পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ এর নির্বাচনে বিজেপির হার কেন

সদ‍্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে শ্রীমতি মমতা ব‍্যানার্জী তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সফলতম জয় হাসিল করেছেন। তাঁকে অভিনন্দন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সফলতম ব‍্যক্তি, যিনি বাঙ্গালী অস্মিতাকে শুধু যে তুলে ধরেছেন তাই নয়, একই সঙ্গে অত‍্যন্ত চাতুর্যের সঙ্গে তিনি বাঙ্গলার উপর অবাঙ্গালী শাসন চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধীতা করে বাঙ্গালীর প্রতিবাদী চরিত্রকে উস্কে দিয়েছেন। তাঁর প্রচার অভিযানের কয়েকটি নির্দিষ্ট অভিমুখ ছিল। প্রথমতঃ অন‍্যান‍্য রাজ‍্যে সম্ভব হলেও পশ্চিমবঙ্গে মূখ‍্যমন্ত্রীর মূুখ ছাড়া কোন রাজনৈতিক দল সাফল‍্য পায়নি। সেক্ষেত্রে মমতাদেবী একমাত্র মূখ‍্যমন্ত্রীর মুখ। প্রধান দলগুলির মধ‍্যে লড়াইয়ের ময়দানে থাকা একমাত্র দল বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে মূখ‍্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা না করে রাজনৈতিকভাবে ভুল করেছে। হয়ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এমন কোন মুখকে মূখ‍্যমন্ত্রী করার বাসনা ছিল, যা আগে ঘোষণা করে দিলে তাঁদের অসুবিধা হত। কিন্তু আমার মনে হয়, এটা করতে গিয়ে বিজেপি ব‍্যকফুটে চলে গিয়েছিল।
তৃণমূল বোদ্ধা, শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবীদের সুকৌশলে কাজে লাগালেও রাজ‍্য বিজেপি আর এস এস ঘনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবী ও অধ‍্যাপক সংঘকে কাজে লাগাতে উৎসাহী ছিল না। মনে হয়, বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদের জয়ের ব‍্যপারে এতটাই আত্মতৃপ্ত ছিল যে তাঁরা এই ধরনের প্রচারে কোন আস্থা রাখেনি। বিজেপি তৃণমূলস্তরের রাজনীতিটা বুঝতেই পারেনি। তাঁদের অনেক নেতাই ধমক, চমক, কুকথার রাজনীতির মধ‍্যে দিয়ে নিজেদের আত্মম্ভরিতা প্রকাশ করেছেন আর সেইসঙ্গে মানুষের বিরক্তির কারণ হয়েছেন। বিজেপি সর্বভারতীয় দল হওয়ায় তাদের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রচারে রাজ‍্যে আসবেন, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের মাত্রাতিরিক্ত প্রচারে উপস্থিতি মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। রাজ‍্য নেতৃত্ব ভেবেছিল, প্রচারের ঔজ্বল‍্য, চাকচিক‍্য, মানুষের ভিড় – তাদের ভোটবাক্সে জিতিয়ে দেবে! এটা তাদের অনভিজ্ঞতার ফল। একটি ঘটনার কথা বলি। রাজীব গান্ধী তখন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কোলকাতায় এলেন তাঁর দলের প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করতে। মিটিংয়ে জনজোয়ার। তখন মমতাদেবীও কংগ্রেসে। সেইদিন রাতে এক সিপিএম নেতার সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বললেন, “আমরা অন্ততঃ পঞ্চাশ হাজার ভোটে জিতবো”! আমি বললাম, “আপনি জনসভার ভিড় দেখেছেন”? ত তিনি বলেছিলেন, “ভাই, লোকে প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে গেছে, উজ্বল প্রচার দেখতে গেছে, কিন্তু ভোটটা আমাদেরই দেবে”। নির্বাচনের ফল বেরনোর পর ঐ নেতার কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলেছিল। বাঙ্গলার ভোটের যে একটা নিজস্ব ধারা ও সমীকরণ আছে তা এই বিজেপি নেতৃত্বের অজানা। আর এই চাল মমতাদেবীর নখদর্পনে।
আগে বিজেপি নেতৃত্বের ভুল প্রার্থী চয়ন ও দলবদলুদের অতিরিক্ত প্রাধান্য দেওয়ার কথা বিস্তৃতভাবে লেখা হয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচনের একটা বড় দিক, যা শ্রীমতি ব‍্যানার্জী খুব সূহ্মভাবে ভোটারদের সামনে তুলে ধরেছেন, তা বিজেপি খন্ডন করার কোন চেষ্টা করেনি। সেটা হল, ‘বহিরাগত তত্ত্ব’। এটা অত‍্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তৃণমূল নেতারা প্রচারে রাখলেও বিজেপি নেতারা ধরতেই পারেনি যে অভিযোগটি কোন পর্যায়ের।
মমতা ব‍্যানার্জীর গত দশ বছরের শাসনে মানুষ যে স্বস্থিতে নেই, তা প্রচার করে জনমত সংঘটিত করা হল না, আবার “সোনার বাঙ্গলা” যে একজন স্বপ্নের ফেরীওয়ালার স্বপ্ন ফেরীর গল্প, তা বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রতিভাত হল। কিভাবে? অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিগুলি আমমধ‍্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের চরম অসুবিধায় ফেলেছে। আমাদের দেশে সিনিয়ার সিটিজেনদের অধিকাংশই ব‍্যঙ্কের সুদের উপর নির্ভরশীল। সুদ কমছে। নিত‍্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দাম ঊর্ধমুখী। ইওরোপ, আমেরিকার মত ‘সোশ‍্যাল সিকিউরিটি’ আমাদের দেশে নেই তা বোধহয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী জানতেন না! আবার দেশ থেকে যে কজন ব‍্যবসায়ী ব‍্যঙ্কের টাকা মেরে বিদেশে পালিয়ে গেছেন, তাদের একটা লিষ্ট সোশ‍্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। সেখানে ত্রিশজনের নাম দেখা যাচ্ছে। যা মধ‍্যে উনত্রিশজনই গুজরাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সুতরাং রাজ‍্যসরকারের বিভিন্ন কেলেঙ্কারী, কাটমানির অভিযোগ ইত‍্যাদি ধামাচাপা দিয়ে তোলা হল বহিরাগত তত্ত্ব। অর্থাৎ বাইরের রাজ‍্য থেকে লোকেরা বাঙ্গলা লুঠ করতে এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত ভ্রান্ত নীতিগুলিকে মানুষের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হল। রাজ‍্যের সংবাদমাধ্যমগুলো এই প্রচারকে গুরুত্ব দিল। বিজেপির মিডিয়া সেল নাকি স্বঘোষিত “জাতীয়তাবাদী” বিজেপি সমর্থক জপসাধারনের মন বোঝার চেষ্টা না করে কেন্দ্রীয় সরকার, বিশেষতঃ মোদী ভজনায় নিবেদিত প্রাণ হয়ে আরো বিরক্তির কারন হল। অন‍্যদিকে বিজেপির ট্র‍্যাডিশানাল সমর্থক, অবাঙ্গালী ও একটি বড় অংশের হিন্দু বাঙ্গালী ব‍্যবসায়ীরা চাপের মধ‍্যে পড়ে গেলেন। এইভাবে বাঙ্গালী অস্মিতায় সূক্ষ ধোঁয়া দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে “বাংলা তার মেয়েকেই চায়” হোর্ডিং যথেষ্ট মনোগ্রাহী হল। তৃণমূল একের পর এক তাদের বক্তব‍্য বলে গেছে। বিজেপির নেতৃত্ব তাদের ব‍্যঙ্গ, বিদ‍্যুপ করেই কালহরণ করেছে! তৃণমূল নেত্রী অত‍্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে অন‍্য দলের, যেমন বামপন্থীদের, মিডিয়া সেলের প্রচারকে নিজের দিকে টেনে নিলেন। বামপন্থী নেতৃত্বের চিন্তার স্থবিরতা ব‍্যপারটাকে বুঝতেই দিল না। প্রথমতঃ, যে ‘বহিরাগত’ তথ‍্য মমতাদেবী দিলেন, তাতে ধুনো দিল নেট দুনিয়ায় বামপন্থীদের প্রচার। এর মধ‍্যে দেশের ব‍্যঙ্কগুলির টাকা মেরে পালিয়ে যাওয়া ব‍্যবসায়ীদের তালিকা অগ্রগণ‍্য। মমতাদেবী বামপন্থীদের প্রচারকে নিজের ভোটবাক্সের স্বার্থে ব‍্যবহার করেছেন আর বিজেপি এ বিষয়ে কোন কথা না বল মৌণং সম্মতি লক্ষণম্ বোঝাতে চেয়েছে! যেহেতু বামপন্থীদের ভোট দিয়ে বিজেপি বিরোধী শক্তি ভোট নষ্ট করতে চায়নি, সেহেতু আসন প্রাপ্তির নিরিখে বামপন্থীরা সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে।
আরেকটি ব‍্যপার লক্ষণীয়। এবারের ভোটের মেরুকরন তৃণমূল ও বিজেপির মধ‍্যে হলেও যেমন মুসলিম ভোট শুধু তৃণমূলে গেছে, তেমনি হিন্দু ভোট তাদের দিকে টানতে বিজেপি ব‍্যর্থ‍। মমতা ব‍্যনার্জীকে অনুদানের রাজনীতি করার জন‍্য বিজেপি নেতৃত্ব দোষারোপ করেছে। কিন্তু শ্রীমতি ব‍্যনার্জী এভাবে অনুদানের রাজনীতি করে নিজে বাহবা নিলেন। আর একই পথের পথিক বিজেপির কিশান বিকাশ যোজনা, অটল পেনশান যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা ইত‍্যাদি প্রকল্পগুলি কি অনুদান নয়? আমার একটা পাঞ্জাবী কথা মনে পড়ল: মেরা কুত্তা কুত্তা, অর তুয়ারা কুত্তা টমি! দেশের মানুষকে নূন‍্যতম ভাত, কাপর আর বাসস্থানের সংস্থান যোগানো সরকারের প্রাথমিক কাজ। সেই কাজে অবহেলা করে প্রান্তিক চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে অর্থনীতিকে বিপথগামী করার দায় কেন্দ্রীয় সরকারের উপর বর্তায়। ভোটে তার ফল বিজেপিকে ভুগতে হয়েছে। ব‍্যঙ্কের টাকা আত্মস্বাৎ করে পালিয়ে যাওয়া নেতাদের সম্পর্কে বিজেপির নেতাদের মৌণীবাবা সাজাটা জনমানসে অভিযোগের সত‍্যতাকে ঘণীভূত করেছে।
কোটা সিস্টেমে বিজেপির এম পিদের কোটায় যেসব প্রার্থী দাঁড়িয়েছে তাদের অধিকাংশই পরাজিত। এতে মন্ডল বা শুধু জেলা সভাপতিদের দোষারোপ করা মনে হয়, ভাবের ঘরে চুরি করা। কারন এই এম পিদের জনসংযোগের হাল কি তা বোঝাই গেল। এই জায়গায় তৃণমূল সুপ্রিমোর দল অনেক বেশী দায়বদ্ধতা দেখিয়েছে। কোথাও প্রার্থী দাঁড় করানোর জন‍্য শুধু যে আইপ‍্যাকের পেশাদারী পরামর্শ নিয়েছে তাই নয়, স্থানীয় নেতৃত্বের উপর দায়িত্ব দিয়েছে প্রার্থীকে জিতিয়ে আনবার। ফলে দলীয় অসন্তোষ, অন্তর্ঘাতের সম্বাবনা অনেক কমে গিয়েছিল। পক্ষান্তরে, বিজেপি বুথ স্তরের সংগঠনও অধিকাংশ জায়গায় তৈরী হয়নি। কারন সাধারণ কর্মীদের কনফিডেন্সে নেওয়া হয়নি। উপর থেকে আদেশ এসেছে মাত্র। কোলকাতার উপকন্ঠে একটি কেন্দ্রে কর্মরত এক কর্মী মন্তব‍্য করেন, খেতে দেওয়ার নাম নেই, কিল মারার গোঁসাই। ওই কেন্দ্রের সাধারণ মানুষ জানতেন যে বিজেপি প্রার্থী হারছেন; যদিও প্রর্থী নিজে বলেছিলেন, তিনি নাকি ওয়াকওভার পাচ্ছেন! এই এদের জনসমর্থনের ভিত্তি!
এরপর যেকথায় আসতে যাচ্ছি তার গুরুত্ব শুধু বাঙ্গলা বা ভারতের পক্ষেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এর প্রভাব পরতে বাধ‍্য। এই মূহুর্তে আমাদের দেশে মুসলমান ও হিন্দু শিশুর জন্মের গড় হল, কুড়ি লক্ষ মুসলমান শিশুর সঙ্গে দশ লক্ষ হিন্দু শিশু প্রতি বছর (প্রতিটি মুসলমান নাগরিকের গড়ে দুজন স্ত্রী ধরে নিয়ে TFR থেকে গণনা করা হয়েছে) জন্মগ্রহণ করছে। ভারতবর্ষের মুসলমান জনসংখ্যা দশ বারোটি রাজ‍্যে ঘণীভূত হয়ে আছে। পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি রাজ‍্য। এখানে আবার প্রতিবেশী মুসলিম রাষ্ট্র থেকে শুধু জেহাদী অনুন্রবেশই নয়, অধিক সংখ‍্যায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরাও ছড়িয়ে পরেছে। বেআইনিভাবে তারা কিছু সময় বাদে অন‍্য অনুপ্রবেশকারীদের মত ভোটার কার্ড করিয়ে নিয়ে ভারতের নাগরিকদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করবেই। এদের জঙ্গী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের জন‍্য কোন রাষ্ট্র, এমনকি কোন মুসলিম রাষ্ট্র পর্য‍‍্যন্ত আশ্রয় দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় এই রাজ‍্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল দল তথাকথিত মানবিক কারনে নরম ব‍্যবহার করায় বৃহত্তর মুসলিম সমাজের থেকে ভোটবাক্সে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া সাংঘাতিক। কি ভাবে? প্রথমতঃ, এই মুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ‍্যার এক তৃতীয়াংশ মুসলমান আর বাকী প্রায় সবাই হিন্দু। মুসলমান শিশুদের বৃদ্ধির হার যদি হিন্দু শিশুদের বৃদ্ধির হারের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে এই রাজ‍্যে আর কয়েক বছের মধ‍্যেই হিন্দু জনসংখ‍্যার তুলনায় মুসলমান জনসংখ্যা বেশী হয়ে যাবে। আর তখনই আসল সংঘাত শুরু হবে। কারন পৃথিবীতে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে মুসলিম সংখ‍্যাগুরু রাষ্ট্র, কিন্তু সেখানে অন‍্য ধর্মাচরনের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। এতে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের অসুবিধার জায়গাটা হল – তখন এই রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব রাখার তাগিদে উচ্চতম থেকে নিম্নতম সব পদই মুসলিম প্রার্থীদের দ্বারা পূর্ণ করা হবে। ভারতের একটি অঙ্গরাজ‍্যে এ ধরনের অবস্থায় আরেকটি কাশ্মীরের জন্ম হবে। যেভাবে কাশ্মীরে ন‍্যাশনাল কন্ফারেন্সের শাসনের অবসান হয়েছে, সেভাবে এখানে তৃণমূল শাসনেরও অবসান হবে। মমতা ব‍্যানার্জী কিন্তু ভারতের সংবিধান মেনে চলা নির্বাচিত নেত্রী। তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক জীবন তখন বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়তে বাধ‍্য। এই মূহুর্তে মনে হয় এই ইসলামীকরনের চোরা কারেন্টের বিরুদ্ধে শ্রীমতি ব‍্যানার্জীকে তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ও প্রজ্ঞার সাহায্যে মোকাবিলা করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক ভোটে এই ইসলামিক মেরুকরণের জন‍্য সবচেয়ে বেশী দায়ী বিজেপির প্রচার। তাঁদের CAA ও NRC নিয়ে আত্মম্ভরী অপপ্রচার রাজ‍্যের মুসলমান ধর্মাবলম্বী মানুষের মনে অমুলক ভয় ধরিয়ে দিল, এতে ভারতীয় বংশদ্ভুত মুসলমান এমনকি ছিন্নমূল হিন্দুদেরও ঘাড় ধরে কন্সেনট্রেশান ক‍্যাম্প হয়ে অন‍্য দেশে ‘পুশ ব‍্যাক’ করা হবে। এতে ইন্ধন দিল সোশ‍্যাল মিডিয়ায় লাফালাফি করা কিছু স্বঘোষিত বিজেপি সমর্থক এবং সুচারুরূপে কম‍ু‍্যনিষ্ট অপপ্রচার।
যদি ইসলামিক মেরুকরণের ফলে পশ্চিমবঙ্গে শরীয়তি শাসন প্রতিষ্ঠা হয়, তাহলে শুধু হিন্দুরাই নয়, শিক্ষিত, মার্জিত, ভারতীয় মুসলমানদের কাছেও তা সমূহ বিপদের কারন; বিশেষভাবে বাংলাভাষী মুসলমানদের কাছে। উদাহরণ – সিরিয়া, লেবানন, আফগানিস্তান। জঙ্গী জেহাদের আগুন অন‍্যের সঙ্গে নিজের ঘরও পোড়ায়। অতয়েব, সাধু সাবধান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *