ভারতীয় উপমহাদেশের গণতান্ত্রিক পরিবারতন্ত্রের ফল

ভারত আর পাকিস্তান দুটি দেশ একসঙ্গে ৭৫ বছর আগে স্বাধীনতা পেয়েছে। তারপর পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ পাকিস্তানের থেকে স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সালে। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের সংবিধান এতবার সংশোধন করা হয়েছে যে, আমাদের দেশের সামরিক সার্বভৌমত্ব ছাড়া আর সবকিছুই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আজ, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর, এর কারন খুঁজতে বসে প্রথমেই যে কথাটা মনে হচ্ছে তাহল, “আমরা যা নই তাই সেজে সবার চোখে যে দিই ধুলো”। আমাদের স্বাধীনতা লাভের আগে থেকেই আমাদের নেতারা তাদের মুখগুলিকে মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে দেশপ্রেমের অভিনয় করে গেছেন।
জাত-পাতের রাজনীতি ভারতের স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময় থেকেই দেশের রাজনীতিতে অন্তঃসলিলা ফল্গুনদীর মত প্রবহমান। গান্ধীজির অসহযোগীতায় ভীমরাও রামজী আম্বেদকারের মত একজন যথার্থ গুণী, বিদ্বান মানুষকে দেশের স্বার্থে সঠিকভাবে ব‍্যবহার করা হয়নি। গান্ধীজি মুখে অন্তজ ও অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের জন‍্য সহানুভূতি দেখালেও তাদের যথার্থ সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়নের জন‍্য কোন সার্থক প্রয়াস করেন নি। গান্ধীজি তাঁর অহঙ্কার ও প্রাদেশিকতা দোষে দুষ্ট থাকার কারনে (যা ভারতীয় রাজনীতিকদের প্রায় অধিকাংশের মধ‍্যেই দেখা যায়) তিনি শুধু সুভাষচন্দ্র নয়, শ‍্যামাপ্রসাদকেও তাঁর যোগ‍্য স্থানপ্রাপ্তিতে প্রত‍্যক্ষ‍্যে বা পরোক্ষে বাধা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের রাজ‍্যের – বিশেষতঃ বাংলার মানুষদের অগ্নিগর্ভ স্বাধীনতা আন্দোলনে আত্মবলিদান তাঁকে বিচলিত করেনি। সশস্ত্র সংগ্রামের প্রতি তাঁর অহংকার প্রসূত ঘৃণা তাঁর অসহযোগ আন্দোলনের উদ্দেশ‍্য সম্বন্ধেই প্রশ্ন তোলে। তিনি ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির থেকে অধিক গুরুত্ব দিতেন তাঁর অহিংস আন্দোলনের পথকে! পৃথিবীর অন‍্য কোন দেশে অহিংসার মাধ‍্যমে স্বাধীনতা আসেনি। আমাদের দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ উত্তর ব্রিটেনের অর্থনীতি ও ঐ সময়ের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি – সর্বোপরি উইনস্টন চার্চিলের সাধারণ নির্বাচনে পরাজয় আর তার সঙ্গে জাপানের আত্মসমর্পণ – এসবের যথেষ্ট সম্পর্ক আছে। গান্ধীজি সারা দেশের নেতা ছিলেন ; কিন্তু তাঁর কাছে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের গুরুত্ব ছিল সর্বাধিক। স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতীয় রাজনীতিতে এই অঞ্চলগুলি থেকেই সিংহভাগ নেতৃত্ব ক্ষমতার শীর্ষে আসেন। গান্ধীজি তাঁর অহিংস আন্দোলনকে একমাত্র গুরুত্ব দিলেও কখনো মুসলিম সম্প্রদায়ের কোন সহিংস আন্দোলনের প্রতিবাদ করেননি। কেন? এর একটি ব‍্যখ‍্যা পাওয়া যায়। তাহল, গান্ধীজির হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সব মানুষের নেতা হওয়ার ইচ্ছের জন‍্য তিনি মুসলমান নেতাদের সাম্প্রদায়িক কাজকর্মের ব‍্যপারে চোখ বন্ধ করে ছিলেন। তিনি এই নেতাদের প্রতি সফট ফিলার যা সাদা বাংলায় নৈতিক ঘুষ বলা যায় তা দিয়ে গেছেন। এরজন‍্য একাধিকবার কংগ্রেসকেও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। তবে, গান্ধীজি একাই এভাবে মুখোশের আড়ালে রাজনীতি করেছেন তা নয়, আরেকজনের নাম অবশ‍্যই বলতে হয় – যিনি গান্ধীজির সবচেয়ে স্নেহধন‍্য শিষ‍্য জওহরলাল নেহরু। বিলেতের ব‍্যরিস্টার নেহরু কোনদিনই সাধারন জননেতা ছিলেন না। তাঁকে জননেতা বানানো হয়েছিল। তাঁর বিলেতি আচার আচরণ, দেশের কৃষিজীবি ও শ্রমজীবি মানুষের সঙ্গে যোজন দূরত্বে থাকা নেহরু, গান্ধীজির প্রত‍্যক্ষ পক্ষপাতিত্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। যেহেতু কোন সংগ্রামী আন্দোলনের মধ‍্যে দিয়ে ‘আলালের ঘরের দুলাল’ নেহরু প্রধানমন্ত্রীর গদীতে আসীন হননি, সেসময়কার সম্ভ্রান্ত ও ধনী মানুষদের মত তাঁর উন্নাসিকতা, অসহিষ্ণুতা এবং সমাজের সব শ্রেণীর মানুষদের নিয়ে চলার মানসিকতা ছিলনা। ফলে, তিনি কংগ্রেসের coterieর নেতা হিসেবে দেশের ক্ষমতায় নিজের coterieকেই প্রমোট করেন। আর তার জন‍্যই স্বাধীনতার সময় থেকেই দেশে যোগ‍্য ক‍্যাবিনেটের অভাব ছিল। পরবর্তীতে অবশ‍্য ধীরে ধীরে কিছু যোগ‍্য মানুষ দেশের শাসনক্ষমতার অলিন্দে এলেও গোষ্ঠীতন্ত্র এখনো আমাদের রাজনৈতিক ক্ষমতার মূল কথা।
আবার অযোগ‍্য মানুষের হাতে ক্ষমতা গেলে যা হয় তা শুরু থেকেই আমাদের দেশেও চালু ছিল। তাহল, ক‍্যালিবারের বদলে চাটুকারিতা ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশের সবচেয়ে শক্তিশালী গুণ হিসেবে বিবেচিত হতে লাগল। সুখ-স্বাচ্ছন্দভোগের এমন উপায় চিরস্থায়ী করার জন‍্য বংশগতভাবে গদী ধরে রাখার পরিকল্পনা শুরু হল। এই কাজে সুবিধে পাওয়ার জন‍্য সংবিধানকে হাতিয়ার করে তার বিকৃত ব‍্যখ‍্যা করা শুরু হল। প্রথমে ১৯৪৭ সালে কিন্তু আমরা ইংরেজ সাম্রাজ‍্যের ডোমিনিয়ন স্ট‍্যটাস পাই। পরে ১৯৫০ সালে আমরা ভারতকে প্রজাতন্ত্র (republic) হিসেবে ঘোষণা করি। আমাদের রাষ্ট্রের বর্তমান নাম Sovereign Socialust Secular Democratic Republic of India (Union of States)। এই নাম মেনে আমাদের রাষ্ট্রের স্বরূপ বর্ণনা করা প্রায় অসম্ভব! কারন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রাথমিক সংজ্ঞা অনুসারে কয়েকটি বিপরীতধর্মী শব্দের সমাহার ও তৎসহ বাস্তব বিশেষণে ভূষিত হয়ে আমাদের রাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থা ব‍্যখ‍্যা করতে গেলে বলতে হয়, এটি এমন একটি রাষ্ট্র যে, তার স্বরূপ সর্বদা ব‍্যখ‍্যা নির্ভর যা কিনা ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত যেকোন পরিবর্তন হতে পারে!
প্রথমে আসি Democratic Republic অর্থাৎ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (!) এর ব‍্যখ‍্যায়। গণতন্ত্রে জনগণের দ্বারা সরাসরি নির্বাচিত সরকার দেশ চালালেও দেশের শাসনপ্রক্রিয়ায় জনগণের সকল প্রকার অংশগ্রহণ স্বীকৃত। সরকার তার কাজের সবরকম স্বচ্ছতা জনগণের কাছে জানাতে বাধ‍্য। প্রজাতন্ত্রে সরকারের সর্বোচ্চ পদের নির্বাচন প্রত‍্যক্ষ না হয়ে অপ্রত‍্যক্ষ হতে পারে। যেমন আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতির নির্বাচন অপ্রত‍্যক্ষভাবে হয়। আবার রাজতন্ত্র বা বংশগত শাসন গনতন্ত্রে থাকলেও তা প্রজাতন্ত্রে সম্ভব নয়। যদিও গণতন্ত্রে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র (যেমন গ্রেট ব্রিটেন) সম্বন্ধে কিছু বলা নেই, তবু গণতান্ত্রিক ব‍্যবস্থায় বংশগতভাবে শাসনভার পরিবর্তন সম্ভব নয়। সেজন‍্য এই দুটি আপাত নিরীহ বাক‍্য ব‍্যবহার করে প্রথমেই জনগণের হাতে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়ার প্রশ্নে জল ঢালা হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতার সময় থেকেই স্বার্থান্বেষী অযোগ‍্য মানুষজন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ভিড় করার পর তাদের মনে সাধ জাগলো, যদি এই ক্ষমতার মধুভান্ড বংশপরম্পরায় কুক্ষিগত করা যায়! এজন‍্য যতক্ষণ গণতন্ত্র তাদের কাজের পরিপন্থী না হচ্ছে ততক্ষণ গণতন্ত্রের ধারক আর যখন তাদের কাজের স্বচ্ছতা প্রশ্নের মুখে তখন প্রজাতন্ত্রের দোহাই – অর্থাৎ, যখন যেমন তখন তেমন, করার সুযোগ নেওয়া শুরু হল। গণতন্ত্রে সব নাগরিকের সমান অধিকার – এই চিন্তাধারার পরিপন্থী ‘আরক্ষণ নীতি’কে সমাজের সকল ক্ষেত্রে স্থায়ীত্ব দেওয়া হল। এই সময় আমরা গণতান্ত্রিক থাকলাম না! শাসকের ভোটবাক্সের স্বার্থে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সংজ্ঞা এবং বয়স – দুইই পরিবর্তিত হল। পরবর্তীকালে স্বতঃস্ফূর্ত মতদান প্রক্রিয়ায় বিভিন্নভাবে ও বিভিন্ন স্তরে ‘হস্তক্ষেপ’ শুরু হল। আমাদের স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাস দেখলে দেখা যায়, যতদিন পর্যন্ত জওহরলালের কোন বংশধর স্থায়ীভাবে প্রধানমন্ত্রীত্বের গদীতে না বসেছেন ততদিন পর্যন্ত কংগ্রেস পার্টি দেশের সুস্থিরতা ব‍্যহত করতে ইন্ধন যুগিয়েছে। এর থেকে একটি জিনিষ খুব পরিষ্কার যে, ভারতের স্বাধীনতা আর যাই হোক, গণতন্ত্র বা প্রজাতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।
জরুরী অবস্থার সময় দেশের মধ‍্যে বিদেশী শত্রুরাষ্ট্রের বন্ধুদল কম‍্যুনিষ্টদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইন্দিরা গান্ধী তাঁর পারিবারিক শাসন কায়েম করার সুবিধের জন‍্য ভারত রাষ্ট্রকে Socialist ও Secular রাষ্ট্র হিসেবে সংবিধানে সংশোধনের মারফৎ অন্তর্ভুক্ত করেন। এতে করে দেশের বৃহত্তর মানুষের কাছে তাদের রাষ্ট্রের সঙ্গে একাত্মতার মূল ভিত্তিটাই পাল্টে দেওয়া হল। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে plebiscite ছাড়া তা করা যায় না। আশ্চর্য লাগে, এখনো অব্দি পরবর্তী কোন সরকার এ ব‍্যপারে পদক্ষেপ করেনি। এতে কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলির গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানোকে সাধারণ মানুষ সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেছেন।
যে পটভূমিতে ভারত ত্রিখন্ডিত হয়ে স্বাধীনতা পেয়েছিল, ধর্মের (religion) ভিত্তিতে সেই বিভাজন মেনে নেওয়ায় যেমন পাকিস্তান (পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশও একই পথের পথিক) যথার্থভাবে মুসলিম রাষ্ট্র, তেমনি ভারতও যুক্তিগ্রাহ‍্যভাবে হিন্দুরাষ্ট্র হওয়ার কথা; অন্ততঃ ডোমিনিয়ন স্ট‍্যটাস দেওয়ার তথ‍্য অনুযায়ী। কিন্তু ভারতীয় শাসক তার কন্ট্রোল্ড গণতন্ত্রে মুসলমান নাগরিকদের তোষন করার প্ল‍্যান অনুসারে ভারতে সর্বধর্ম-সমন্বয়ের সোনার পাথরবাটি তুলে ধরলেন! আইন মোতাবেক তা করা যায় না। এমন নয় যে সেই রাষ্ট্রে অন‍্য ধর্মালম্বীরা থাকতে পারবে না বা তাদের কোন বৈষম‍্যের শিকার হতে হবে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে গান্ধীজির মদতে জওহরলাল নেহরু ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বলে মানতে চাননা। তাঁর এই অযৌক্তিক কাজের খেসারত আজ দেশের সব ধর্মের নাগরিকদের দিতে হচ্ছে। এর কারন একটাই। গান্ধীজি এবং তাঁর মানস-পুত্র জওহরলাল এই দেশটাকে তাদের দখলদার মৌরুসীপাট্টা হিসেবে দেখেছিলেন। শুধু সাধারণ নির্বাচনে জিতে কোন সরকার এভাবে রাষ্ট্রের গঠন পাল্টে দিতে পারেনা। এর জন‍্য কোন বিশেষ plebisciteও করা হয়নি। তাহলে ত উত্তর কোরিয়ার বংশানুক্রমে শাসন করা শাসককেও সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ধারক ও বাহকের তকমা দিতে হয়!
আমাদের সংবিধানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে যে, ধর্ম ও জাতপাতের ভিত্তিতে ভোট চাওয়া যাবে না। তাহলে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদগুলি থাকা সত্বেও ধর্মের ভিত্তিতে কি করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে? সরকার কিভাবে এটা চালিয়ে যাচ্ছে আর আইনের চোখে তা গ্রাহ‍্য হচ্ছে!
এই ধরনের ধর্মীয় ও জাতিগত সংরক্ষণ ও আর্থিক উপঢৌকনে এই গোষ্ঠীগুলির সার্বিক সামাজিক উন্নয়নের কোন ছবি ধরা পড়ে না। উপরন্তু এই ধরনের প্রকল্প সমাজের ও দেশের স্থায়ীত্বের ভিত্তিমূলেই আঘাত করছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনা তার সাক্ষ‍্য বহন করে। এখানে আরেকটি কথা প্রণিধানযোগ্য। যখন ভারতীয় মুসলমানরা পাকিস্তানের পক্ষে বা ভারতের পক্ষে বসবাসের জন‍্য মতদান করে ছিলেন, তখন তাঁরা কি ভারতে ‘সংখ‍্যালঘু’ তকমা পাওয়ার দাবীদার ছিলেন? যেমন পাকিস্তানে বা অধুনা বাংলাদেশে সে দেশের ধর্মীয় ‘সংখ‍্যালঘু’দের অধিকার, এই ভারতেও সেই একই অধিকার থাকা উচিৎ। অত‍্যন্ত দুঃখজনক হলেও এর দায় কিন্তু কংগ্রেসের – বিশেষতঃ একটি বংশের। আজ দেশের বিভিন্ন জায়গায় “ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে” নাড়া লাগানো মানুষদের প্রভাবিত করেছে এই নেহরু-গান্ধী পরিবারের ভারতে রাজত্ব করার লিপ্সা।
এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে জাতি,ধর্ম নির্বিশেষে ভারতের সব নাগরিককে যথার্থ দেশাত্মবোধের পরিচয় দিতে হবে। দেশের সব নির্বাচিত পদের মেয়াদ নির্দিষ্ট করতে হবে (একবার বা দুবারের বেশী একজন ব‍্যক্তির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করতে হবে)। যেকোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির ও তার পরিবারের সকল উপার্জন subject to public scruitiny করতে হবে। অবশ‍্য এসব হলে আমাদের দেশের রাজনীতিকদের জনসেবার উৎকট, উদগ্র কামনা কতটা অবশিষ্ট থাকে তা দেখার বিষয়। তবে, একটা কথা, বিড়ালের গলায় কে ঘন্টা বাঁধবে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *