ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের অনন্যসাধারণ ক্যারিশ্মা ও স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ের বৃহত্তম রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের দল কংগ্রেসের সরকার হওয়ায় তখন পশ্চিমবঙ্গে “ডাবল ইঞ্জিন”এর সরকার ছিল। পরবর্তী সময়ে কখনোই কেন্দ্রের শাসকদল পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক আধিপত্য করতে পারেনি (১৯৭২ সালের বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া)। এর কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেল যেসব যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তা সবই রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট। তাই নিরপেক্ষভাবে এর কারন অনুসন্ধানের চেষ্টা করা হল।
পশ্চিমবঙ্গের জন্মের আগে থেকেই বাঙ্গালীদের স্বাতন্ত্রতা ঔ বোধের উপর ভিনরাজ্যের মানুষজনের বিমাতৃসূলভ ব্যবহারের ইতিহাস বাঙ্গালী জাতির অস্মিতাকে বারবার আঘাত করেছে। এখানে সংক্ষিপ্তাকারে কয়েকটি মাত্র ঘটনার উল্লেখ করা হচ্ছে।
জাতীয় কংগ্রেসের ‘পালক পিতা’ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর বিভিন্ন সময়ের উক্তি ও ব্যবহার বাঙ্গালী মনে গভীর আঘাত করেছে। এমনকি লাল-বাল-পাল ত্রয়ীর বিপিনচন্দ্র পাল যে “পূর্ণ স্বরাজ” আদায়ের জন্য অরবিন্দের বিপ্লবী পথ অনুসরণ করেছিলেন, তার তীব্র বিরোধীতা করেছিলেন এই গান্ধীজী! তাঁর তাবেদারী করা কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ বৃটিশ বিরোধীতার বিপ্লবী পথকে সরাসরি বিরোধীতা করেছিল। এই কারনে বীতশ্রদ্ধ হয়ে জীবনের শেষ ছ বছর বিপিনচন্দ্র পাল রাজনীতির সঙ্গে সকল সম্পর্ক ত্যাগ করেছিলেন। বাংলা থেকে দুটি বৃটিশ বিরোধী বিপ্লবী সংগঠন, যুগান্তর ও অনুশীলন সমিতি তৈরী হয়েছিল। ইংরেজের কারাগারে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক যে বিপ্লবীদের ফাঁসি হয়েছিল তারা বাঙ্গালী। তার পরেই আছেন পাঞ্জাবীরা। গান্ধীজী অত্যন্ত রূঢ়তার সঙ্গে এই বিপ্লবীদের নিন্দা করতেন ও বৃটিশের রক্ত ঝরানোর কোন পদ্ধতিকেই তিনি সমর্থন করতেন না। তাছাড়া, গান্ধীজী ও জওহরলাল নেহরু নির্বাচিত কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে তঞ্চকতাপূর্ণ ব্যবহার করেন। তাদের বাঙ্গালী বিদ্বেষ ও সৈরাচারী কাজকর্ম বাঙ্গালী নেতাদের লাগাতার বিরুদ্ধাচরন বাঙ্গালীকে ‘গান্ধীর চরকায় স্বাধীনতা’ তত্ত্বকে বিদ্রুপ করতে প্ররোচিত করেছে। এমনকি, গুজরাতি রাজনীতিকদের মধ্যে গান্ধীজীর মতের বিরোধী নেতাদের কাউকেই তিনি রেয়াত করেননি। বিঠলভাই প্যাটেলের মত ব্যক্তিত্ব গান্ধীজীর কঠোর সমালোচক ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের সমর্থক ছিলেন বলে গান্ধীজীর চেলা জওহরলাল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এখন অব্দি বিঠলভাইয়ের জীবন ও কাজ নিয়ে কোন প্রচার হয়নি। অথচ বিঠলভাইয়ের ছোট ভাই বল্লভভাই প্যাটেল গান্ধীজী ও জওহরলালকে সাথ দেওয়ায় তাঁকে বিশাল স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে দেখানো হয়। এই বল্লভভাই প্যাটেল কিন্তু জওহরলালের মতই নিজের মেয়েকে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করান। এখনকার কেন্দ্রীয় সরকার বল্লভভাই প্যাটেলের বিশাল স্ট্যাচু বানিয়ে তাঁর কর্মকান্ডকে মাণ্যতা দিয়েছেন! এদিকে সুভাষচন্দ্র ও চিত্তরঞ্জন দাশকে সমর্থন করা বিঠলভাইয়ের কপালে জুটেছে অবহেলা, অবজ্ঞা ও বঞ্চনা। বিলভাই তাঁর মৃত্যুর পূর্বে উইল করে তাঁর সম্পত্তির তিন চতুর্থাংশ দিয়ে যান সুভাষচন্দ্র বসুকে তাঁর স্বাধীনতার জন্য লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আশ্চর্যজনকভাবে বিঠলভাইয়ের মৃত্যুর পর বল্লভভাই এই উইলকে চ্যালেঞ্জ করেন। অনেকে বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে বৃটিশের তলায় তলায় ভালো সম্পর্ক থাকার সুবাদে বল্লভভাই আদালতে মামলা জিতে বিঠলভাইয়ের সম্পত্তির দখল নেন। সেখান থেকে কোন অর্থ সুভাষচন্দ্রের কাছে যাতে না যায়, তা একটি বড় কারন ছিল এই মামলার! এসব ঘটনা বাঙ্গালী জানে! সেই বল্লভভাইয়ের স্ট্যাচু পুজারীরা বাঙ্গালী ও বাংলার কাছে কি বিশ্বাস বা সম্মান আশা করেন?
এবছর রিপাবলিক ডের গুজরাতের ট্যাবলোতে বৃটিশরাজের সময় ১৯২২ সালে, ১২০০ আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গুলি করে হত্যা করার একশ বছর পূর্তিতে সসেই ঘটনাকে স্মরণ করা হয়। কিন্তু, এছাড়া কোন গুজরাতি স্বাধীনতা সংগ্রামী বা বিপ্লবীর খোঁজ মেলে না, যিনি বৃটিশ শাসকের হাতে শহীদ হয়েছেন! আবার, ১৯৪৫ সালে এই বাংলায় নীলগঞ্জের কারাগারে বন্দী প্রায় ২৩০০ জন INAর অফিসার ও জওয়ানকে বিনা প্ররোচনায় বৃটিশ ফৌজ গুলি চালিয়ে হত্যা করে। হিসেব অনুযায়ী ঐ সময় ঐ কারাগারে দশ হাজার INAর যোদ্ধাদের রাখা হয়েছিল। সংখ্যার বিচারে এই হত্যা জালিয়ানওয়লাবাগের চেয়েও অনেক বেশী প্রাণঘাতী। আশ্চর্য হচ্ছে, স্বাধীনতা উত্তর কোন কেন্দ্রীয় সরকার ইতিহাস বই ও পাঠ্য পুস্তকে এই ঘটনাকে স্থান দেয়নি। সবচেয়ে বড় কথা, বৃটিশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গিন্ধী ও তার অনুচর জওহরলালের কংগ্রেস সরকার INAর বন্দীদের যুদ্ধবন্দীর স্বীকৃতি দেয়নি। এখনকার কেন্দ্রীয় সরকারও একই পথের পথিক! জানিনা কোন গুজরাতি একাত্মতার ব্যপার আছে কিনা! এসব কিন্তু বাঙ্গালী মনে রেখেছে। অথচ, জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনা বহুল প্রচারিত – এ কারনে বাঙ্গালী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৃটিশের দেওয়া ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেন। ভারতের স্বাধীনতার প্রশ্নে লর্ড মাউন্টব্যটেনের সঙ্গে জওহরলাল নেহরুর চুক্তি মোতাবেক INAর কোন পদাধিকারীর কোন সম্পান, অর্থ এবং অন্য কোন প্রকারের স্বীকৃতি থাকবে না! অধিকন্তু তাদের স্বাধীন ভারতের সেনাবাহিনী বা অন্য কোন সরকারী দায়ীত্বে রাখা যাবে না। জওহরলাল ওই চুক্তি অক্ষরে অক্ষরে মেনেছিলেন। শুধু তাইনয়, আজ পর্যন্ত কোন কেন্দ্রীয় সরকার এই চুক্তি বাতিলের জন্য পদক্ষেপ করেনি। এতে ক্ষতির চেয়ে বড় কথা – বাঙ্গালীর হৃদয়মণি সুভাষচন্দ্র বসু ও তাঁর INAকে অপমান করা – যা বৃটিশ সরকারের সঙ্গে কাধে কাধ মিলিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার করেছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকার ও তার পরিচালনায় থাকা রাজনৈতিক দলগুলি বাঙ্গালীর কাছে শত্রু হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে।
যখন জওহরলাল ও তার পরবর্তী কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়নের প্রশ্নে পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ দিতে গড়িমসি করেন (যা এখনো অনেকাংশে বজায় আছে), তখন অন্য কিছু রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের বদান্যতায় উন্নয়নের জন্য অর্থের অভাব হয় না। সেই ট্র্যাডিশান এখনো চলেছে।
১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগ ও জেহাদী ইসলামের তাড়নায় পূর্ববঙ্গ থেকে অল্প সময়ের ব্যবধানে বাঙ্গালী হিন্দুর ‘রিফিউজি’ তকমা নিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে আগমন এই রাজ্যের মানুষের উপর প্রচন্ড অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাপ সৃষ্টি করে। উদ্বাস্তু পূনর্বাসনের কোন সুষ্ঠু পরিকল্পনা না থাকায় এবং পঞ্জাবের তুলনায় বাংলার রিফিউজিদের সঙ্গে বিমাতৃসূলভ আচরণ করায় কেন্দ্রের শাসক রাজনৈতিক দলের উপর বাঙ্গালীর ক্ষোভ বাড়তেই থাকে। এরপর উদ্বাস্তুদের নিয়ে শুরু হয় রাজনীতি। কেন্দ্রের ও রাজ্যের দুই সরকারই মৌখিক আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই করেননি। রাজ্য সরকার তবু উদ্বাস্তুদের দখলীকৃত সরকারী জমির উপর বসবাসকে আইনী স্বীকৃতি না দিলেও তাদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করেননি। যার ফল স্বরূপ এই রিফিউজিকুল রাজ্য সরকারের সরাসরি বিরোধীতা না করলেও কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ বাড়তেই থাকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায়, এই সময় থেকেই পশ্চিমবঙ্গে দখলীকৃত কলোনিগুলির উদ্ভব শুরু হয়। কলোনিগুলির নামকরনে স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ হওয়া বাঙ্গালী বিপ্লবীদের প্রাধান্য দেখে বাঙ্গালী মানসিকতার কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যায়। ১৯৭৯ সালে মরিচঝাঁপির নির্মম গণহত্যার ঘটনা এই মানুষগুলির অনেককেই রাজ্যের সরকারের বিরোধী করে তুললেও তার জন্য তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থক হয়ে ওঠার কোন কারন ঘটেনি।
এদিকে রাজ্যের মানুষের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা রাজনৈতিক দলগুলির দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস ধীরে হলেও নিশ্চিতভাবে রাজ্যের হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙ্গালীকে কেন্দ্র বিরোধী অবস্থান নিতে প্ররোচিত করে। তখন থেকেই বাঙ্গালীর ভাগ্যাকাশে চরম দূর্ভোগ শুরু হয়। ইতিমধ্যে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জন অসন্তুষ্টিকে বিপথগামী করার জন্য এক রাজনৈতিক ছক কষা হয়। তা হল “কেন্দ্রে দোস্তি, রাজ্যে কুস্তি” নীতিতে সেটিংয়ের রাজনীতি! অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, হরিয়ানা ইত্যাদির সঙ্গে এ রাজ্যেও এই রাজনীতি শুরু হল আশির দশকে – ইন্দিরা গান্ধীর দ্বিতীয় ইনিংস ও রাছ্যের বামফ্রন্টীয় মোড়কে জ্যোতি বসুর সিপিএমের সময়ে। প্রথম কয়েক বছর এই খেলা ভালোভাবেই চলল। এমনকি নরসিমহা রাওয়ের সময় পযর্ন্ত অসুবিধা না হলেও দু পক্ষের পরবর্তী কয়েকটি পদক্ষেপে এই সেটিং পাল্টে গেল! পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে উল্কার গতিতে উত্থান হল নতুন তারকা শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জীর। জ্যোতি বসুর রাজনীতি অনুধাবন ও অনুসরণ করে তিনি বাঙ্গালী জণগনের মনের কাছাকাছি চলে এলেন। বাঙ্গালী মানসিকতা বোঝার ক্ষমতা এই মূহুর্তে সবচেয়ে বেশী যে রাজনীতিকের আছে তিনি মমতা ব্যানার্জী। বঞ্চিত, অবহেলিত বাঙ্গালী যখন সিপিএমের রিগিং ও সন্ত্রাস মেশিনারীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হল, তখন বাঙ্গালী মননে যে পলায়ণবৃত্তি দেখা দিল তাকে অনেকে মেরুদন্ডহীণতা বলেছেন! আসলে, বাঙ্গালীর পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাওয়ায় তার অর্থনৈতিক পঙ্গুতার কারনে ধীরে ধীরে বাঙ্গালী এক “ভাতাজীবি” জাতিতে পরিণত হল। সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অনেক সময় খেটে খাওয়ার কথা বলা হয়; অবশ্যই শ্রমের বিনিময়ে রোজগার সম্মানজনক – কিন্তু আমার জিজ্ঞাস্য যে, কাটমাণি,সিন্ডিকেটের বাঙ্গলায় – কলকারখানাহীণ বাঙ্গলায় – যেখানে পুলিশ শাসকদলের তাঁবেদাদ এবং সংবাদ-মাধ্যমগুলির মধ্যে শাসকের মোসাহেবীর প্রতিযোগিতা চলে – সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে এমন কোন আশার আলো এই রাজ্যের মানুষকে দেখানো হয়েছে কি?
পূর্বের মতই কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বাঙ্গালীর জন্য লিপ সার্ভিসের চেয়ে বেশী কিছু করেছে বলে ত জানা নেই। সবচেয়ে বড় কথা, ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ, হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে – যাদের ১৮টা লোকসভা সিটে জেতালো (সঙ্গে প্রায় ৫০% ভোট), তারনর থেকে সেই রাজনৈতিক দল কি করল? জেহাদীদের বিরুদ্ধাচরণ করার নামে একটি ধর্মকে ও সেই ধর্মের সকল মানুষকে অপমান করতে লাগল! বাংলার বাইরের কয়েকজন ভূঁইফোড় মানুষকে দলের নেতা নাম দিয়ে এই রাজ্যে মাতব্বরি করতে পাঠানো হল – এর মধ্যে জনা দুয়েক বাঙ্গালী নাম ছিল! মাটির সঙ্গে, মানুষর সঙ্গে সম্পর্কহীণ মানুষরা ২০১৬র নির্বাচনে ভূতের নৃত্য শুরু করল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সমর্থন ছাড়া এসব কি সম্ভব ছিল? আজ যখন কেন্দ্র-রাজ্য সেট-ইন দিনের আলোর মত পরিষ্কার, তখন একটা কথা উল্লেখ না করে পারছি না – এই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ২০২১শে র নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল দলের জয়লাভ করা নিয়ে নিঃসন্দেহ ছিল! কারন, তাদের দল যদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার জাতগায় থাকত, তবে নির্বাচনে এমন অর্বাচীনের মত প্রার্থী চয়ন না করে এমনভাবে প্রার্থী নির্বাচন করত, যাতে করে দলের জয়ী প্রার্থীরা প্রশাসন চালানোর মত দক্ষ হন। আরেকটি কথা, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর একটিও এমন রাজ্য আছে কি যেখান থেকে ১৮ জন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরেও একজন এমপিও ক্যাবিনেট মন্ত্রী হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন না! এই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বাঙ্গালীর প্রতি অবিশ্বাস ও অবহেলার জবাব বাঙ্গালী দিতে শুরু করেছে।
শেষে বলি, সেট-ইনের চিত্রনাট্য বড্ড মেলোড্রামাটিক হয়ে যাচ্ছে। সেই এক খেলা – ইডি,সিবিআই, জামিনযোগ্য শমন, তারপত IPGMR এর ভিআইপি কেবিনে ভর্তি এবং সবশেষে ‘দিদিমণি’র দিল্লী আগমণ – বিশেষ আলোচনা – তারপর সব ঠান্ডা ঘরে! এর অবিসংবাদী ফল হচ্ছে, রাজ্যের বিরুদ্ধে মানুষ যখন বিক্ষুদ্ধ হবে, তখন কিন্তু তার গোপন সহযোগী রাজনৈতিক দলকেও ছুঁড়ে ফেলে দেবে। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের বোঝা উচিৎ, বাঙ্গালীকে অবহেলা, অবজ্ঞা, অবিশ্বাস করে এবং শুধুমাত্র ধর্মের নামে ভোট চাইলে এই রাজ্যে সেট-ইনে থাকা সর্বভারতীয় দলের ঝুলিতে ২০২৪এ একটি আসনও জুটবে না।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন জিততে বাঙ্গালীয়ানা জরুরী
