নব মূল‍্যায়নে শ‍্যামাপ্রসাদ মূখোপাধ‍্যায়

ভারতের স্বাধীনতার সন্ধিক্ষণে অন‍্যতম বিতর্কিত রাজনৈতিক চরিত্র, যিনি তাঁর ১২০ তম জন্মদিনের প্রাক্কালে ঐতিহাসিক চরিত্র হিসেবে ভারত তথা বাংলার ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন, তিনি আর কেউ নন – স‍্যার আশুতোষ মূখোপাধ‍্যায় ও শ্রীমতি যোগমায়া দেবীর দ্বিতীয় সন্তান শ্রী শ‍্যামাপ্রসাদ মূখোপাধ‍্যায়।
শ‍্যামাপ্রসাদের জীবনে তাঁর মা, মহিয়সী নারী যোগমায়া দেবীর গভীর প্রভাব পড়েছিল। মা ই তাঁকে শিখিয়েছিলেন সর্বদা সত‍্য ও ন‍্যায়ের জন‍্য লড়াই করতে। এই লড়াইয়ে তিনি আপোষহীন ছিলেন বলেই তাঁকে বারবার দল ও চেয়ার, মন্ত্রীত্ব ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছে। তাঁর সঙ্গে জওহরলাল নেহরুর ব‍্যক্তিগত কোন সংঘাত ছিলনা। নেহরু যখন দেশের স্বার্থের পরিপন্থী অশুভ শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, শ‍্যামাপ্রসাদ তখনই তার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। বিবেক সায় না দেওয়ায় তিনি কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতার ৩৭০ ও ৩৫(এ) ধারার বিরোধিতা করে মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন। এতে যাদের স্বার্থহানি ঘটেছে তারাই তাঁর নামে কুৎসা করেছে। তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে ভারতীয় জনসংঘের প্রতিষ্ঠা করেন যা আজকের ভারতীয় জনতা পার্টি রূপে পরিচিত। সুতরাং জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক প্ল‍্যাটফর্ম তৈরীর কৃতিত্ব কিন্তু শ‍্যামাপ্রসাদ মূখোপাধ‍্যায়ের প্রাপ‍্য।
শ‍্যামাপ্রসাদের শিক্ষা ও শিক্ষা সংস্কারের বিষয়ে আবেগ ছিল লক্ষ‍্যণীয়। স্বল্প সময়ের মধ‍্যে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ‍্যালয়ের শিক্ষা ব‍্যবস্থাকে আধুনিকতার মোড়কে মুড়ে দিয়েছিলেন। এর জন‍্য কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। একজন জাতীয়তাবাদী শিক্ষানুরাগী, যাঁর প্রথম প্রেম ছিল আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষায় সমাজকে শিক্ষিত করে তোলা এবং সর্বস্তরে শিক্ষার বিস্তার ঘটানো – শুধু এই আলোতেই শ‍্যামাপ্রসাদের নব-মূল‍্যায়ন করা যায়।
প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতকস্তরে ইংরেজিতে প্রথম হওয়ার পরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাতে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায়ও প্রথম স্থান অধিকার করেন। তারপর ল এর স্নাতক হন। এরপর তিনি লন্ডনের লিঙ্কন ইন্ থেকে ব‍্যারিস্টার-এট-ল হন। তিনি মাত্র তেত্রিশ বছর বয়েসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কণিষ্ঠতম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁকে উদ্দেশ‍্যপ্রণোদিতভাবে শুধু হিন্দুদের নেতা হিসেবে চিহ্নিতকরণ যে কত বড় মিথ‍্যা তা তিনি উপাচার্য হিসেবে তাঁর কাজের মধ‍্যেই প্রমাণ করে গেছেন। তাঁর সময়ই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন vernacular বিষয়ে পঠন-পাঠন শুরু হয়। তাঁর উদ‍্যোগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের islamic history কোর্স চালু হয়। তাঁর পিতা স‍্যার আশুতোষ মূখোপাধ‍্যায়ের উপাচার্য থাকার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে industrial chemistry চালু হলেও তাঁর সময়ই তা বিস্তার লাভ করে। তিনি যে industrial physics এর সূচনা করেছিলেন, আজ সেখানেই তা information technology নামে পরিচিত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা বিষয়ক গবেষণা বিভাগ শুরু করেন। তিনি শিক্ষায় উৎকর্ষতা বাড়ানোর জন‍্য ছাত্রদের মধ‍্যে বিদেশের অন‍্যান‍্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে exchange programme চালু করেন। medicine এবং engineering এর সিলেবাস পরিবর্তন করে তিনি আধুনিক বিজ্ঞানের জ্ঞান আহরণের উপযোগী করে তোলেন। তিনি সামাজিক ও আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পরা ছাত্রদের জন‍্য বিভিন্ন স্কলারশিপের প্রচলন করেন। তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে দীক্ষান্ত ভাষন দেওয়ার জন‍্য আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসেন। সেই প্রথম, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলায় ভাষন দেওয়া হয়। তাঁর শিক্ষাজগতের প্রতি অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করে।
শ‍্যামাপ্রসাদ উপাচার্য হওয়ার পরেই ম‍্যাট্রিক পরীক্ষা মাতৃভাষায় দেওয়ার উদ‍্যোগ গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় বিজ্ঞান শাখায় থিওরীর সঙ্গে আলাদাভাবে প্র‍্যাকটিকাল পরীক্ষা নেওয়ার বিধি চালু করেন। শ‍্যামাপ্রসাদ বালিগঞ্জে জীববিদ‍্যা, প্রাণীবিদ‍্যা, নৃতত্ত্ব, শরীরবিদ‍্যা ইত‍্যাদি সকল প্রাণ-বিদ‍্যা অধ‍্যয়ণের বিষয়গুলিকে আলাদাভাবে অধ‍্যয়ণের সুযোগ করে দেন। এর পাশেই তিনি ফলিত রসায়ণের জন‍্য আলাদা ভবন নির্মানের নির্দেশ দেন।
যদিও শ‍্যামাপ্রসাদ বিজ্ঞানের লোক ছিলেন না, তিনি বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণাকে অত‍্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। তিনিই প্রথম এগ্রিকালচারাল সায়েন্সকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ‍্যক্রমের মধ‍্যে আনেন। তাঁর বন্ধু মেঘনাদ সাহা নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে উচ্চতর গবেষণা করার জন‍্য সাহায্য চাইলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ‍্যামাপ্রসাদের সক্রিয় সহযোগিতায় ১৯৫০ সালেই এই কাজের জন‍্য একটি গবেষণাকেন্দ্র তৈরী হয়। সেটি এখন সাহা ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স। কলকাতায় কেন্দ্রীয় গ্লাস ও সিরামিক রিসার্চের অটোনমাস কেন্দ্র গঠনেও তিনি অনেক সাহায‍্য করেন। তখন শ‍্যামাপ্রসাদ কমার্সও ইন্ডাস্ট্রীর মন্ত্রী। এটি এখন CSIR এর অধীন একটি ‘flagship institute’। তিনিই প্রথম CSIR এর সহ-সভাপতি। শ‍্যামাপ্রসাদ ন‍্যাশনাল ফিজিক‍্যাল ল‍্যাবোরেটরী গঠনে পরিকল্পনা ও সফল রূপায়ণ করেন। ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার প্রতিষ্ঠিত IACS, Kolkata, এর বিস্তারে শ‍্যামাপ্রসাদ সক্রিয়ভাবে সাহায‍্য করেন।
ভারতের ইতিহাসে নেহরুইয়ান সোশালিষ্ট রাজনীতির কম‍্যুনিষ্ট কন্ট্রোল ও সোশাল সায়েন্স কন্ট্রোল থাকায় আমরা সত্তরের দশক থেকে আমরা পত্রপত্রিকায় ও পাঠ‍্যপুস্তকাদিতে কম‍্যুনিষ্টসুলভ বিকৃত ইতিহাস রচনার পরিচয় পেতে শুরু করি। এই প্রেক্ষাপটেও শ‍্যামাপ্রসাদের সঠিক মূল‍্যায়ণ প্রয়োজন। তিনি বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে জিতে আসার পরে মতবিরোধের জেরে অল্পদিনের মধ‍্যে পদত‍্যাগ করে আবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে জিতে আসেন। এখানেই কংগ্রেসের নেতারা তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তার পরিচয় পান। তারপর ১৯৪১-৪২ সালে তিনি ফজলুল হকের কৃষক প্রজাপার্টির সঙ্গে মিলিজুলি সরকারের মন্ত্রী হলেন। ব্রিটিশ সরকারের দমন নীতি ও পীড়নের প্রতিবাদে এই মন্ত্রীসভা থেকেও তিনি পদত‍্যাগ করেন। এরপর প্রবল বন‍্যায় মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে তিনি সাহায‍্যের হাত বাড়িয়ে দেন। মহাবোধী সোসাইটি, রামকৃষ্ণ মিশন ও মারোয়ারী রিলিফ সোসাইটির সঙ্গে মিলে ত্রাণ বিলিতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা নেন। ঐ সময় শ‍্যামাপ্রসাদ বাঙ্গালী হিন্দু ও বাংলায় বসবাসকারী হিন্দু অবাঙ্গালী উভয়ের কাছেই নেতা হিসেবে বিবেচিত হতেন। অবশ‍্য তার পিছনে একটি ইতিহাস আছে। তিনি দেখলেন যে, ব্রিটিশ লালিত, উগ্র ধর্মান্ধতার নিরিখে ধর্মের ভিত্তিতে সমাজ বিভাজনকারী মুসলিম লীগ ও তার নেতা মহম্মদ আলী জিন্না ও তার দলবল ভারত ভাগ করে দুটো আলাদা মুসলিম খন্ড নিয়ে ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদনের লালসায় উন্মাদ। সঙ্গে ব্রিটিশের প্রশ্রয়ে লালিত নেহরুর প্রতি গান্ধীজীর অন্ধ সমর্থন শ‍্যামাপ্রসাদের মনে ‘হিন্দুদের বলির পাঁঠা’ করার ভীতির উদ্রেক করে। তিনি অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার সর্বভারতীয় নেতা হয়ে ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে মিলিতভাবে, গঠিতব‍্য পাক-ই-স্তানের হিন্দুদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতির দাবী তোলেন। এরথেকে আজকের পরিস্থিতিতে মূল‍্যায়ন করতে বসে সহজেই বলা যায় যে, তখনকার রাজনীতিকদের মধ‍্যে তাঁর মত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন আর একজন নেতাও ছিলেন না। শ‍্যামাপ্রসাদ কিন্তু আদতে হুগলী জেলার জিরাতের লোক। তবুও পূর্ববঙ্গের হিন্দুদের দূরবস্থা তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। এটাই রাজনৈতিক ও সামাজিক দূরদৃষ্টি।
১৯৪৬ সালে তিনি প্রথম বাংলা ভাগের কথা বলেছিলেন। এর পিছনের ঘটনাপ্রবাহ পর্যালোচনা করলে শ‍্যামাপ্রসাদের সঠিক মূল‍্যায়নে সুবিধা হবে। জওহরলাল নেহরুর স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ভারতবর্ষে বসবাসকারী মুসলমানদের ধন, সম্পত্তি, ধর্ম ও প্রাণ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিতে তৈরী থাকলেও পাক-ই-স্তানে অনুরূপ আইন নির্মানে জিন্না, লিয়াকত আলীদের কোন আগ্রহ ছিলনা। এদিকে শরৎ চন্দ্র বোস ও হুসেইন শাহিদ সুরাবর্দীরা দাবী করলেন বঙ্গপ্রদেশকে নিয়ে আলাদা রাষ্ট্র তৈরী হোক। বাংলার মুসলিম লীগ নেতাদের ধারনা ছিল, এইভাবে গঠিত রাষ্ট্রে তারাও নেহরু ও জিন্নার মত নেতা হতে পারবে আবার সেইসঙ্গে মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র হওয়ায় তারা ধর্মীয় প্রভাব বজায় রেখে মুসলিম শাসনের আরো একটি রাষ্ট্র পাবে। এই ধারনার বশবর্তী হয়ে এই নেতারা সত‍্যকে উপেক্ষা করার ধৃষ্টতা দেখান। এই সময়ে রমেশচন্দ্র মজুমদার লিখিতভাবে শ‍্যামাপ্রসাদকে সমর্থন করেন। শ‍্যামাপ্রসাদ বাংলা ভাগ করে হিন্দু প্রধান অঞ্চলকে ভারতভুক্তির প্রস্তাব পেশ করেন। অকাট‍্য যুক্তি সাজিয়ে তিনি লর্ড মাউন্টব‍্যাটেনকে চিঠি লেখেন। তাঁর দাবীর সমর্থনে জনমত বাড়তে থাকে। এতেই বঙ্গীয় মুসলিম নেতাদের স্বার্থে আঘাত পড়ে। তারা জিন্নার ডাইরেক্ট অ‍্যাকশানের ডাকে বাংলার ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ‍্যায়ের সূচনা করেন। ১৯৪৭ সালের ১৬ই আগস্ট জিন্নার ডাকে কলকাতায় যে হিন্দু নিধন শুরু হয়, তাতে বৃটিশ রেকর্ড অনুযায়ী চার হাজার মানুষের মৃত‍্যু হয় ও এক লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়। যেহেতু সুরাবর্দীর সরকার এই হত‍্যালীলার মদতদাতা সেহেতু তার পুলিশ হিন্দুদের কোন নিরাপত্তা দেয় না। এরপর যখন হিন্দুরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে তখন কংগ্রেসের পক্ষে গান্ধীজী তাঁর পেটেন্ট শান্তির বাণী বিতরন করে হিন্দুদের থামান। তখন মুসলমানরাও প্রতিরোধের ভয়ে পিছিয়ে যায়। এর ফলশ্রুতিতে বঙ্গের বেশ কয়েকটি মুসলমান অধ‍্যুষিত জায়গায় হিন্দুনিধন শুরু হয়। এর মধ‍্যে সবচেয়ে বিভৎস নোয়াখালী কিলিং। ওই বছরের লক্ষীপূজোর দিন নোয়াখালীতে হিন্দুনিধন, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ ও সম্পত্তি লুঠ করা শুরু হয়। এটি একতরফাভাবে সংঘটিত হয়। এর একমাত্র কারন যারা অত‍্যাচারিত তাদের ধর্ম হিন্দু! পৃথিবীর ইতিহাসে আর এমন কোন ধর্মীয় কারনে হত‍্যার উদাহরণ নেই। আশ্চর্যের কথা, কংগ্রেস লালিত কম‍্যুনিষ্ট ইতিহাসবিদরা এর জন‍্য শ‍্যামাপ্রসাদের পশ্চিমবঙ্গ গঠনের প্রস্তাবকে দায়ী করেন। দেশবিরোধী, হিন্দুবিরোধী, জিহাদী ইসলামের সমর্থনকারী কম‍্যুনিষ্টদের বর্তমান দুরবস্থার জন‍্য তাদের এই নীতিই দায়ী। এই সময়ে গান্ধীজীকে মুসলিম লীগ নেতারা বিদ্রুপ করতেন। সেইজন‍্য তিনি নেতৃত্ব বজায় রাখার তাগিধে মুসলমানদের কিছু না বলে হিন্দুদের ইসলামের নামে অত‍্যাচার সহ‍্য করার (!) পরামর্শ দেন। কিন্তু এই ঘটনাগুলির ফলে জওহরলাল নেহরু থেকে লর্ড মাউন্টব‍্যাটেন ও শেষে বৃটিশ সরকারও বাংলা ভাগ মেনে নিতে বাধ‍্য হন। একমাত্র মুসলিম নেতারা মানতে আজো তা মনে মনে মানতে পারেনি। বাঙ্গালী হিন্দুরা যে ভারতের মধ‍্যে তাদের সেফ হোমল‍্যান্ড পেয়েছে তার পুরোপুরি কৃতিত্ব শ‍্যামাপ্রসাদের। পরবর্তীতে কাশ্মীরের যে বিশেষ ক্ষমতার বিরোধীতা করে তিনি ও কে সি নিয়োগী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে পদত‍্যাগ করেন, তাঁর সেই দাবী বর্তমান সরকার পুরণ করেছে। নেহরুর সঙ্গে লিয়াকত আলীর চুক্তি নেহরু মানলেও জিন্না মানেননি। শ‍্যামাপ্রসাদ শুধু যে একজন ভবিষ‍্যৎ দ্রষ্টা, দৃঢ়চেতা রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন তাই নয়, সমাজসেবা ও শিক্ষার বিকাশে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
ভারতের ইতিহাসে শ‍্যামাপ্রসাদ মূখোপাধ‍্যায়ের নতুন করে মূল‍্যায়ণ করা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *