রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল হয়ে এসেছেন ৭১ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত আমলা ডঃ সি ভি আনন্দ বোস। শুধু এটুকু বললে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সম্পর্কে প্রায় কিছুই বলা হয় না। সুলেখক, পন্ডিত আনন্দ বোসের ইংরেজী, মালয়ালী ও হিন্দি ভাষায় প্রায় চল্লিশটি বই আছে। তিনি দেশবিদেশের বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কারে তাঁর কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রসংঘের একটি পরামর্শদাতা কমিটির প্রধান।
কেরলের কোট্টায়াম জেলায় জন্ম এই প্রাক্তণ আইএএস BITS পিলানি থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করে মুসৌরীর লাল বাহাদুর শাস্ত্রী একাডেমির ফেলো হন। আনন্দ বোসজী জওহরলাল নেহরু স্কলারশিপ প্রাপকও বটে। চাকরী জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় পর্যালোচনা করলে তাঁর উদ্ভাবনী ক্ষমতার পরিচয় মেলে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা থেকে সকলের জন্য বাসস্থান – বহু প্রকল্পে তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। এই শেষোক্ত কারনে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আসেন। তাঁর শিক্ষা জগতে অবাধ বিচরণ মাণ্যতা পায় উপাচার্য পদে নিযুক্তির মাধ্যমে।
ডঃ আনন্দ বোসের সম্বন্ধে এ কথাগুলি বলার উদ্দেশ্য হল, তাঁর ব্যক্তিত্ব ও অভিজ্ঞতার কিঞ্চিৎ পরিচয় দেওয়া। ফলে, ব্যক্তি রাজ্যপাল সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনার সুযোগ পাওয়া যাবে। এখানে একটি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়নি। যদিও তিনি কেরলের এক মালয়ালী পরিবারের সন্তান, তাঁর পদবী কিভাবে “বোস” হল! ডঃ সি ভি আনন্দ বোসের বাবা বাসুদেব পিল্লাই নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের অত্যন্ত অনুরাগী এবং তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের সাত সন্তানের সকলের নামের শেষে “বোস” যুক্ত করেন! ডঃ আনন্দ বোসের কাজের প্রশংসা করেছেন কেরলের মূখ্যমন্ত্রী থেকে প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তিনি অত্যন্ত পছন্দের আমলা। এরা সকলেই তাঁর সম্পর্কে একটি কথা বলেন – man of ideas।
এমন একজন রাজ্যপাল হয়ত পশ্চিমবঙ্গের সময়ের দাবী ছিল। লা গণেশন যেভাবে তাঁর স্বল্প দিনের দায়িত্বে থাকার সময় তাঁর পরিবারের একজনের জন্মদিনে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীকে নিমন্ত্রণ করেন এবং মূখ্যমন্ত্রী সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে অনুষ্ঠানের একদিন আগে চেন্নাই পৌঁছে যান, তাতে যেমন রাজ্যপালের পদের গৌরবের প্রশ্নে প্রশ্নচিহ্ন পড়েছে, তেমনি আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সময় সর্বদা মূখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে রাজ্যপালের রণংদেহী সম্পর্ক তৈরী হয় – তা রাজ্যবাসীর কোন মঙ্গল করেনি।
প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা সম্বৃদ্ধ এই বিদ্বান রাজ্যপাল দায়িত্ব নেওয়ার সময় একটি কথা বলেছেন, যা অত্যন্ত প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, রাজ্যপালের পদকে তিনি কোন বিরাট সন্মানের আলঙ্কারিক পদ হিসেবে দেখেন না। তিনি রাজ্যের জনসাধারনের মঙ্গলের জন্য সংবিধানপ্রদত্ত ক্ষমতার মধ্যে থেকে কাজ করবেন এবং রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে সমন্বয় (bridge) সাধনের কাজ করবেন। এই উক্তিতেই পরিষ্কার যে তিনি তাঁর সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা পালন করবেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ‘রাবার স্ট্যাম্প’ রাজ্যপাল না হলে রাজ্য সরকারের সমূহ বিপদ। সবচেয়ে বড় কথা, রাজ্যের শাসকদল যেমন তার সুপ্রিমোর অঙ্গুলীহেলনে চলে, তেমনি রাজ্যের প্রশাসনও তাঁরই অঙ্গুলীহেলনে চলছে! এখানে প্রশাসন চলে ব্যক্তিবিশেষের “অনুপ্রেরনা”য়! সেখানে সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার কোন জায়গা নেই। প্রাক্তণ রাজ্যপাল ধনখড়জীর সঙ্গে মমতাদেবী তথা রাজ্য সরকারের গন্ডগোল শুরুর কারনও তাই। রাজ্যবাসীর দুর্ভাগ্য যে তারা একজন megalomaniac নেত্রীকে দায়ীত্ব দিয়েছেন আর তিনি সর্বদা পরামর্শ নেওয়াকে ঘৃণা করেন (contemptuous to advice)। আমাদের সংবিধান প্রণেতারা রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের কাজকর্মের উপর নজর রাখার জন্য এবং পরামর্শ দেওয়া, প্রয়োজনে পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্যপালের পদকে সংবিধানে স্থান দিয়েছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এর প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন বলেই ধরা হয়। রাজ্যপাল কখনোই “রাবার স্ট্যাম্প” নন। কোন রাজ্যপাল “রাবার স্ট্যাম্প” রাজ্যপালের মত আচরণ করলে তিনি জনসাধারণের কাছে তাঁর কর্তব্যে অবহেলা করবেন।
ধনখড়জী তাঁর পদাধিকারবলে সরকারের যে কোন আধিকারিক বা মন্ত্রী – এমনকি মূখ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত তাঁর কাছে ডাকতে পারেন। পর্যায়ে রাজ্যপাল রাজ্যের প্রথম নাগরিক, মূখ্যমন্ত্রী নন। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে ধনখড়জী রাজ্য প্রশাসনের কাছে যার-পর-নাই অপদস্ত হন। এমনকি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে উপাচার্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা না করার ঔদ্ধত্ব দেখান! এ ধরনের নোংরামো করতে গিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইজ্জত নষ্ট করেছেন – রাজ্যপালের নয়। উপাচার্যদের এখন রাজ্যের মানুষ অল্পশিক্ষিত, ডিগ্রিধারী শাসকদলের কর্মী ছাড়া অন্য কিছু মনে করে না। রাজ্যের এক ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগ উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাতিল হয়! আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যপদে রাজ্যপালের নিযুক্ত প্রার্থীকে তদানীন্তন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী (যিনি বর্তমানে চৌর্যবৃত্তিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে জেলবন্দী) কটুকথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে বাতিল করেন!
রাজ্যপাল ডাকলে বিভিন্ন অযৌক্তিক অজুহাতে রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা হাজির হওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখাতেন না! বিভিন্ন সংবাদ-মাধ্যমে রাজ্যের মন্ত্রীসহ তৃণমূল দলের নেতারা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কুকথার বন্যা বইয়ে দিতেন। এভাবে শুধু যে প্রশাসনিক দক্ষতাকে পঙ্গু করে প্রশাসনে দলীয় শাসন কায়েম করা হল তাই নয়, সংবিধান বহির্ভূত ক্ষমতায় রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার পরিচয় পাওয়া যায়।
আসলে নেহরু-গান্ধী জমানায় যেভাবে “রাবার স্ট্যাম্প” রাজ্যপাল থাকতেন, যারা কেন্দ্রের অঙ্গুলীহেলনে ‘কাজ’ করতেন, সেই যুগ আর নেই। এদিকে মমতা ব্যানার্জীর সরকার চায় এমন রাজ্যপাল যিনি বাপুরাম সাপুড়ের কাছে বায়না করা সাপের মত – যিনি একমাত্র megalomaniac নেত্রীর কথা মত “পুতুল নাচের ইতিকথা”র চরিত্র হবেন! সময়ের নিয়মে সেটিও সম্ভব নয়। সংবিধান মোতাবেক রাজ্যপালের ভূমিকা রাজ্য-প্রশাসনের অভিভাবকের মত। তাঁর নামে প্রশাসন চলে। তাঁর নামে নিয়োগ থেকে কর্মচ্যুতি – সব সরকারী কাজ হয় – প্রশাসনিক বদলীও তাঁর নামেই হয়। রাজ্যের প্রশাসনের মাথা রাজ্যপাল – এই স্বাভাবিক সত্য কথাটা মেনে নিতে নির্বাচনে জেতা নেত্রী, যাঁর অনুপ্রেরনায় প্রশাসন চলে – তাঁর মেনে নিতে অসুবিধা কোথায়! আসলে এই নেত্রী সর্বদা সংবিধান বহির্ভূত ক্ষমতা ভোগ করতে আগ্রহী। তা’ছাড়া তিনি ইগো সমস্যায় ভোগেন।তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি সর্বদা ‘সংগ্রাম’ করতে আগ্রহী! অথচ, প্রশাসনের কাজে স্বচ্ছতা আনতে এবং প্রশাসনিক ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়ার জন্য রাজ্যপাল তাঁর রাজ্যের মূখ্যসচিবসহ যে কোন আধিকারিককে ডাকলে তাদের হাজির হওয়া বাধ্যতামূলক। অথচ, নেত্রীর ভয়ে এবং রোষের মুখে পড়ার ভয়ে রাজ্যপালকে বারবার অবজ্ঞা করার স্পর্ধা দেখানো হয়েছে। মনে হয়, এসবের পিছনে অন্য কোন কারন আছে। রাজ্যপাল ধনখড়জী যখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে উৎসাহ দেখাতে শুরু করলেন, তখন প্রশাসন প্রমাদ গুনলো। তারা ভয় পেল, এবার থলে থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়বে! নেত্রীর “অনুপ্রেরনায়” তারা রাজ্যের সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপালকে অপসারিত করল! নেত্রীর অনুপ্রেরনায় মন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ শুরু হল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্ট্যাচুট চুলোয় গেল। তারপর দেখা গেল, উচ্চ আদালতের আদেশে কেন্দ্রীয় অনুসন্ধানকারী সংস্থাদ্বয়ের অনুসন্ধানের পর বিভাগীয় মন্ত্রী তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোদের নিয়ে গ্রেপ্তার হলেন। তাঁরা এখন জেল হাজতে আছেন। সুতরাং, প্রশাসনের কাজের ধারা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে রাজ্যপালের আইনসম্মত জিজ্ঞাস্য থাকলে এই প্রশাসন বিপদের গন্ধ পায়! তখনই তাদের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে “রাজ্যপাল হটাও” অভিযান শুরু হয়।
এর প্রেক্ষিতেই মনে হয়, নয়া রাজ্যপাল আনন্দ বোসজী তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের প্রশ্নে অনমনীয় থাকার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন। তবে, তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই “এলোমেলো করে দে মা, লুঠেপুটে খাই” ধরনের attitude কে কতটা বাগে আনতে পারবেন তা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে।
মমতাদেবীর রাজনীতির ধরনে এটা মনে করার কারন নেই যে, তিনি রাজ্যপালের সাংবিধানিক পদ্ধতি পালনের এবং রাজ্য-কেন্দ্র সম্পর্কে সেতু রক্ষার কাজকে সম্মান জানিয়ে তাঁর সঙ্গে সহযোগীতা করবেন। যতক্ষণ মমতাদেবীর প্রশাসনের কাজে রাজ্যপাল ‘পরামর্শ’ ও ‘উপদেশ’ না দিচ্ছেন, ততক্ষণ সব ঠিক থাকবে। কিন্তু রাজ্যপাল তাঁর কথা অনুযায়ী কাজ শুরু করলেই ঝামেলা বাঁধবে। মমতাদেবী চান “রাবার স্ট্যাম্প” রাজ্যপাল – যিনি তাঁর সব কাজে বিনা জিজ্ঞাসায় সায় দেবেন! আজকের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তা সম্ভব নয়। সংবিধানও এই রাবার স্ট্যাম্পকে মাণ্যতা দেয় না। আর, মমতাদেবীর রাজনীতিতে তাঁর অনমনীয় মনোভাবের ফলে, জোট রাজনীতিতে তিনি যথেষ্ট সাড়া জাগিয়ে শুরু করলেও আজ তিনি ও তাঁর দল রাজ্য তথা দেশের রাজনীতিতে একা। ভারতীয় রাজনীতিতে তিনি দুটি সর্বভারতীয় দল – বিজেপি ও কংগ্রেস – উভয়ের সঙ্গেই কখনো না কখনো জোট করে সুবিধা নিয়েছেন। আবার একসময় জোটসঙ্গীকে ত্যাগ করে বিরোধীতাও করেছেন। সেজন্য জোট রাজনীতিতে মমতাদেবী এবং তাঁর দলের কোন বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। তবে তিনি চিরকাল kitchen politics বা পিছনের দরজা দিয়ে গোপন রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় পারদর্শী। এধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রয়োজন – সেটা তিনি কতটা দেখাতে পারেন তা ভবিষ্যৎ বলবে। মমতাদেবীর বড় সমস্যা হল, তিনি দল ও প্রশাসনকে মিশিয়ে দিয়েছেন। দলীয় নেতৃত্ব থেকে প্রশাসনকে আদেশ করা এবং প্রশাসনের সেই আদেশ পালন করার মধ্যেই তা পরিষ্কার। ফলে, দলীয় অসততার আঁচ অবধারিতভাবে সরকারী প্রশাসনে পড়েছে। প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেইসঙ্গে তাঁর অঘোষিত উত্তরাধিকারীর বিভিন্ন অতিরিক্ত-সাংবিধানিক (extra-constitutional) ক্ষমতা ও কাজকর্ম নিয়েও মানুষের মনে বিস্তর প্রশ্ন।
নবনিযুক্ত রাজ্যপাল মহোদয় যদি এইসব অসাংবিধানিক কাজকর্মের ব্যাপারে চোখ বুজে থাকেন তবে রাজ্য সরকার ও মমতাদেবীর কাছে তিনি খুব ভালো রাজ্যপাল! কিন্তু যদি রাজ্যের কাজকর্মের ব্যাপারে তিনি তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চান, তা’হলে গোলমাল শুরু হবে। সবচেয়ে বড় কথা, দলের shouting brigadeকে ময়দানে নামিয়ে অসংসদীয় ভাষায় কুকথার প্লাবন বইয়ে রাজ্যপালের চেয়ারকে আক্রমণ করার পন্থা নেওয়া হবে। এই দলের নেতৃত্বের মনে রাখা উচিৎ যে তাদের দলের নেতৃত্বের সাংবিধানিক ক্ষমতার মধ্যেও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে – ভোটে জিতলেই যা খুশী তাই বলা বা করার অধিকার জন্মায় না! এই দল ও তার নেতৃত্ব যত তাড়াতাড়ি কথাটা বুঝবে তত রাজ্যবাসীর মঙ্গল।
নবনিযুক্ত রাজ্যপালের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা ও তাঁর শিক্ষা-সংস্কৃতির পটভূমি বিচার করে মনে হয়, তিনি যা বলেছেন, তাতে রাজ্যের সাধারন মানুষের পক্ষে তিনি দাঁড়াবেন এবং সংবিধান সম্মত পদ্ধতিতে রাজ্য প্রশাসনকে চালানোর মত অবশ্য পালনীয় পরামর্শ দেবেন বলেই মনে হয়। তখন রাজ্য প্রশাসন ও মমতাদেবীর দল কি প্রতিক্রিয়া দেয় তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল প্রসঙ্গে
