সরকারি প্রকল্পের কাজে বরাদ্দ অর্থ খরচের utilization certificate দেওয়া আইন অনুসারে বাধ্যতামূলক। না হলে পরবর্তী পর্যায়ে টাকা দেওয়া যায় না। রাজ্য সরকার এই UC না দিয়ে অযথা কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষারোপের নাটক করছেন। তাদের এমন ভাব যেন মনে হচ্ছে, ভোটে জিতলে নির্বাচিত সরকারের দেশের আইন না মানার অধিকার জন্মায়! ভোটে জেতার অর্থ কিন্তু আর্থিক নয়ছয় করার অধিকার নয়। এছাড়া, ‘উন্নয়ণ’ করার তাগিধে যে কাজ করা হচ্ছে, সেখানেও রাজ্য সরকারের থেকে যথাযথ প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান না থাকার কারনে (দুর্জনে বলে, রাজ্যের শাসকদলের চাপে) এসব প্রকল্পের accountability থাকে না। এমন ব্যাপারও জানি, যেখানে গবেষণা প্রকল্পে গবেষক তার পাওয়া টাকার UC না দিলেও রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট পরবর্তী বছরের টাকার গ্রান্ট ‘রিলিজ’ করে দিয়েছেন! এইভাবে “এলোমেলো করে দে মা লুঠেপুটে খাই” নীতির ফলেই আদালতের রায়ের কারনে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারি অডিটের প্রেক্ষিতে ভিজিলান্সের সক্রিয়তাও শুরু হয়েছে বলে খবর।
এরপর আসছে রাজ্যের সম্পদ – কয়লা, বালি খাদান, পাথর খাদান ইত্যাদির অবৈধ উত্তোলন ও পাচার! সঙ্গে বাংলাদেশে অবৈধ উপায়ে গরু পাচার! রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া এসব পাচার কখনোই সম্ভব নয়।
এতদিন অনুগৃহীত সংবাদ-মাধ্যমের কর্মদক্ষতায় এবং প্রশাসন-পুলিশ ও দলের “দুষ্টু ছেলে”দের দৌরাত্মে রাজ্যের মানুষ বাধ্য হয়ে নিশ্চুপ ছিলেন। কিন্তু এখন দলের মধ্যে দুই প্রাসাদের লড়াই ও তার প্রভাবে এই দলের জনপ্রিয়তা দিন দিন কমছে। আগেও বলেছি, এখনও বলছি, দলের নেতারা যতই আভ্যন্তরীন কোন্দল বলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চেষ্টা করুন না কেন, আসলে এই লড়াই “টালির চালা”র সঙ্গে একই অঞ্চলের “শান্তিনিকেতন”এর লড়াই। রাজ্যের যুবরাজ ধীরে ধীরে দলীয় প্রশাসনকে নিজের মত করে সাজিয়ে নিচ্ছেন! যে সব নেতারা শুধু “টালির চালা”য় ‘অনুপ্রানিত’ থাকবেন তাদের উইকেট পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা! একটি কথা মনে রাখা দরকার – যেটা বারবার স্বার্থান্বেষী মহল থেকে ঘুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে – কেন্দ্রীয় সংস্থারা যে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপি দলের কোন সম্পর্ক নেই। কারন এই সংস্থাগুলি উচ্চ আদালতের নির্দেশে ও তাদের তত্ত্বাবধানে এই অনুসন্ধান চালাচ্ছে। একে “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” বলা হতাশাজনিত বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা মাত্র।
ঠিক একই রকমভাবে একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী থেকে তাদের রাজনৈতিক লাভের জন্য সেটিং তত্ত্ব আউরে জনগনের মনে অনুসন্ধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থাদের ও উচ্চ আদালতের সম্মানহানির অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
লক্ষ্য করলে বোঝা যায় যে, রাজ্যের যুবরাজের সরাসরি অনুগত ভৃত্যের পর্যায়ে না থাকতে চাওয়া হেবিওয়েট পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও দলের জেলা সভাপতিদের মধ্যে নেত্রীর চরমতম প্রশ্রয়ে থাকা অনুব্রত মন্ডলের উইকেট কেন্দ্রীয় সংস্থাদের হাতে চলে গিয়েছে। এর অবিসম্বাদী ফল হল, দলের সর্বস্তরের নেতৃত্বের কর্মপদ্ধতি বদল। শুধু ‘অনুপ্রানিত’রা নিশ্চুপ – যা কিছু আবোলতাবোল বকছেন “মাননীয়া” – আর “ব্রাহ্মণ যখন মুসলমান হয়, গোস্ত খাওয়ার যম হয়” প্রবাদকে মাণ্যতা দিয়ে যুবরাজ পদতলে “আগে কেবা প্রাণ করিবেক দান” গোছের বক্তব্য রাখছেন – “আইন আইনের পথে চলবে” অথবা “মানুষকে ঠকিয়ে কেউ কিছু করলে দল তাকে সমর্থন করে না” এবং “আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি”! এসব বুলি এতদিন কোথায় ছিল? একজন পদস্থ পুলিশ কর্মচারিকে বাঁচাতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি যেদিন উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মচারিদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে বসেছিলেন, সেদিনই রাজ্যবাসীর কাছে সিগন্যাল গিয়েছিল যে দূর্ণীতি ও প্রশাসনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করার প্রশ্নে রাজ্যের সর্বোচ্চ ব্যক্তির অবস্থান কি! সেদিন থেকে জনমানসে দূর্ণীতির ঝর্ণার উৎস সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা হয়ে গিয়েছিল। একই সঙ্গে প্রশাসনকে বার্তা দেওয়া হল, দূর্ণীতিতে সহযোগিতা করার। তারপর থেকে ঘোমটা খসে গিয়ে দলের মধ্যে দূর্ণীতির গণতন্ত্রীকরন খোলাখুলিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
এভাবে অবস্থা হাতের বাইরে চলে যাওয়ার পর যুবরাজ আসরে নেমে তাঁর মত করে শুদ্ধিকরন প্রক্রিয়া শুরু করলেন! উদ্দেশ্য একটাই – গদির উত্তরাধিকার প্রাপ্তি – যা দ্রুততার সাথে কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হল। হাগিস পরিহিত রাজনীতিবিদের অধৈর্য্য ও অনভিজ্ঞতা তাঁর রাজনৈতিক উত্তরণের প্রধান অন্তরায়। কারন, দুটি উইকেট পড়ার পর ‘অনুপ্রেরনা’র অনুচরদের আরো উইকেট পড়া যখন নিশ্চিত, তখনই এই অভিজ্ঞ রাজনীতিকরা offence is the best defence নীতি সম্বল করে নেমে পড়বেই। অসমর্থিত খবর- একজন সুপার-হেবিওয়েট নেতার অন্ধকার কাজের প্রধান সহযোগী – তাঁর জামাই রাজ্য বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এছাড়া, একজন মন্ত্রী এবং কোলকাতার কাছের একজন পৌরনিগমের মেয়রও নাকি একই পথের পথিক! সুতরাং, মুষল পর্ব শুরু হয়েছে – ধ্বংস শুধু সময়ের অপেক্ষা।
এখানে সব বিরোধীদল, বিশেষতঃ বিজেপিকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন – যাতে ২০২১ এর পুনরাবৃত্তি না হয়। এটা পরিষ্কার, ছাটমাল ও বড় রকমের অসৎ না হলে কেউ তৃণমূল দল পরিবর্তন করবে না। অনেকে, এমনকি বড় মাপের রাজনীতিবিদ পর্যন্ত বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে তাঁরা একজন একনাথ শিন্ডের অপেক্ষায় আছেন! আমার মনে হয়, এই চিন্তা ভুল। কারন, আদর্শগত দিক দিয়ে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে স্বাভাবিক মিত্রতা থাকার কথা। শুধু ঠাকরে পরিবারের ব্যক্তিগত উচ্চাশার জন্য মহাগোটবন্ধন তৈরী হয়েছিল – যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভেঙ্গে যাওয়াই স্বাভাবিক। শুধু একনাথ শিন্ডে অগ্নি প্রজ্জ্বলনের কাজটুকু করেছেন।
পরিশেষে একটি উর্দু শায়ের দিয়ে শেষ করি – ” গুলিস্তাঁ বরবাদ করনে মে একই উল্লু কাফি হ্যায়, হর শাখ পর উল্লু বৈঠা হ্যায় ত গুলিস্তাঁ কা ক্যায়া হোগা”। এই এখনকার তৃণমূলের অবস্থা। এ সব ছাঁটমাল, দূর্ণীতিগ্রস্ত নেতারা (যারা মেনে নিয়েছিলেন, একটাই পোস্ট, বাদবাকী ল্যাম্পপোস্ট) বিজেপি বা সিপিএম – যে দলেই যাক না কেন, সেই দলের কর্মী, সমর্থকদের মনোবল নষ্ট করে দলের রাজনৈতিক সমাধি ঘটাবে। এই অনুপ্রানিত দলটির দূর্ণীতি ও বাগাড়ম্বরপ্রিয় অসৎ নেতৃত্বের ভারে চুর্ণ-বিচুর্ণ হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
তৃণমূলের অস্তিত্ব সংকট কোন পথে
