পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির বেহাল দশা

এই মূহুর্তে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মানুষের মাথায় প্রায় ষাট হাজার টাকা ঋণের বোঝা – সৌজন‍্যে গত পঞ্চাশ বছরের রাজ‍্য সরকারের শাসন! এর দায় কার? কে নেবে দায়িত্ব? সঠিক উত্তর দেওয়া ত দূরের কথা, কোন রকম উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা পর্যন্ত এই রাজ‍্য সরকারের নেই। রাজনীতির আঁচকা আঁচকি থেকে আতাঁত – এসব প্রশ্নে যাওয়া এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ‍্য নয় – কোন ব‍্যক্তিবিশেষের দোষ-গুণ বিবেচ‍্য নয়। এখানে প্রশ্ন উঠছে – এভাবে কতদিন? সম্প্রতি রিজার্ভ ব‍্যাঙ্ক জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ঋণের বোঝা এতটাই যে, সুদ দেওয়াসহ তার খরচের পরিমাণের তুলনায় সরকারের রোজগারের পরিমাণ অত‍্যন্ত কম! অর্থাৎ, রাজ‍্য সরকার ঋণজালের ফাঁদে জড়িয়ে গেছে। এর দায় নিশ্চয়ই রাজ‍্য সরকারের।এখানে একটা কথা মনে রাখা দরকার – আমাদের সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতায় মন্ত্রী, এমনকি মূখ‍্যমন্ত্রীর পর্যন্ত আর্থিক ক্ষমতা নেই! IAS বিভাগীয় প্রধানরা এই ক্ষমতা ভোগ করেন – অবশ‍্যই মূখ‍্যসচিবের অনুমত‍্যানুসারে। তা’হলে এমন আর্থিক হালের জন‍্য দায়ী কে? অবশ‍্যই এই IAS অফিসারেরা নন; কারন প্রশাসন চলে সরকারী নীতি অনুসারে। আর এই নীতি নির্ধারণ করেন বিভাগীয় মন্ত্রীরা – অবশ‍্যই মূখ‍্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভার অনুমোদন সাপেক্ষে। শুধু নীতি নির্ধারণের পর তা রূপায়ণের দায় থাকে প্রশাসনিক কর্তাদের উপর। তা’হলে আর্থিক বিশৃঙ্খলার দায় এসে পরে মন্ত্রীসভা ও মূখ‍্যমন্ত্রীর উপর। আর্থিক আয়-ব‍্যয়ের নীতি যারা নির্ধারন করেন, দায় তাদেরই নেওয়ার কথা। সে ভাবে দেখলে এই দায় যৌথভাবে বর্তমান মন্ত্রীসভার। শুধু তাই নয়, পূর্ববর্তী সরকারগুলির আর্থিক বিশৃঙ্খলার দায়ও এই মন্ত্রীসভার! কারন, মন্ত্রীসভা দায়িত্ব নেওয়ার সময় পূর্ববর্তী সরকারের দায় ও সম্পদ (liability and assets) স্বীকার করেই দায়িত্ব নেন। সুতরাং “ঋণং কৃত্ত্বা ঘৃতং পিবেৎ” তত্ত্বের সদব‍্যবহার করতে করতে বর্তমান রাজ‍্য সরকার এই ঋণফাঁদে পড়েছে।
এই রাজ‍্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তার আর্থিক নীতির কারনে রাজ‍্যের আর্থিক হাল ক্রমশঃ খারাপ হয়েছে। বামফ্রন্টের বকলমে সিপিএমের শাসনে রাজ‍্যের চালু কলকারখানাগুলি একের পর এক পার্টির নেতাদের মদতে বন্ধ হয়েছে। এইসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অর্ধশিক্ষিত কম‍্যুনিস্ট নেতারা বুঝিয়েছে, মালিক বড়লোক আর শ্রমিক গরীব; তাই মালিক শ্রমিকের শত্রু! সুতরাং মালিকের লাভ হয় – এমন কাজ কোন শ্রমিকের করা উচিৎ নয়। এভাবে বছরের পর বছর বাঙ্গালী শ্রমজীবী মানুষদের মগজ ধোলাই করে রাজ‍্যের work culture একেবারে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তারপর যখন তাদের বিলম্বিত বোধদয় হল, তখন তাদের জমি দখলের ঔদ্ধত‍্যের খেসারত দিয়ে সিপিএমের মেধাবী ছাত্রী মমতা বন্দোপাধ‍্যায়কে রাজ‍্যের মূখ‍্যমন্ত্রী পদে বসাতে সাহায‍্য করল!
সিপিএমের নীতি, তা ভাল বা খারাপ যাই হোক না কেন – বাস্তবায়নের একটা দলীয় তাগিদ ছিল। কংগ্রেসী ঘরানার রাজনীতিক মমতা বন্দোপাধ‍্যায় তাঁর তৃণমূল দলের শুরু থেকেই কংগ্রেসী কালচারে “এক নেত্রী”র শাসন কায়েম করলেন – দলে একটিই পোস্ট, বাদবাকী সব ল‍্যাম্পপোস্ট; একটিই পরিবার, বাকীসব ঢেউয়ে ভাসা হরির দ্বার! এ ধরনের দলে নেত্রীর কর্মদক্ষতার উপর দলের সাফল‍্য নির্ভর করে। মমতা দেবী যেখানেই সিপিএমের নির্যাতন, অপশাসনের খবর পেয়েছেন, সেখানেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন – প্রতিবাদ করেছেন। এভাবেই তিনি জনপ্রিয়তম নেত্রী হিসেবে ক্ষমতার শীর্ষে উঠেছেন। বিরোধী নেত্রী হিসেবে তিনি ১০০% সফল। কিন্তু বিরোধী নেতৃত্ব দেওয়া আর স্বচ্ছ, সফলভাবে প্রশাসন চালানো সম্পূর্ণ ভিন্ন ব‍্যাপার।
আরেকটি ব‍্যাপার যা আগেও বলেছি, মমতা দেবীর নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় শত্রু হল তাঁর megalomaniac (নিজেকে সব বিষয়ে বিজ্ঞ ও শ্রেষ্ঠ ভাবা) চরিত্র। megalomania ডাক্তারি পরিভাষায় একটি মনোরোগ। ফলে, তিনি নিজেকে সবচেয়ে শক্তিশালী, শ্রেষ্ঠ, বুদ্ধিমতী হিসেবে কল্পনা করে নেন। এই কারনেই তিনি তাঁর সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশের সময় অস্তিত্বহীন – ইস্ট জর্জিয়া ইউনিভার্সিটির (fake university) ডক্টরেট বলে দাবী করেন! ১৯৮৪ সালে ঐ সময়ের কাগজে সে সংবাদ প্রকাশিতও হয়। এই জাল ডিগ্রির উল্লেখ না করলেও তখন তাঁর রাজনৈতিক উত্থানের কোন অসুবিধা হত না। তথাপি তিনি এ কাজ করলেন।
পরবর্তী সময় প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, তিনি সব দপ্তরের সমস্ত নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন! এমনকি তাঁর ইগো এতটাই তীব্র যে, কোন টেকনিক‍্যাল বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করাকে পর্যন্ত অপছন্দ করেন! ফলে, তাঁর আশেপাশের রাজনীতিকদের মত, আমলা ও বিশেষজ্ঞরা তাঁকে যথার্থ পরামর্শ দেওয়ার বদলে স্তাবকতা করে নিজেদের আখের গুছানোকেই পরমার্থ মনে করছেন। এভাবে বেশীদিন সাফল‍্য পাওয়া যায় না। মমতাদেবীর সরকারও তা পাচ্ছেনা। তিনি সর্বদা জনসাধারনকে তুষ্ট রাখার রাজনীতি করেন! এটিই তাঁর USP। ফলে, তিনি যখন সিঙ্গুরের টাটা মোটরসের কারখানা বন্ধ করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে শিল্প বিতাড়নের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতলেন, তখন থেকেই তাঁর কাছে সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর কোন alternative পরিকল্পনা ছিল না। এদিকে কলকারখানা ও ব‍্যবসা-বাণিজ‍্য না বাড়ায় রাজ‍্যে কর্মসংস্থানের হাল দিনদিন যত খারাপ হয়েছে, ততই এই megalomaniac নেত্রী তাঁর ইগোর কারনে কর্মসংস্থান বাড়ানোর চেষ্টা না করে বিভিন্ন “শ্রী” যুক্ত প্রকল্পের নামে সরকারী কোষাগার থেকে অনুদান দিয়ে সরকারের অর্থ শুধু ধ্বংসই করেননি, সেইসঙ্গে বিনিময়মূল‍্যহীণ এইসব অনুদানকে “উন্নয়ণ” বলে চালাতে চেয়েছেন।
এভাবে বেশীদিন চললে যা ভবিতব‍্য তাই হচ্ছে! প্রশাসন চালানোর জন‍্য অর্থ-দপ্তরের হাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না আসায় রাজ‍্য সরকারকে ঋণ নিতে হচ্ছে।যদিও সরকার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মী সংকোচন করে, অস্থায়ী, অ‍্যাডহক চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করে এবং তার কর্মচারী ও পেনশনারদের ন‍্যায‍্য মহার্ঘভাতা না মিটিয়ে – প্রশাসনিক দক্ষতাকে চুলোয় পাঠিয়ে অবস্থা সামাল দিতে চাইছে, তবু ধীরেধীরে রাজ‍্য সরকার ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়েছে। এর থেকে বাঁচার সমস্ত রাস্তা পরখ করা হয়েছে! যেমন স্ট‍্যাম্প ডিউটি বৃদ্ধি থেকে ধরে বিভিন্ন সরকারী ও সরকার-পোষিত পৌরনিগমের পরিষেবার মূল‍্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করে, সারা রাজ‍্য জুড়ে মদের দোকানের অনুমোদন বৃদ্ধি করে – রাজস্ব আদায়ের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। তবু, মূখ‍্যমন্ত্রীর অনমনীয় মনোভাবের জন‍্য পশ্চিমবঙ্গে SEZ সহ শিল্পস্থাপনের যে স্বীকৃত পদ্ধতিগুলো আছে তা রূপায়ণে রাজ‍্যের অনীহা রাজ‍্যবাসীকে চরম অনিশ্চয়তার মধ‍্যে ফেলে দিয়েছে।
সরকারী প্রশাসনে কাজের অভিজ্ঞতায় জানি যে, সরকারী অর্থ বরাদ্দের হিসেব দেওয়া (UC) বাধ‍্যতামূলক। অডিটেড utilization certificate না দিলে পরবর্তী বছরের অর্থ বরাদ্দ করা যায় না। রাজ‍্য সরকারের অর্থ দপ্তরও এই নিয়মে চলে। কিন্তু যখন কেন্দ্রীয় সরকার বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন প্রকল্পখাতে তাদের দেওয়া অর্থ রাজ‍্য সরকার নেওয়ার পরেও কোন UC দেয়না, তখন আইনত কেন্দ্রীয় সরকার রাজ‍্যকে ঐ খাতে অর্থ বরাদ্দ করতে পারে না। এই রাজ‍্যেও যখন তা হল, রাজ‍্য সরকার এবং তাদের বশংবদ সংবাদ-মাধ‍্যম সরবে কেন্দ্রের বিমাতৃসূলভ আচরণের (!) জন‍্য তার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুরু করল! আসলে, ঐ – আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত, তাই কোন হিসেব না দেওয়া আমাদের অধিকার! নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা সম্পর্কে বোধশূণ‍্য ব‍্যক্তিরা ক্ষমতায় বসলে এমন হতেই পারে!
এর মধ‍্যে সরকারী ও সরকারপোষিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, মূলতঃ শিক্ষকতায়, অযোগ‍্য প্রার্থীদের অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া, স্বজন-পোষণ এবং দলের ক্ষমতাশালী নেতৃত্বের একাংশের জেলযাত্রা – দলীয় নেতাদের টাকার পাহাড় বানানো, বিভিন্ন নেতার বাড়ি অস্ত্রশস্ত্রের গুদাম হওয়ার খবর মাননীয় উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সৌজন‍্যে রাজ‍্যবাসী দেখছে। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মত তাঁর মত প্রকাশ করা মূখ‍্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলের পারিবারিক উত্তরাধিকারী মৌণব্রত অবলম্বন করেছেন!
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। রাজ‍্যের বাজেটের আয়-ব‍্যয়ের স্বচ্ছতা না থাকায় এবং রাজ‍্য ঋণফাঁদে জড়িয়ে যাচ্ছে বলে রিজার্ভ ব‍্যাঙ্কের হুঁশিয়ারীর পরেও রাজ‍্যের কর্ণধার তাঁর ইগো নিয়ে পড়ে থাকলে এই ভোটের জন‍্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থান করা রাজ‍্যের অর্থ দপ্তরের পক্ষে কতটা সম্ভব, সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকছে।
তাছাড়া, রিজার্ভ ব‍্যাঙ্কের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী এই সরকারের আয় অপেক্ষা ব‍্যয় অনেক বেশী। সুতরাং তার পক্ষে ক্রমান্বয়ে ধার নেওয়া আর ক্রমবর্ধমান সুদের ফলে রাজ‍্য পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। যেভাবে রাজ‍্যের জনগণের মধ‍্যে বিভিন্ন অনুদান প্রকল্পের নামে সরকারী টাকা বিলানো হচ্ছে, তার ফলশ্রুতি হিসেবে অতি প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও বিভিন্ন দপ্তরের অত‍্যাবশ‍্যকীয় খরচের অর্থেও টান পড়েছে! এভাবে শুধুমাত্র পুলিশ ও কিছু সংবাদ-মাধ‍্যমকে তাঁবে রেখে প্রশাসন চালানো সম্ভব নয় – যদি না কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ‍্য সরকারকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সাহায‍্যের হাত বাড়িয়ে দেয়! সুতরাং এই রাজ‍্য সরকারের স্থায়ীত্ব এখন কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে!
এ ধরনের সব সরকারের যা বৈশিষ্ট্য, তেমনি এই সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দূর্ণীতি ও স্বজন-পোষণের ভুত বাসা বেঁধেছে। এখানে সরকার ও ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসা রাজনৈতিক দল সমার্থক! সংবাদ-মাধ‍্যম এখনো এ কথাটুকু বলতে পারল না যে, বিভিন্ন উন্নয়ণ(!) যা কিছু ভোটারকে সরকারী কোষাগারের অর্থ বিলানোর মধ‍্যে সীমাবদ্ধ, তা দিচ্ছেন বিভাগীয় প্রধানরা – কোন রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী এমনকি মূখ‍্যমন্ত্রীও নন। ব‍্যক্তিগতভাবে অর্থের বিনিময়ে চাকরী দেওয়ার জন‍্য দায়ী আমলারা – কোন মন্ত্রী নন। তবে, রাজ‍্য তথা দেশের মানুষ বোঝেন যে ‘যন্ত্র’ চালান ‘যন্ত্রী’! মন্ত্রীসহ যেসব রাজনৈতিক নেতারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁরা সবাই কিন্তু হিসাব বহির্ভূত ‘সম্পত্তি’ করার কারন এবং সে সম্পত্তির উৎস না বলার কারনে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এভাবে রাজ‍্য প্রশাসনটাই কাঠগড়ায় উঠেছ। দল তথা প্রশাসনে দূর্ণীতির ক্রমবর্ধমান ‘বিকাশ’-এর খবর যত বেরোবে, দল ততই পুলিশ-গুন্ডারাজের আশ্রয়ে নিজেকে লুকিয়ে নেবে! প্রশাসনে ধীরে ধীরে দলের কন্ট্রোল হ্রাস পাবে আর লুম্পেনরাজ প্রতিষ্ঠা পাবে।
প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে প্রকৃত আয়-ব‍্যয়ের হিসেবের কোন মিল না থাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে পাওয়া টাকার কোন UC দেওয়া যাবে না। তাই কেন্দ্র থেকে রাজ‍্যের অনুদান খাতে টাকা পাওয়াও সম্ভব হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার যদি এমন অর্থনৈতিক নয়-ছয়ের জন‍্য প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নেয় তা’হলেই রাজ‍্যবাসীর মঙ্গল।দেখা যাক, অসৎ রাজনীতির কবলে পড়া পশ্চিমবঙ্গবাসীর মুক্তি কবে মেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *