ভোলা ময়রার বহুল প্রচলিত কবিগানের উক্তি : “জন্ম যেমন যার, কর্ম তেমন তার; এ ব্যাটা ভেড়ের ভেড়ে, নিমক ছেড়ে কবির ব্যবসা ধরেছে” – এই কথাগুলি যেন মনে হয় বর্তমান সময়ে রাজ্যের রাজনীতিকদের নিয়ে বলা হয়েছে!
বাঙ্গালীরা বরাবর আবেগপ্রবণ জাত। এই আবেগের বশেই একসময় শিক্ষিত বাঙ্গালীকুলের বড় অংশ দেশমাতৃকার শৃঙ্খলমোচনে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেদের বলিদান দিয়েছিল। সেই সময় যারা রাজনীতির আঙ্গিনায় এগিয়ে এসেছিল, সেই বাঙ্গালীদের অধিকাংশই স্বচ্ছল পরিবারের যুবক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের জন্য, সমাজের জন্য ভালো কিছু করা – রাজনীতি তাদের কারোর জীবিকা ছিল না। সে কারনে রাজনীতির মাধ্যমে রোজগার করার ধারনাটাই তখন ছিল না।
দেশের স্বাধীনতার সময় থেকেই একদল রাজনীতিকের আবির্ভাব হয়, যারা ” ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো” বলে এই সমাজসেবা করাকে তাচ্ছিল্য করে এবং নির্বাচনে জেতাকে রাজনীতির মঞ্চে পরম সাফল্য বলে মনে করে। এভাবে অহঙ্কারী ও লোভী মানুষের মধ্যে রাজনীতির মঞ্চে ভীড় করার প্রবণতা বাড়তে থাকে। একথা না বললে সত্যের অপলাপ হয় – ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় যে মানুষদের হাতে ক্ষমতার ‘মধুভান্ড’ আসে, তারা সততা ও দেশপ্রেম থেকে বহু যোজন দূরে থাকা মানুষজন! সম্ভ্রান্তের তকমা পাওয়া কিছু উচ্চবিত্ত মানুষ ক্ষমতার লোভে রাজনীতিতে এসে যে মধুভান্ডের স্বাদ পান, তারজন্য তাদের অনেকেই নিজের অপদার্থ, অযোগ্য, অসৎ বংশধরদের রাজনীতিতে নিয়ে আসেন। এরাই ভারতে বংশপরম্পরায় রাজনীতির ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম উদাহরণ অবশ্যই নেহরুর পরিবার। প্রশাসনিক দুর্ণীতির অংশ হয়ে এই রাজনীতিকরা এমন ধনবান হয়ে পড়ে যে তারা অন্য ব্যবসায় কিছুতেই এত অর্থের মালিক হতে পারতেন না।
ভারতীয় রাজনীতির এই অসততার শিকড় আমাদের রাজ্যেও সুগভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। এমনকি, এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠিত মানুষজন – জজ, আইএএস, শিক্ষাবিদ – অনেকেই অবসরগ্রহণের পরেপরেই কোন প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের ঝান্ডা নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করতে নেমে পড়েন। জীবনের শেষপাদে এসে তাঁদের দেশসেবার ইচ্ছা চাগিয়ে ওঠে! এদের কার্যকলাপে সন্দেহ জাগে তাদের কর্মজীবনের কাজে নিরপেক্ষতা উপর।
আমাদের সাধারন মানুষকে বুঝতে হবে, আর্থিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অপগন্ড থেকে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠিত খেলোয়ার, গায়ক, অভিনেতা – সকলের এত দেশসেবার হিড়িক জাগল কেন! আসলে, স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে বিনা বিনিয়োগে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার নাম – রাজনীতি! এ আর “দেশসেবা” নয় – profession। সেজন্য অনেক রাজনীতিক তাঁদের ফর্ম পুরনের সময় professionএর জায়গায় লেখেন – রাজনীতি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় কয়েকটি পরিবার রাজনীতির ‘মধুভান্ড’ কুক্ষিগত করে রাখেন। ভারতের মসনদে যেমন নেহরু-গান্ধী পরিবার, কাশ্মীরে আবদুল্লা পরিবার ইত্যাদির ধনবৃদ্ধিতে প্রলুব্ধ হয়ে, বহু মানুষ রাজনীতিকে profession হিসেবে গ্রহণ করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে! রাজনীতি করতে যেহেতু কোন যোগতা লাগে না, সে কারনে বহু লোভী ও অসৎ মানুষ রাজনীতির আঙ্গিনায় ভিড় করে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বলতে হয়, স্বাধীনতার অব্যবহিত আগে সুরাবর্দী তাঁর অসৎ উদ্দেশ্যে রাজ্যের পুলিশকে ব্যবহার করে এবং সেইসঙ্গে রাজনীতির আঙ্গিনায় দলীয় গুন্ডাগর্দীর প্রচলন করেন। আবার সময়ের সঙ্গেসঙ্গে বঙ্গ রাজনীতিতে দলীয় মাসলম্যানদের গুরুত্বের পরিবর্তন হয়। প্রথমদিকে, বিশেষতঃ কংগ্রেসের প্রথম ১৫-১৬ বছরের শাসনকালে এই গুন্ডাবাহিসীর কিছুটা ভূমিকা দেখা গেলেও তারা কখনোই রাজনৈতিক কর্মকান্ডে গুরুত্ব পেত না।একটা ব্যাপার লক্ষ্য রাখা হত, এরা যেন সমাজে সাধারন মানুষের অসুবিধে না করে।
তারপর রাজ্য-রাজনীতির আঙ্গিনায় উত্থান হল বামপন্থীদের। তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য যতটা আগ্রাসী দৃষ্টিভঙ্গি দেখা গেল, তার চেয়ে তারা অনেক বেশী আগ্রাসী ভঙ্গিতে প্রধান বিরোধী দলকে ছলে-বলে-কৌশলে হেয় করার প্রয়োগ-কৌশল দেখালো – এখানে কোন নিয়ম, নীতির তোয়াক্কা করল না! নির্বাচনের সময় বামপন্থার বকলমে সিপিএমের দেওয়াল লিখনে ও চিত্রাঙ্কনে শুধু ইন্দিরা-কংগ্রেসকে গালি দেওয়া নয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে এক রক্ত-পিপাসু ডাইনীর রূপে চিত্রিত করে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে দেওয়াল লিখন করা হল!
এভাবে নির্বাচনে বিরোধীতার আগ্রাসী চরিত্র সামাজিক ক্ষেত্রেও গতি পেল যখন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বানতলার নৃশংস ধর্ষণও হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন, “এমন ত কতই হয়”! এভাবে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার পর, গুন্ডাগর্দীর মাধ্যমে দলে উঠে আসা মানুষদের নেতৃত্বে বসানো শুরু হল। যার বিরুদ্ধে স্বহস্তে গুলি করে এক থানার ওসিকে নিধনের অভিযোগ, তাকে শুধু এমএলএ নয়, মন্ত্রী করা হল! এইভাবে এই রাজ্যে গুন্ডাগিরি রাজনৈতিক নেতৃত্বে যাওয়ার সোপান হিসেবে দেখা শুরু হল! ইতিমধ্যে অতিবামদের খুন খারাবির রাজনীতি শুরু হল। তাদের শ্লোগান – “চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান” আর “ধনীর গায়ের চামড়া দিয়ে গরীবের পায়ের জুতো তৈরী হবে” – এমন অবাস্তব, অসাড় শ্লোগানসহ তারা এক প্রৌঢ় বা বৃদ্ধকে আট-দশজন যুবকদ্বারা নৃশংসভাবে হত্যা করার মধ্যে বিপ্লব সাফল্যমন্ডিত হল – বলে প্রচার করল! এমন চরম সামাজিক ও আইন-শৃঙ্খলার চরম অবক্ষয়ের পর্যায়ে কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতলেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়। তিনি পুলিশ দিয়ে তথাকথিত বিপথগামী যুবকদের ‘খুন’ করালেন। সুরাবর্দীর পর, ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এভাবে পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে রাজনৈতিক কারনে হত্যার ছাড়পত্র দেওয়ার প্রথম কারিগর এই সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়। এর সুদূরপ্রসারী ফল হল, যখন পশ্চিমবঙ্গে জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে বামফ্রন্টের বকলমে সিপিএমের শাসন প্রতিষ্ঠা হল, তখন প্রথম থেকেই পুলিশকে রাজ্যের শাসকদলের স্বার্থে ব্যবহার করা হতে লাগল। আবার সিদ্ধার্থ জমানায় যে হাতকাটা জিতু বা কানকাটা ছেনোর দল রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হত, রাজ্যের পুলিশবাহিনী তাদের সঙ্গে আপোষ করার রাস্তা নিল।
সিপিএম জমানায় সাধারন নির্বাচন থেকে লোকাল বডি, এমনকি স্কুল, কলেজের গভর্নিং বডি নির্বাচনে পর্যন্ত গুন্ডা-বাহিনী শাসকদলের সমর্থনে রাস্তায় নামত। এদের রক্ষা করত রাজ্যের পুলিশ বাহিনী। তৈরী হল শাসক-গুন্ডা-পুলিশ জোট। সাধারন মানুষ এই জোটের বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস করত না – শুধু ভয় দেখিয়েই কাজ হাসিল করা হত। বিরোধী বা সংঘবদ্ধ জোট হলে তার বিরুদ্ধে একযোগে এই গুন্ডা ও পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দেওয়া হত। যত সময় গড়ালো, তত নির্বাচনে গুন্ডাগর্দী দেখানো কর্মীরা পার্টির নেতৃত্বে যেতে লাগল। এদের চারিত্রিক ও বাণিজ্যিক গুণগুলি (!) রাজনৈতিক নেতৃত্ব গ্রহণ করল – এভাবে রাজনীতি একটি সর্বাপেক্ষা লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হল। যার মধ্যে গুন্ডাগর্দী, অসততা, মিথ্যাচারসহ সকল চারিত্রিক অনাচার দেখা গেল – তিনি ততই সার্থক নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেলেন।শুধু শাসক দল নয়, রাজনীতির এই অবক্ষয় দলমত নির্বিশেষে সব দলের রাজনীতির মধ্যেই দেখা গেল। পশ্চিমবঙ্গের যে কোন নির্বাচনে রক্ত ঝরা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াল।
শিল্পায়ণের চেষ্টা, অর্থনীতির উন্নতির চেষ্টা এফং দলীয় নেতাদের তোলাবাজির প্রশ্রয় না দেওয়ার সঙ্গেসঙ্গে কুকথার ফুলঝুড়ি ছড়ানো দলীয় নেতাদের প্রশ্রয় না দিয়ে মূখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দলের এক বড় অংশের কাছে অপ্রিয় হলেন। তাছাড়া, তুচ্ছ কারনে কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার কারনে কংগ্রেস তার নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতার এমন মিশেল ঘটালো যে তারা রাজ্যে সহযোগী দল তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় নিয়ে এলো! তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী ২০১১ সালে রাজ্যের নতুন মূখ্যমন্ত্রী হলেন। এই মমতা ব্যানার্জী তাঁর দল তৈরী করেন কংগ্রেস ভেঙ্গে। তিনি সর্বসমক্ষে একাধিকবার সিদ্ধার্থ শঙ্গর রায়কে তাঁর গুরু মেনেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে দূর্বৃত্তায়নের জনক জ্যোতি বসুর পদস্পর্শ করে আশীর্বাদ নিয়েছেন। সিপিএমের এই মেধাবী ছাত্রীর দলে তিনিই প্রথম ও শেষ কথা! দলে একটাই পোষ্ট, বাদবাকী সব ল্যাম্পপোষ্ট! প্রশাসন চলে তাঁর অনুপ্রেরনায়!
গত এগারো বছরে মমতা ব্যানার্জীর শাসনকালে এই গুন্ডাগর্দী ও তোলাবাজীর রাজনীতিকরন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমোকে বারবার তাঁর দলের নেতাদের তোলাবাজি ও গুন্ডামীর জন্য সতর্ক করতে হয়েছে! এভাবে এখন পশ্চিমবঙ্গে দলীয় রাজনীতিতে হিংসা ও তোলাবাজির গণতন্ত্রীকরন সুগভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। রাজনীতি যেহেতু আর সমাজসেবা নয় – শুধুই ক্ষমতা ভোগ ও টাকা কামানোর জায়গা – সেহেতু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আঘাত করার স্বার্থজনিত কারনে এবং অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও সুস্থ সংস্কৃতির অভাবে নেতা-নেত্রীরা কুকথার ফুলঝুড়ি ছোটান – তাঁরা মনে করেন, এভাবেই তাঁরা দলীয় নেতৃত্বের কাছে অধিক গুরুত্ব পাবেন! আসলে এইসব নেতা-নেত্রীদের সভ্যতা-সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই ব্যবহার তাদের কটুক্তির মাধ্যমে বেরিয়ে আসছে। এই রাজ্যের নেতা-নেত্রীরা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রীকে কোমরে দড়ি পরিয়ে ধরে আনবেন!তারা অসম্মান করে কটু কথা বলতে পারেন রাজ্যপাল ও দেশের প্রেসিডেন্টকে! আবার বিরোধী দলের দায়িত্বশীল নেতা রাজ্যের মহিলা মূখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করতে পিছপা হন না! তাদের রাজনীতি ব্যবসার স্বার্থে ঘা লাগায় তারা এসব কটুক্তি করেন। এর সবচেয়ে বড় কারন, রাজনৈতিক নেতা হওয়ার জন্য কোন শিক্ষা,দীক্ষা ও সুস্থ সংস্কৃতির দরকার হয় না!
এ বিষয়ে রাজ্যের সংবাদ-মাধ্যমের দায়িত্ব অপরিসীম।তারা এইসব অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত নেতা-নেত্রীর বক্তব্য গুরুত্ব সহকারে পরিবেশন করে। ফলে, নিম্ন-সংস্কৃতির রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আরো বেশী করে প্রতিপক্ষকে কটুক্তি করার জন্য প্ররোচিত হন! সেজন্য এখন রাজ্যের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজন রাজনীতিকেই ঘৃণা করতে শুরু করেছেন! এটি রাজ্যের এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় অশনি সংকেত। এখন রাজনীতিক এমনকি পায়াভারি মন্ত্রীরাও দুর্ণীতির দায়ে জেল খাটছেন। এমনকি, ব্যভিচারের মত কাজ পর্যন্ত রাজনীতিকদের অপরাধের পর্যায়ে পড়ে না! এর ফলে, অন্যান্য রাজ্যের মানুষের কাছে ত বটেই, অন্যান্য দেশের মানুষের কাছেও রাজ্যের মাথা হেঁট হয়ে গেছে।
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনীতির প্যাটার্ন আমুল পরিবর্তন না করলে এই অবক্ষয় আটকানো দুরের কথা, ক্রমশঃ তা বেড়ে যাবে। রাজনীতি এবং রাজনৈতিক নেতাদের আমূল পরিবর্তন তখনই সম্ভব, যখন রাজ্যের অধিকাংশ সাধারন মানুষ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এগিয়ে আসবে। এই অশুভ রাজনীতির ধারক-বাহকরাও সেটা জানে আর সেকারনেই তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, ও লড়াই লাগিয়ে রাখে! গুন্ডাবাহিনী ও শাসকের অপকর্মের দোসর পুলিশ বাহিনী সদা তৎপর আছে – যে কোন প্রতিবাদের সুর স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য। এমন কোন বিরোধী রাজনৈতিক দল পর্যন্ত নেই যারা এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করবে। রাজ্যের সংবাদ-মাধ্যম পর্যন্ত এই অসৎ রাজনীতির থেকে ফয়দা তুলছে। সুতরাং, কণ্যাশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভিক্ষে পাওয়া জনগণকে রাজ্যের নেতারা কুত্তা (Kutta) পদবী দিলেও কারোর কোন হেলদোল নেই।
এই অনাচারের থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় গত পঞ্চাশ বছর ধরে চলা অত্যাচারের এই রাজনীতির আড়ালে মুখঢাকা সিস্টেমকে ছুঁড়ে ফেলা। জাতীয়স্তরের সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সক্রিয় সমর্থন ছাড়া যা সম্ভব নয়।
বঙ্গ রাজনীতিতে এত কটুক্তির বন্যা কেন
