ভারত সরকার দেশবাসীর জন্য “আয়ুস্মান ভারত স্বাস্থ্য প্রকল্প” করেছে – যার ৬০% টাকা ভারত সরকারের আর ৪০% টাকা রাজ্য সরকারের থেকে আসে। যেহেতু স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের যৌথ দায়িত্বে পড়ে, এই প্রকল্পে উভয়ের অংশগ্রহণে প্রকল্পটি রাজ্যের গরীব ও প্রান্তিক মানুষজনের উপকারে আসতে পারত। কিন্তু আমাদের পশ্চিমবঙ্গে “ভারত” নাম থাকলে সেই প্রকল্প চালাতে দেওয়া হয়না! সে কারনে ২০১৬ সালে প্রান্তিক মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের নিজস্ব প্রকল্প “স্বাস্থ্য-সাথী” চালু করা হল। অত্যন্ত দুঃখের হলেও একথা সত্যি যে, এই রাজ্যে সরকারের সব কাজকর্ম চলে শুধুমাত্র রাজনীতির স্বার্থে।
দেশের গরীব ও প্রান্তিক মানুষের জন্য ২০০৮ সালে অনেক ঢক্কানিনাদের সাথে চালু হয় “জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প”। ২০১৮ সালে এই প্রকল্পের বদলে আধুনিক, যুগোপযোগী প্রকল্প এল “আয়ুস্মান ভারত” – এটি অনেক broad based প্রকল্প। এই প্রকল্পে দেশের প্রায় ৫০ কোটি মানুষকে কভার করা হয়েছে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ছিল, স্বাস্থ্যখাতে অত্যধিক খরচের কারনে দেশের যে ৬ কোটি প্রান্তিক মানুষকে দারিদ্রসীমার নীচে নেমে যেতে হয়েছে, তাদের সেকেন্ডারী ও টারসিয়ারী স্বাস্থ্য পরিষেবায় হাসপাতাল খরচের বোঝা লাঘব করা। যেজন্য এই প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপক চয়নের প্রক্রিয়ায় শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে তাদের চাহিদা ও socio-economic caste অনুযায়ী ২০১১ সালের জনগণনাকে ভিত্তি হিসেবে ধরে এই প্রকল্প তৈরী হয়েছে। এতে বহির্বিভাগর চিকিৎসাকে যেমন রাখা হয়নি, তেমনি প্রতি পরিবারের (একজনের নামে কার্ড থাকলেই পুরো পরিবার কভার হবে) জন্য প্রতি বছর ৫ লাখ টাকার ক্যাপ করা হয়েছে। এই খরচের হিসেব কেন্দ্রীয় বাজেটে আলাদাভাবে ধরা আছে।
রাজ্যের “অনুপ্রাণিত” সরকারের “ভারত” বা “আয়ুস্মান” – কোন নামে এলার্জি আছে জানিনা – পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ২০১৬ সালে “স্বাস্থ্য-সাথী প্রকল্প” ঘোষণা করা হল! প্রকল্পটি চালু হলেও বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল, যারা এই প্রকল্পে যোগদান করেছে, স্বাস্থ্য-সাথী কার্ডের রোগীদের ভর্তি নিতে অস্বীকার করে! কারন হিসেবে রাজ্যসরকারের তরফে চিকিৎসা খরচের প্রাপ্য টাকা না মেটানোর কথা বলা হয়। যার ফলে, রোগীর হেনস্তা ও হাসপাতাল ভাঙ্গচুরের মত ঘটনা ঘটে। যে বীমার মাত্র ৪০% টাকা রাজ্য সরকারের দায়, তা না নিয়ে ১০০% দায় নেওয়া প্রকল্প চালু করা কতখানি প্রশাসনিক বিচক্ষণতার পরিচয়, সেটা বোঝার জন্য বিশেষ বুদ্ধির দরকার হয়না। সময়ের সঙ্গেসঙ্গে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের অপমৃত্যু প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল দল ভাবতে লাগল – কিভাবে ২০২১এর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন জেতা যাবে। এই দলের modus operandi দেখলে এদের কার্যপদ্ধতির একটি নির্দিষ্ট ছক লক্ষ্য করা যায় – এরা এমন কোন আর্থিক দিক থেকে সুবিধাজনক প্রকল্প নিয়ে আসে যাতে রাজ্যের অধিক সংখ্যক মানুষ উৎফুল্ল হয় এবং তাৎক্ষণিক কিছু সুবিধা পায়। পুরো প্রকল্পের বাস্তবতা এবং তার স্থায়ীত্বের বিষয়ে এরা মোটেই চিন্তাভাবনা করে না! সবকিছুই একজনের অনুপ্রেঢ়না উদ্ভুত আইডিয়া – তার সম্ভাব্যতা বিষয়ে এই রাজ্য প্রশাসনের কোন সুস্থ চিন্তা-ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। আর সে কারনেই এইসব প্রকল্পের অপমৃত্যু ঘটে।
স্বাস্থ্য-সাথীর ক্ষেত্রেও তার কোন ব্যত্যয় হল না। ২০২১এর নির্বাচনের আগে “অনুপ্রাণিত” পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২৬শে নভেম্বর, ২০২০র বিধানসভার নির্বাচনের আগে ঘোষণা করে দিল যে, পশ্চিমবঙ্গের সকল বাসিন্দা (যারা ইতিমধ্যেই সরকারী কোন স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে আছেন তারা বাদে) স্বাস্থ্য-সাথী প্রকল্পের আওতায় আসবে। পরিবারের একজনের নামে স্বাস্থ্য-সাথী কার্ড থাকলেও কার্ডের চিপ-এ পরিবারের সকল ব্যক্তির নাম ও পরিচয় পাওয়া যাবে। খরচের ক্যাপ অবশ্য সেই পরিবার পিছু বাৎসরিক ৫ লক্ষ টাকাই থাকল। এই কার্ডটিও কিন্তু সেকেন্ডারী ও টারসিয়ারী স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে (hospitalization) শুধু প্রযোজ্য। কিন্তু গ্রাম বাংলার বেশীরভাগ মানুষ আউটডোরে যে প্রাইমারী স্বাস্থ্য পরিষেবা নেয়, সেখানে কোন রকম সাহায্য এই কার্ডে পাওয়া যাওয়ার কথা নয়! অনেকটা আয়ুস্মান ভারত প্রকল্পের নাম বদলে কপি-কাট-পেস্ট! ঐ ঘোষণার দিনের আগে পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৫০০টির মত হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের সঙ্গে রাজ্যসরকারের টাই-আপ থাকলেও পরবর্তীকালে ২০২১ সালে সেটি বেড়ে গিয়ে ১৫৯০টি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের লিস্ট পাওআ গেল। রাজ্য সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী এতে দেড়কোটি পরিবারের মোট ৭.৫ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছেন!
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, “বিজ্ঞাপনের গরু গাছে চড়ে”। স্বাস্থ্য- সাথী প্রকল্পের “অনুপ্রাণিত” ঢক্কানিনাদ ও পদলেহনকারী কিছু সংবাদ-মাধ্যমের “হুক্কা হুয়া” রবে রাজ্যের সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশ ভাবতে লাগলেন, রাজ্য সরকার এই সুযোগ করে দিয়ে স্বাস্থ্য ফ্রন্টে বিশাল বিপ্লব ঘটিয়ে দিল!
আসলে সব ফক্কা। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য-সাথী প্রকল্প প্রথম থেকেই একটি অসুস্থ চিন্তাধারার (ill-conceived) প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুস্মান ভারত প্রকল্পে যে সুবিধা দেশের প্রান্তিক মানুষের জন্য আনা হয়েছে সেখানে মোট খরচের মাত্র ৪০% রাজ্য সরকারের বহন করার কথা। কারন, খরচের ৬০% কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়ার কথা। সব রাজ্যে এই ব্যবস্থা চলছে। এই প্রকল্প গ্রহণ করে রাজ্য সরকার রাজ্যের প্রান্তিক মানুষদের স্বল্পব্যায়ে এই প্রকল্পের সুফল দিতে পারত। কিন্তু, এই রাজ্য সরকার বিচক্ষণতা ও অভিজ্ঞতায় কাজ করে না – রাজ্য চলে “অনুপ্রেঢ়ণা”য়। হয়ত কারো মনে হল, কেন্দ্র এই প্রকল্প চালু করলে বিজেপির রাজনৈতিক লাভ হবে – এমন ভ্রান্ত ধারনার বশবর্তী হয়ে একরোখাভাবে “স্বাস্থ্য-সাথী প্রকল্প” প্রান্তিক মানুষের পরিবর্তে রাজ্যের প্রায় সকল মানুষের জন্য চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল! অথচ এই খরচের জন্য বীমা সংস্থাগুলি যে টাকা নেবে তা দেওয়ার কোন সংস্থান বাজেট বরাদ্দে রাখা হল না! সুতরাং “সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙ্গে” – গোছের ছেলে ভুলানো বিজ্ঞপ্তি ও বশংবদ সংবাদ-মাধ্যম মারফৎ তার প্রচার, যেখানে স্বাস্থ্য-সাথী প্রকল্পের কথা বারবার এমনভাবে প্রচার করা হতে লাগল, যেন পৃথিবী ত দূর, বিশ্বব্রহ্মান্ডের আর কোথাও মানুষ এমন স্বাস্থ্য পরিষেবা পায় না, যা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পেতে চলেছেন!
সময় এগিয়ে চলল। ভোটশেষ। আবার অনুপ্রেঢ়ণায় সরকার প্রতিষ্ঠিত হল। তারপর স্বাস্থ্য-সাথীর হাল কি হল? কিছু বশংবদ সংবাদ-মাধ্যম অব্দি জানালো যে, স্বাস্থ্য-সাথী কার্ডকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিংহোম মানছে না! এর কারন খুব পরিষ্কার। এই কার্ডে চিকিৎসার খরচ রাজ্য সরকারের মেটানোর কথা। কোন বীমা সংস্থা খুব কম টাকায় অর্থ বীমা করলে তারা নিশ্চয়ই চিকিৎসার অধিকাংশ অর্থ বহন করবে না। এটাই স্বাভাবিক। এদিকে রাজ্য সরকারের এই টাকা দেওয়ার পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ নেই। সেজন্য এক অন্য খেলা শুরু করা হল। সরকার এমন পদক্ষেপ করল যাতে সরকারের উপর আর্থিক চাপ না পড়ে আর এই কার্ডও ধীরে ধীরে রাজ্য সরকারের সবার জন্য রেশন কার্ডের মত হয়ে যায়!
যখন সরকার “দুয়ারে সরকার” প্রকল্প চালু করল, তখন এই স্বাস্থ্য-সাথী কার্ডের জন্য খুব কম সময় ধার্য করে রাখল। আবেদনের মাসের পর মাস অতিক্রান্ত হলেও কোন খবর নেই যে কবে বায়োমেট্রি করে কার্ড দেওয়া হবে! বিশেষতঃ যেখানে একজন মানুষের পরিবার, সেখানে কোন স্বাস্থ্য-সাথী কার্ড ইস্যু করা হচ্ছে না! আবার এমন কোন সরকারী বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি যে, এদের স্বাস্থ্য-সাথী কার্ড দেওয়া হবে না – কারন তাদের স্বাস্থ্য-সাথী প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আবার প্রথমে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন বেসরকারী বীমা সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এই খাতে সরকারের খরচ হবে ২০০০ কোটি টাকা। কিন্তু গত বছরের হিসেব বলছে যে এখনো পর্যন্ত এই খাতে খরচ হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা মাত্র! এখন বীমা সংস্থাগুলির চিকিৎসা বীমার খরচ মেটানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম রাইডার থাকার কারনে রাজ্য সরকার সরাসরি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিকে স্বাস্থ্য-সাথী কার্ডের চিকিৎসা খরচ মেটায়। এই নিয়ে সরকারের পেমেন্ট মেটানোর ব্যপারে বিস্তর অভিযোগ থাকায় বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলির সিংহভাগই স্বাস্থ্য-সাথী কার্ডে সুবিধা দিতে নারাজ। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং “অনুপ্রেঢ়ণা” অনেক হম্বিতম্বি করলেও এখনো অব্দি সরকারী বিজ্ঞপ্তি জারি করে কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সরকার শুধু মাঝেমধ্যে এ্যাডভাইসারি জারি করেছে, যা মানার কোন আইনী বাধ্যবাধকতা নেই। এইভাবেই স্বাস্থ্য-সাথী কার্ডের কার্যকারিতা ও গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট না করলে এই প্রকল্পের বিপুল খরচের বোঝা টানার ক্ষমতা কোন রাজ্য সরকারের নেই – এই সরল সত্যিটা উপলব্ধি করেই প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ! অবশ্যই অনুপ্রাণিত সংবাদ-মাধ্যম এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে।
এখানে একটি বিষয়ের অবতারনা করার প্রয়োজন। দিল্লীর আম আদমী সরকার এমন প্রকল্প করে টাকা নষ্ট (দুর্জনে বলে টাকা নয়ছয়) করেনি। তারা স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দের একটা বড় অংশ রাজ্যের হাসপাতালগুলির মানোন্নয়নে কাজে লাগিয়ে দিল্লীবাসীকে হাসপাতালের সহজলভ্য – অনেকক্ষেত্রে ফ্রি – চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছে। পক্ষান্তরে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বাস্থ্য-সাথী কার্ডের রাজনৈতিক ফয়দা তুললেও রাজ্যের সরকারী হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির স্বাস্থ্যকেই সময়ের সাথে সাথে রুগ্ন থেকে রুগ্নতর করেছে। সরকারী হাসপাতালগুলির তথাকথিত “রোগী কল্যাণ সমিতি” তৈরী করে এবং দলীয় নেতৃত্বের হাতে তার দায়িত্ব তুলে দিয়ে হাসপাতালগুলিতে সমান্তরাল প্রশাসন তৈরী করা হয়েছে। হাসপাতালের অবকাঠামোর উন্নতি দূরের কথা, অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য সাপোর্টকর্মীর অপ্রতুলতা প্রতিটি হাসপাতালের সুষ্ঠু সেবা চালানোর অন্তরায় হচ্ছে। দিনকে দিন অবস্থা ঘোরালো হচ্ছে।
পরিশেষে স্বাস্থ্য-সাথী প্রকল্পের বিষয়ে গত ৯ই জুন, ২০২২ তারিখের একটি সরকারী বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ করছি যেখানে ভেলোরের খ্রীষ্টান মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে স্বাস্থ্য-সাথী কার্ডে চিকিৎসার ব্যাপারে আগে অনুমোদন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে! দুটি বিন্দু উল্লেখ করা হয়েছে – প্রথমটিতে বলা হয়েছে, গুরুতর অসুস্থ (critical cases) রোগীদের ওখানে চিকিৎসা করা যাবে যদি তাদের স্বাস্থ্যভবনের থেকে ঐ প্রকল্পের জন্য “prior approval” থাকে। দ্বিতীয় বিন্দুতে বলা হয়েছে, কোন চিকিৎসকের সুপারিশ থাকা এবং তা রাজ্যের নোডাল এজেন্সির দ্বারা গৃহীত হলে তবেই এই চিকিৎসা করানো যাবে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে যে, এই রাজ্যের কোন চিকিৎসা কেন্দ্রেই ঐ চিকিৎসা সম্ভব নয়! এমন সার্টিফিকেট এই “অনুপ্রানিত” রাজ্যের কোন চিকিৎসক দেওয়ার হিম্মত রাখেন কি? অতয়েব, স্বাস্থ্য-সাথী কার্ড নাও, কিন্তু ফ্রি চিকিৎসা চেয়োনা! স্বাস্থ্য-সাথী প্রকল্পের গঙ্গাজলী যাত্রা শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প শুধুই ঢক্কানিনাদ
