এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।
সত্যি এমন দেশের জুড়ি মেলা ভার! এখানে দেশ বলতে কবির মতই রাজ্যকে বলছি। এমন রাজ্য এই দেশে কেন, পৃথিবী খুঁজেও দ্বিতীয় একটি পাওয়া যাবে না! শিক্ষকদের কাছে শিক্ষালাভের সময় শুনেছি, কোন দেশকে ধ্বংস করতে হলে যুদ্ধের মত সরাসরি অস্ত্রপ্রয়োগের পথে না গিয়ে অনেক কার্যকরী হচ্ছে, ঐ দেশের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া। এই দুটির অবর্তমানে অল্প সময়ের মধ্যে দেশ ধ্বংস হবে।
আজকে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্দেশ্য ও রাজ্যের শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনা করছি। একসময় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদন্ড না হলেও মস্তিষ্ক ছিল এই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে পথিকৃৎ। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার অবমূল্যায়ন শুরু হয় সিপিএমের আমলে শিক্ষায় উৎকর্ষতার বিরুদ্ধে সিপিএমের সরকারের জিহাদ ঘোষণার সময় থেকে। স্মরণে আছে, একসময় আমরা কয়েকজন অধ্যাপক ডঃ অশোক মিত্রের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর ফ্ল্যাটে গিয়েছিলাম। আমাদের দলে স্বর্গীয় শৈবাল মিত্র, স্বর্গীয় রবীন্দ্রনাথ ব্যানার্জী, পুলকনারায়ণ ধর ও সুব্রত পান্ডা ছিলেন। এই দলের কণিষ্ঠতম সদস্য ছিলাম আমি। সেদিনের আগের দিন ডঃ মিত্র জ্যোতি বসুর ক্যাবিনেটের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ঐ দিন ডঃ মিত্র আমাদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন – এরা (বামফ্রন্টের বকলমে সিপিএম) মুড়ি,মিছরির একদর করে দিল! প্রেসিডেন্সী কলেজ আর গোবরডাঙ্গা কলেজ এক হল! দুই কলেজের প্রিন্সিপালের মাইনে সমান হল! এভাবেই বামফ্রন্টের শিক্ষানীতি ও তার প্রয়োগ নিয়ে ডঃ অশোক মিত্র তাঁর অভিমত ব্যক্ত করেন। সেই শুরু – শিক্ষায় মেধা, উৎকর্ষতার বদলে জায়গা করে নিল দলের প্রতি আনুগত্য। এই আনুগত্যের মাপকাঠিতে শিক্ষকতা চাকরী পাওয়া শুধু নয়, পদোন্নতি পর্যন্ত হতে লাগল! শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতা নয়, গুরুত্ব পেল আলিমুদ্দিনের শিক্ষা সেলের recommendation! তারপর, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাই সরকারী প্রশাসনের অধীনে থাকলেও রিমোট কন্ট্রোল দলের শিক্ষা সেলের নিয়ন্ত্রনে ছিল। নিয়োগ এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চয়ন – পুরো কর্মকান্ডই অলিখিতভাবে দলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। একাধিক উপাচার্য নিয়োগে ইউজিসির নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখানো হয়েছে।
এসব সত্ত্বেও একটা কথা বলা প্রয়োজন। সব কিছুই করা হত অতি সন্তর্পনে ও নীরবে দলের বিশ্বস্ত “কমরেড”দের পরিচালনায়! খুব অল্প কিছু ক্ষেত্রে মেধা দাম পেত – বিশেষতঃ শিক্ষকতা শুরু করার সময়। তবে প্রফেসর ও উপাচার্যদের চেয়ারে বসতে দলের recommendation ছিল আবশ্যিক। দলের সবুজ সংকেত ছাড়া কোন কলেজের প্রিন্সিপাল নিয়োগ না করার অলিখিত আদেশ ছিল! এভাবেই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে অবমূল্যায়ন শুরু হয়। আমরা একে “অনিলায়ন” (তখন অনিল বিশ্বাস দলের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী চেয়ার – জেনারেল সেক্রেটারী পদে আসীন) বলতাম। অনিলায়নের ফলে যা হল তার নির্যাস হল রাজ্যে শিক্ষার রাজনীতিকরন। এর ফলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হল। তার প্রভাব প্রত্যক্ষভাবে রাজ্যের ছাত্রসমাজের উপর এসে পড়ল। ছাত্র, শিক্ষক, সকলেই তখন কে কত বড় কম্যুনিস্ট, কে ‘আগমার্কা’ সিপিএম – তা প্রমাণ করতেই তাদের সব শক্তি নিয়োগ করত! অনিল বিশ্বাসের মৃত্যুর পরেও অবস্থার কোন পরিবর্তন হল না। তখন এই ব্যবস্থাই রাজ্যের শিক্ষায় “সিস্টেম” হয়ে গেছে! শিক্ষার অবক্ষয়ের সঙ্গে অন্যান্য ক্ষেত্রেও জনসাধারণের অসন্তুষ্টির কারনে ২০১১ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী হলেন সিপিএমের মেধাবী ছাত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
মমতা বন্দোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসে প্রথমেই সব দপ্তরের মন্ত্রীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তাঁর নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করতে সচেষ্ট হলেন। যেসব মন্ত্রীরা শতকরা ১০০ ভাগ স্তাবকতা করতে রাজি হলেন না, তাদের ধীরেধীরে মন্ত্রীত্ব থেকে অপসারন করা হল। জনমানসে বার্তা গেল – দল ও সরকারে একটিই পোস্ট, বাদবাকী সব ল্যাম্পপোস্ট! ধীরে ধীরে নেতৃত্বের megalomaniac চরিত্রের পরিচয় প্রকাশ পেতে লাগল। সব বিভাগীয় মন্ত্রী, আমলারা তাদের সমস্ত নীতিগত এবং রুটিন মন্তব্য পর্যন্ত – “মূখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরনায়” বা “মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরনায়” বলে উল্লেখ করা নিয়মের মধ্যে নিয়ে এলেন!
মূখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন কাজের মধ্যে যেমন দেখনদারি প্রকাশ পেতে লাগল, আসল কাজের ক্ষেত্রে তার সিকিভাগ কাজও অনেকক্ষেত্রেই হল না। যেমন, রাস্তাঘাট সারাই, বিভিন্ন স্তরের কিছু মানুষকে কিছুদিনের জন্য বিভিন্ন নামের স্কীমের থেকে অনুদান দেওয়ার (বিভিন্ন “শ্রী” যুক্ত করা নামে) ঘোষণাকে রাজ্য সরকারের তরফে “উন্নয়ণ” বলে চালানো হতে লাগল। শিক্ষা ও চিকিৎসা – উভয় দপ্তরেই এর কোন ব্যতিক্রম হল না। অথচ এই দুই দপ্তর সম্পর্কে ধারনা না থাকলে এদের সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা দুঃসাধ্য। শিক্ষায় “উন্নয়ণ”এর সহজ রাস্তা চিনে নেওয়া হল – শুধু বাড়ি,ঘরদোর বানিয়ে বলে দেওয়া হল স্কুল, কলেজ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত খুলে দেওয়া হল! মনে হয় না কোন বিশেষজ্ঞ কমিটি করে তাদের সুপারিশে এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানানো হয়েছে। বিশ্বভারতীর মত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে “বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়” খোলা হল! এর জন্য মনে হয় না কোন রকম বিশেষজ্ঞ কমিটি করে তার সুপারিশ নিয়ে এসব হয়েছে।যে জেলায় মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হল, সেখানে তার যত না দরকার ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশী দরকার ছিল উত্তরবঙ্গে মহিলাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় খোলার। স্কুল, কলেজও একই পদ্ধতিতে খোলা হয়েছে। কারোর “অনুপ্রেরনা”য় শিক্ষা জগৎ চললে এমন হওয়াই ত স্বাভাবিক। অথচ এইসব শিক্ষাকেন্দ্রের অবকাঠামো (infrastructure) অতি সামান্য বললেও বাড়িয়ে বলা হয়। শিক্ষা দপ্তরের এমন বাজেট নয় যে আগামী ত্রিশ বছরেও এইসব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলির যথাযথ অবকাঠামো তৈরী করা যেতে পারে। শুধু বাড়ি তৈরী করলেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী হয় না – অনেকগুণ বেশী অর্থ প্রয়োজন যথার্থ অবকাঠামো নির্মাণে। আবার অনেক জায়গায় রাজনীতির হাততালি কুড়োতে কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়া হয়েছে! বিশ্ববিদ্যালয় ও তার কাজকর্ম সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারনা থাকলে এভাবে হাস্যকর “উন্নয়ণ”এর নামে শিক্ষাদপ্তরকে গৌরবান্বিত করার ধৃষ্টতা দেখানো যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, কলেজে প্রিন্সিপাল ও স্কুলে হেডমাস্টারমশাই নিয়োগ করেই নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার “উন্নয়ণ” ঘোষণা করা হয়!
যে রাজ্যে এত বেকার শিক্ষিত ডিগ্রিধারী ইঞ্জিনিয়ার আছে, সেখানে প্রত্যাশিতভাবেই ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি কলেজ গুলিতে ছাত্রভর্তির হার মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। এমতাবস্থায় রাজ্যে যত্রতত্র ITI খুলে কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি ছাড়া আর কিইবা করা যায়! রাজ্যে শিল্পস্থাপন হলে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়লেই মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে ও সাথেসাথে রোজগার বাড়বে। তখনই শিক্ষার প্রয়োজন অনুভূত হবে। এখন যেহেতু রাজ্যে সরকারী ও সরকার-পোষিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ খুবই কম, সেইসঙ্গে অনুদান নীতির ফলে রাজ্যের কোষাগার প্রায় শূণ্য, সরকারের পক্ষে নতুনকরে তার নীতি পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও রাজ্যের কর্ণধার তাঁর চারিত্রিক গুণের কারনে তাঁর নিজের নীতির থেকে বিচ্যুত হবেন না! তিনি গর্ব করে সংবাদ-মাধ্যমের কাছে বলেন, ক্ষমতায় আসার পর তিনি নাকি রাজ্যে পাঁচশ IIT তৈরী করেছেন! সারা ভারতে পঞ্চাশ কেন, তার অর্ধেক IIT নেই! হয়ত উনি IIT আর ITI এর তফাৎ করতে পারেননি! এভাবেই অনুপ্রাণিত শিক্ষাদপ্তর চলছিল। এক অভিনব পদ্ধতিতে এই দপ্তরের স্কুলস্তরের বিভিন্ন লেভেলে ‘শিক্ষক’ নিয়োগ চলছিল লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে। আসলে সরকারের “সততার প্রতীক” ভাবমূর্তি রাখার উদগ্র কামনায় এই আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দেখা গেল এইসব নিয়োগে চরম দূর্ণীতির হদিশ পেয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদ্বয় অনুসন্ধান করে দেখে যে, দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীসহ তাঁর দ্বারা এবং “অনুপ্রেরনা”র অনুমোদনে নিযুক্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা অর্থের বিনিময়ে যাকে তাকে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেছে! মন্ত্রীসহ রাঘব-বোয়ালরা জেল হাজতে যেতেই থলে থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ল।
এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়া “কেন্দ্রের চক্রান্ত” বলার সুযোগ নেই; কারন এটি চলেছে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এবং আদালতের তত্বাবধানে। আশ্চর্যের বিষয় – এই অনুসন্ধানের বিরুদ্ধে উচ্চতম আদালতে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া বন্ধ করার আবেদন জানানো হয়েছিল – আদালত অবশ্য তাতে সাড়া দেয়নি। একটি কথা মনে রাখা দরকার যে, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এভাবে যারা অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে ও যারা তাদের সেটা করার সুযোগ করে দেয়, তারা শুধু শিক্ষা দপ্তরকেই কলুষিত করছে না, সেইসঙ্গে রাজ্যের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই পাপ এক আধটা খুন করার চেয়ে অনেক ঘৃণ্য অপরাধ। সংবাদ-মাধ্যমের কল্যানে আমরা এই রাজনৈতিক চক্রের কর্মপদ্ধতি সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জেনেছি। এখানে তার ব্যখ্যার প্রয়োজন নেই। শুধু এটুকু বলতে চাই, যারা এভাবে অর্থ উপার্জনের পথ করে নিয়েছে, তাদের পশু বললে পশুদের পর্যন্ত অপমান করা হয়। কারন এরা জনগণের ভবিষ্যতকে নষ্ট করে রাজ্যকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। শাসক কেন রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে চায় – সেটা সত্যজিত রায় তাঁর “হীরক রাজার দেশে” ছবিতে পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ছাত্ররা শিক্ষা পেলে “মানে কম”! ফলে,”হীরকের রাজা ভগবান” শ্লোগান প্রশ্নের মুখে পড়বে! খেলা,মেলা, অনুদান থেকে দুয়ারে স্ফুর্তির নানাবিধ উপকরণ প্রশ্নের মুখে পড়বে! কোন একনায়ক, যিনি megalomaniacও বটে, কখনোই তা মানতে চাইবেন না। তাই আশা ছিল যে, উচ্চ আদাদালতের নির্দেশের পর রাজ্য সরকার তাদের ভুলত্রুটিগুলি শুধরে নেবেন; নির্বাচন প্রক্রিয়ার ভন্ডামোতে নিযুক্ত, ঘুষ দেওয়া অযোগ্য ‘শিক্ষক’ নিয়োগের পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করবেন!
কিন্তু বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর কথায় অন্যরকম গন্ধ পাওয়া গেল। তিনি সংবাদ-মাধ্যমে জানালেন যে, উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাঁরা নতুনভাবে “যোগ্য” প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেবেন। সেইসঙ্গে তিনি আরো বললেন, যারা আদালত নির্দেশিত ব্যবস্থায় চাকরী হারাবেন (যারা অসৎ উপায়ে ও উৎকোচের বিনিময়ে চাকরী পেয়েছেন) তাদের জন্যও সরকার চাকরীর ব্যবস্থা করবে! এমনিতেই সরকারের ভান্ডারে টাকা নেই; কর্মচারীদের ডিএ বন্ধ থেকে অনেক উন্নয়ণমূলক কাজ অর্থাভাবে বন্ধ। এমতাবস্থায় এই স্বীকৃত অযোগ্য এবং অসৎ মানুষদের চাকরীতে বহাল রাখার দায় কেন সরকারের? তাহলে কি সরকারের কর্তাব্যক্তিরাই চাকরী সংক্রান্ত অবৈধ লেনদেনে জড়িত? কিছু এমন বার্তা আসছে! এভাবে ঘরের ময়লা কার্পেটের নীচে লুকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা কি শুধু ক্ষমতাশালী দোষীদের বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা? আবার এই অতিরিক্ত আর্থিক চাপ নেওয়া কি সরকারের পক্ষে সম্ভব? কারন, বেআইনী চাকরী পাওয়া শিক্ষকের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়েছে! এভাবে বাজেট বরাদ্দে প্ল্যান ও আনপ্ল্যান দুরকম বাজেটই গুবলেট হবে। ফলে, অর্থনৈতিক নৈরাজ্য ও সেইসঙ্গে সরকারের স্থায়ীত্ব প্রশ্নচিহ্নের মুখে পরবে।
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার অন্তর্জলী যাত্রা
