পিসী-ভাইপো সাম্রাজ‍্যের পতন শুধু সময়ের অপেক্ষা

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিশ্চিতভাবে নতুন অধ‍্যায়ের সূচনা করেছে। এই রাজ‍্যে বিধান চন্দ্র রায়ের পরবর্তী সময় রাজনীতি শাসক দল ও একটি বিরোধী দলের মধ‍্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখানে কখনো জোট রাজনীতি সফল হয়নি। যুক্তফ্রন্ট সরকারের হামাগুড়ির পর্যায়েই মৃত‍্যু হয়েছিল। অবশ‍্য তারপর বামফ্রন্ট সরকার চালালেও সেখানে প্রকৃত অর্থে শাসক দল ছিল সিপিএম। তাদের সঙ্গে কিছু সহযোগী দলের বিক্রিত নেতা লালবাতি গাড়ি ও মন্ত্রীত্বের লোভে বামপন্থী সত্ত্বা বিসর্জন দিয়ে তাদের যেটুকু অল্পস্বল্প ভোট ব‍্যাঙ্ক ছিল, তার অন্তর্জলী যাত্রার বন্দোবস্ত করে। এর ফলে, ক্ষমতা ধরে রাখার কারনে এবং প্রতিবাদী বিরোধী শক্তির কন্ঠরোধ করার জন‍্য বিভিন্নভাবে দলদাস পুলিশবাহিনী তৈরীর সাথে সাথে ক‍্যাডার বা দলীয় গুন্ডাদের ব‍্যবহার করা শুরু হল। এ দুটি শ্রেণীর প্রথমটি লাইসেন্সড ও দ্বিতীয়টি আনলাইসেন্সড গুন্ডা বাহিনী যারা শাসকের অঙ্গুলি হেলনে ঝাঁপিয়ে পড়ত। এরা শাসকের হয়ে সাধারণ মানুষের অধিকার খর্ব করার পাশাপাশি অন‍্য সময় নিজেদের আখের গুছানোর জন‍্য তোলাবাজি ও অন‍্যান‍্য অপরাধমূলক কাজে ব‍্যস্ত থাকত। ফলতঃ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশ্নের মুখে পড়ায় যত শাসকের জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়তে লাগল, ততই শাসক নির্বাচনে বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন পর্যায়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিতে শুরু করল। এ কাজে তাদের প্রধান সাহায‍্যকারী ছিল এই দু ধরনের গুন্ডা বাহিনী। একটা সময় এলো, যখন নির্বাচনে জালিয়াতি ও ভীতি প্রদর্শন সত্ত্বেও সিপিএম পরাস্ত হল। ২০১১র বিধানসভা নির্বাচনে জিতে পশ্চিমবঙ্গের মূখ‍্যমন্ত্রী হলেন মমতা ব‍্যানার্জী। তাঁর তৃণমূল দলটি প্রথম থেকেই কোন ইজম-ভিত্তিক দল নয়। এদের জাতীয়তাবাদের ভিত্তিও পরীক্ষিত নয়। এই দলের সুপ্রিমো মমতা ব‍্যানার্জীর কথাই দলে প্রথম ও শেষ কথা – তিনিই দলের কোরান, বাইবেল, ত্রিপিটক মায় গীতা – তাঁর কথা অলঙ্ঘনীয়! এ ধরনের দলের সহজেই স্বৈরতন্ত্রী হয়ে ওঠার প্রবণতা থাকে।
মমতাদেবীর মস্তিষ্কপ্রসূত বিভিন্ন “উন্নয়ণ” প্রকল্প রূপায়নের নামে যেমন অনুদান রাজনীতির অর্থনৈতিক প্রভাব রাজ‍্যের কোষাগারে পড়ল, তেমনি রাজ‍্যের শিল্প-বাণিজ‍্যের শোচনীয় অবস্থায় অর্থভান্ডারের অবস্থা অবর্ণনীয়ভাবে খারাম হয়ে পড়ল।মমতাদেবীর দল ও প্রশাসন সমার্থক হয়ে গিয়ে তিনি শুধু স্তাবকবেষ্টিত প্রশাসন চালাতে লাগলেন। বিশেষতঃ ভিনদেশীয় IAS ও IPSরা তাঁর আত্মম্ভরী অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে রাজ‍্যের ভরাডুবির বন্দোবস্ত করতে উদ‍্যত হল। এদের চাকরী জীবনে ‘নিজের আখের গুছোনো’ ছাড়া আর কোন উদ্দেশ‍্য নেই। এ ধরনের প্রশাসনে দুর্ণীতির ফোয়ারা ছোটে – এখানেও তার ব‍্যতিক্রম হল না। এর সাথে সিপিএমের মেধাবী ছাত্রী মমতা ব‍্যানার্জী তাঁর প্রশাসনকে এমনভাবে কাজ করার কথা বললেন যে তাঁর একাধিক মন্ত্রী, দলের জেলা সভাপতিসহ অনেক নেতাই দুর্ণীতির অভিযোগে জেলবন্দী। তৃণমূল দলের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রী ত বটেই, তাঁর নিজের পরিবারের ধন-সম্পত্তি গত দশ বারো বছরে যে পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা জেনে সাধারণের চোখ কপালে উঠেছে! শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিভাগে টাকার বিনিময়ে চাকরী দেওয়া এবং চাকরি চুরির দায়ে প্রাক্তণ শিক্ষামন্ত্রীসহ বিভিন্ন রকমে বিশেষভাবে নির্বাচিত আমলারা গারদে ঢুকে গেছে! বিরোধীরা সম্পূর্ণ দুর্ণীতিগ্রস্ত সরকারের আশু পতন দাবী করছে।
এমতাবস্থায় মমতাদেবী কংগ্রেসী ঐতিহ‍্যে নিজের পরিবারের মধ‍্যে তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আরো বেকায়দায় পড়েছেন।তাঁর পরিবারের মানুষজনকে কর্পোরেশনের কাউন্সিলার করা থেকে বিভিন্নভাবে উপার্জনের সুযোগ করে দিলেও তিনি তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে ভাইপো অভিষেক বন্দোপাধ‍্যায়কে বহু আগে থেকেই মনোনীত করেছেন। গুণধর ভাইপোও নিজেকে পিসীর যোগ‍্য উত্তরাধিকারী হিসেবে তৈরী করেছেন। পিসী যেমন ফেক বিশ্ববিদ্যালয় – ইস্ট জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন বলে দাবী করেছিলেন, ভাইপো তেমনি এমন প্রতিষ্ঠান থেকে এমবিএ করেছেন বলে দাবী করেছেন যার কোন স্বীকৃতি নেই! তিনি যতদিন উত্তরাধিকার সূত্রে তৃণমূল দলের দু নম্বর চেয়ার দখল করে নিজেকে শুধু দলের এমপি হিসেবে রেখেছিলেন, ততদিন কোন গুরুতর সমস‍্যা হয়নি। কিন্তু যখন তিনি পিসীর থেকে প্রশাসনিক উত্তরাধিকার নেওয়ার জন‍্য এগোতে শুরু করলেন, তখন গুরুতর সমস‍্যা তৈরী হল।
যেহেতু তৃণমূল দলের একমাত্র মন্ত্র “নেত্রী ধর্ম, নেত্রী স্বর্গ, নেত্রী হি পরমন্ততপঃ”, দলের বিভিন্ন পোস্টার ও কাটআউটে পিসী-ভাইপো যুগলের ছবির মাধ‍্যমে দল তথা প্রশাসনে উত্তরাধিকারের ছকটা বুঝিয়ে দেওয়া হল। এ ধরনের একনায়কতন্ত্রী দলের সুবিধা হল, দলীয় কর্মীরা শ্রমিক পিঁপড়ের মত – নেত্রীকে কোন প্রশ্ন করে না, শুধু জয়ধ্বনির শ্লোগান দেয় আর হুকুম তামিল করে। তবে হুকুম দেওয়া ত ফেক ডিগ্রির অনভিজ্ঞ যুবকের দ্বারা সম্ভব নয় – সম্ভব শুধু হাকিমের দ্বারা! ফলে উত্তরাধিকারপ্রাপ্ত নেতার দলবলের (পড়ুন বিশ্বস্ত চামচা) সঙ্গে পিসীর দলবলের সংঘর্ষ শুরু হল। পিসী-ভাইপো তা বন্ধ করতে ব‍্যর্থ। কারন, ভাইপো তার উত্তরাধিকারের দাম্ভিকতায় ও অনভিজ্ঞতার কারনে সাফল‍্যের সঙ্গে পশ্চাদাপসারণ (successful retreat) অপমানজনক মনে করে প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও সর্বাত্মক আক্রমণের রাস্তা বেছে নিলেন!
গত ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২২এ বিজেপির নবান্ন অভিযানে যেভাবে রাজ‍্যের পুলিশকে ব‍্যবহার করা হয়েছে তার ফলে – বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ‍্য সফল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ‍্যে সাধারণ মানুষের বিরক্তি গিয়ে পড়েছে প্রশাসন ও পুলিশের উপর। আমি মনে করি, মনের অন্দরেঙ কোন গোপন ভীতির কারনে প্রশাসন ও পুলিশ এভাবে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এতে পরিষ্কার যে তৃণমূল দল (এখন শাসক দলের সঙ্গে প্রশাসন-পুলিশ সব মিলেমিশে একাকার!) অত‍্যন্ত ভীত হয়ে এধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এখানে মনে রাখা দরকার যে, সিপিএম যদিও রিগিং নির্ভর নির্বাচন করত, তৃণমূল এখন নির্বাচনে জয়লাভের জন‍্য সম্পূর্ণ রিগিং এবং নেতাদের দৈনিক সুরক্ষার জন‍্য এই পুলিশ ও দলীয় পেশীশক্তির উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। সুতরাং এদের জনমুখী করার কোন কৌশল এই দলের কাছ থেকে আসা সম্ভব নয়। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের দেহ-ভঙ্গিমা ও বক্তব‍্য ভালো করে অনুধাবনে বোঝা যায়, এই মূহুর্তে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বলতে পিসী-ভাইপো যুগলবন্দী। বাদবাকী কেউ স্থির নয়। দলের সব স্তরে অবিশ্বাসের বাতাবরন। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, অন‍্য কাউকে এই পারিবারিক নেতৃত্ব বিশ্বাস করছে না। আবার পিসীকে ল‍্যাং মেরে প্রথম সুযোগেই পিসীর চেয়ার দখল করতে মরিয়া ভাইপো! কেমন যেন ইতিহাসের পাতা থেকে later Mughalsদের পুনরাবৃত্তি!
এমনটি হওয়ার কারন নিঃসন্দেহে ইডি-সিবিআইয়ের সাম্প্রতিক তৎপরতা। আগে যেভাবে রাজনৈতিক ব্ল‍্যাকমেলিংয়ের সুযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাদ্বয়ের তৎপরতাকে বন্ধ করা গিয়েছিল, সেই এক কায়দায় এবার চরমভাবে নিরাশ হতে হচ্ছে – কারন এবারের অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চলছে পুরোপুরি উচ্চ আদালতের নির্দেশে এবং তারই তত্বাবধানে। যদিও রাজনীতি করার জন‍্য সেটিং-সেটিং রব তোলা হচ্ছে, সে সন্দেহ অমূলক। এখানে রাজনীতির প‍্যাঁচ পয়জারের কোন সুযোগ নেই। সে কারনেই অত‍্যন্ত চাপের মধ‍্যে পড়ে তৃণমূলের “পাপ্পু” যুবরাজ, যিনি “ভাইপোদা” on standing, তাঁর স্বভাবসিদ্ধ দাম্ভিকতায় রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন।
“ভাইপোদা” তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরুই করেছেন পিসীর ভাইপো হিসেবে সর্বোচ্চ স্তর থেকে! ফলে, রাজনীতির ঘাত-প্রতিঘাতের মধ‍্যে দিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ তাঁর ছিল না। চামচা পরিবেষ্টিত থাকায় তৃণমূলের মত গণতন্ত্রের মোড়কে একনায়কতন্ত্রী দলে তাঁর মধ‍্যে মিথ‍্যা অসারতা (false vanity) এবং অতিরিক্ত দম্ভ পূর্ণমাত্রায় প্রকাশ পায়। এসব তাঁর প্রশাসন চালানোয় সহযোগিতা ত নয়ই, বরং অন্তরায় হচ্ছে। আমার জিজ্ঞাস‍্য – “ভাইপোদা” পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কে? কোন অধিকারে তিনি সরকারী প্রশাসন ও পুলিশের কি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ তা জনসমক্ষে বলেন? আসলে রাজ‍্যের গণতান্ত্রিক কাঠামোয় স্বৈরতন্ত্রী পারিবারিক শাসনের এ এক নমুনা!
এই “ভাইপোদা”র সঙ্গে একটি রাজনৈতিক চরিত্রের কথাবার্তা ও কর্মকান্ডের অনেক মিল পাওয়া যায়। তিনি হলেন অক্টোবর ১৯৭৬ থেকে জানুয়ারী ১৯৭৯ (দু বছর তিন মাস) কাম্বোডিয়ার স্বৈরাচারী কম‍্যুনিষ্ট প্রধানমন্ত্রী পল পট। তিনি তাঁর শাসনকালে কাম্বোডিয়ায় একদলীয় শাসন ও তাঁর ডিক্টেটরশিপ বজায় রাখার জন‍্য সব বিরোধীসহ দেশের ২৫ শতাংশ (১৫ থেকে ২০লক্ষ) মানুষকে হত‍্যা করেন। কাম্বোডিয়ার ইতিহাসে তিনিই সর্বাপেক্ষা ঘৃণিত শাসক হিসেবে চিহ্নিত। “ভাইপোদা” যেভাবে বিরোধী বিজেপির আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ‍্যে বললেন যে, ক্ষমতায় থাকলে তিনি পুলিশকে কপালের মাঝখানে গুলি করতে বলতেন – তা পল পটের কর্মকান্ডের অনুসরণ! গণতান্ত্রিক শাসন-ব‍্যবস্থায় কোন রাজনৈতিক নেতা এভাবে হুমকি দিলে তাঁর মানসিকতার পরিচয় পেয়ে শিউরে উঠতে হয়। যতই অনুসন্ধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থাদুটির চাপ এই পরিবারের উপর বাড়ছে, ততই বেশী করে আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে তিনি নিজের উদ্ধত, স্বৈরাচারী মানসিকতার প্রমাণ রাখছেন। “ঠাকুর ঘরে কে” জাতীয় প্রশ্নের উত্তরে তাঁর ব‍্যবহার “আমি কলা খাইনি” গোছের!
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে মহিলা পুলিশ দিয়ে ঘিরতে যাওয়া যে একটা ফাঁদ ছিল; তা পরবর্তী পর্যয়ে দলের এমএলএ ও নেতাদের আচরণে এবং বালখিল‍্য প্রতিবাদে(!) প্রমাণ হয়েছে। তাদের টিটকারী অক্ষমের নিষ্ফল প্রয়াসের মত লাগল। মনে হয় তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার হতাশা থেকে উদ্ভুত এমন আচরণ। যে কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে রুখে দেওয়ার কাজে মহিলা পুলিশকে ব‍্যবহার করা হয় মহিলা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আর পুরুষ বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুরুষ পুলিশ দেওয়া হয়। এটাই সারা পৃথিবীর নিয়ম – এতদিন এ রাজ‍্যেও তাই হয়েছে। জানি না পিসী-ভাইপোর অনুপ্রেরণায় কিনা, মনে হয় “ভাইপোদা”র অনুপ্রেরণায় রাজ‍্যের পুলিশ গত ১৩ই সেপ্টেম্বর ঠিক উল্টোটাই করেছে! মীনাদেবী পুরোহিতের মত একজন বরিষ্ট নাগরিক, ছ বারের কাউন্সিলার, প্রাক্তণ ডেপুটি মেয়রকে পুরুষ পুলিশ যেভাবে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে তা এদের আরো কালিমালিপ্ত করেছে।আবার শুভেন্দুবাবুর অভিজ্ঞতা ও প্রত‍্যুৎপন্নমতিত্বের কাছে “ভাইপোদা”র পুলিশের ছক বানচাল হয়ে গেছে। হয়ত সেকারনে “ভাইপোদা”র রাগ ও হতাশার বহিঃপ্রকাশ এমন পল পটিয় ভাষায় বেরিয়ে এসেছে!
আগের লেখায় পিসীর অপ্রকৃতিস্থ আচরণের কারন দেখিয়েছি। এখানে ভাইপোর এমন আক্রমণাত্মক হওয়ার কারন ব‍্যখ‍্যার চেষ্টা করা হল। যত সময় যাবে, একে একে নিভিছে দেউটির মত যত দলীয় নেতা জেলের ভাত খেতে ঢুকবে, তত পিসী-ভাইপো জুটি রাগ,ভয় ও হতাশায় বেশী করে অরাজনৈতিক উপায়ে আক্রমণ শানাবে। এভাবে তারা অতি দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাতে থাকবে। যেহেতু প্রশাসন ও শাসক রাজনৈতিক দল এরাজ‍্যে সমার্থক ও একে অন‍্যের পরিপুরক, সেহেতু প্রশাসনও অপ্রকৃতিস্ত আচরণ করবে – ফলে, রাজ‍্যের আইন-শৃঙ্খলা ও শাসন-ব‍্যবস্থার দ্রুত অবণতি ঘটবে। সেই শেষ অবস্থায় রাজ‍্যে গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব সংবিধানের রক্ষকদের উপর। অপেক্ষা যত দীর্ঘায়িত হবে, জনসাধারণের দুর্দশা তত বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *