ভারতীয় চিকিৎসার গৌরব ফিরিয়ে আনা জরুরী

আমাদের দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হতে আর কয়েকমাস বাকি। এই সুদীর্ঘ সময়ে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিসহ অনেক বিষয়ে দেশ যেমন উন্নতি করেছে, তেমনই অনেক বিষয়ে অবহেলাজনিত কারনে এবং আরো কয়েকটি অনুঘটকের নিমিত্ত পিছিয়ে পড়েছে। এমনি একটি পিছিয়ে যাওয়ার জায়গা হল চিকিৎসা ও স্বাস্থ‍্য। একবিংশ শতাব্দীতে স্বাধীন, সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের চিকিৎসা মৌলিক অধিকার হওয়া উচিৎ। বিভিন্ন সরকার এবং রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে সেকথা বারংবার উল্লেখ করলেও তা অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি হিসেবেই রয়ে গেছে। আমাদের রাজ‍্যের স্বাস্থ‍্যসাথী প্রকল্পের প্রচার যত, কার্যকারিতা তার শতাংশের একাংশও নয়।
এর কারন হিসেবে কয়েকটি প্রায় অনালোচিত বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই। প্রথমতঃ আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতি ও চিকিৎসা ব‍্যবস্থা পাশ্চাত‍্যের থেকে নেওয়া। আর বিভিন্ন ওষুধ হয় বিদেশী লাইসেন্সে এদেশে তৈরী করি অথবা বিদেশ থেকে আমদানি করে দেশীয় সংস্থা তার বিপণন করে। সাম্প্রতিক করোনা ভ‍্যাকসিনের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ‍্য। এইসব বিদেশী ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার লাভের পরিমাণ সম্পর্কে আন্দাজ দেওয়া যেতে পারে। যে ওষুধটি বানাতে ১ টাকা খরচ হয়, সেই ওষুধের এমআরপি ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এই ওষুধ কোম্পানীগুলি অসীম শক্তিধর। এদের নেটওয়ার্ক সারা পৃথিবীতে, এমনকি আমাদের দেশেও ছড়িয়ে আছে। এদের সঙ্গে অশুভ আঁতাত আছে আমেরিকার FDAর। FDAএর ছাড়পত্র না পেলে বিশ্বজুড়ে কোন ওষুধ বিক্রির ক্ষমতা কারো নেই। এমনকি WHO অব্দি FDAকে সমীহ করে চলে। করোনার ভ‍্যাকসিনের ক্ষেত্রেও সব ভ‍্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে FDAর ছাড়পত্র নিতে হয়েছে। এই FDA বিভিন্ন অজুহাতে, কখনো কখনো অযৌক্তিকভাবে তাদের দেশীয় কোম্পানীর অর্থনৈতিক স্বার্থে আঘাত পড়তে পারে এমন ওষুধের অনুমোদন দেয় না। এভাবেই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি চিকিৎসার নামে উন্নত দেশগুলির ওষুধ কোম্পানীগুলির শোষণের শিকার। চীন সরকার তাদের দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতি ও দেশীয় ওষুধগুলিকে মাণ‍্যতা দিয়ে FDAর পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানীগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ছুঁড়ে দিয়েছে। আমাদের বিপুল জনসংখ‍্যার দেশ ভারত যদি সেই পথে শক্ত হাতে রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক শক্তি প্রয়োগ করে এগোয় তাহলে আমাদের দেশেও চিকিৎসা অনেক সুলভ হতে বাধ‍্য।
আমাদের দেশের অনেক মানুষই জানেন না যে, প্রাচীন কাল থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পযর্ন্ত আমাদের দেশের চিকিৎসা ব‍্যবস্থা পৃথিবীতে সেরা ছিল। সুশ্রুত-সংহিতার রচয়িতা সুশ্রুতকে সারা পৃথিবী সার্জারী – বিশেষতঃ প্লাস্টিক সার্জারীর জনক হিসেবে মাণ‍্যতা দেয়। মনে রাখতে হবে, সুশ্রুত ৭০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে মারা যান। তাঁর লেখা সুশ্রুত-সংহিতার সংকলন নেপালের কাইজার লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত আছে। এটি ১২-১৩ শতাব্দীতে তালপাতার পুঁথিতে সংকলিত। সুশ্রুত-সংহিতায় সার্জারীর যে বিভাগগুলির কথা বলা হয়েছে তা আজও সার্জারীর মূল কথা। তিনি reconstruction ও প্লাস্টিক সার্জারীর কথা লিখতে গিয়ে ৩০০ রকম বিভিন্ন প্রকারের সার্জারীর বর্ণনা দিয়েছেন। তাঁর ১২০ রকম সার্জিক‍্যাল ইন্সট্রুমেন্টের ছবি দেখলে এখনকার ইন্সট্রুমেন্টের সঙ্গে অনেক সাযুজ‍্য লক্ষ‍্য করা যায়। তিনি সে যুগে সার্জারী করার সময় অ‍্যানাস্থেশিয়া ব‍্যবহার করতেন – মদ ও ভেষজ henbane ব‍্যবহারের উল্লেখ আছে। তিনি rhinoplasty (কাটা নাক জোড়া দেওয়া), autoplasty (ছেঁড়া কান জোড়া দেওয়া), ছানি অপারেশান ইত‍্যাদি করতেন। কিডনীর পাথর বের করবার শল‍্য চিকিৎসার উল্লেখও তাঁর সুশ্রুত-সংহিতায় পাওয়া যায়। এখনকার আধুনিক শল‍্য চিকিৎসার অনেক কিছুই সুশ্রুত-সংহিতায় পাওয়া যায় – যেমন, রক্তধাতু সঞ্চালন, হৃৎসুলা (heart pain), মধুমেহ ও স্থুলতা, কুষ্ঠ এবং উচ্চরক্তচাপ জনিত চিকিৎসা।
এরপর আসি পৃথিবীর প্রথম চিকিৎসক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া চরকের কথায়। চরক কাশ্মীর উপত‍্যকার মানুষ ছিলেন। চরক-সংহিতার রচনাকাল হিসেবে প্রথম ও দ্বিতীয় শতাব্দীর সময়কালকে মাণ‍্যতা দেওয়া হয়েছে। অথচ, খ্রীষ্টপূর্বাব্দে চরকের চিকিৎসার উল্ল্কেখ পাওয়া যায়। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোন কারন নেই। স্থানীয় ভাষায় ‘চরক’ শব্দের অর্থ হল ‘ভ্রাম‍্যমান চিকিৎসক’। এখানে আরেকটি কথা মনে রাখা প্রয়োজন – চরক-সংহিতা, যা চরকের রচনা বলে মনে করা হচ্ছে, তার রচনাকাল দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ‍্যে হলেও সেটি একাধিক মানুষের দ্বারা – বিস্তৃত সময়কাল ধরে অভিজ্ঞতার নিরিখে লেখা হয়েছে। মনে রাখতে হবে যে, এই ধরনের রচনা হিন্দু সংস্কৃতির অঙ্গ। অভিজ্ঞতার নিরিখে কোন বিষয়কে লিপিবদ্ধ করে বিভিন্ন প্রবুদ্ধজনের জ্ঞানে সম্বৃদ্ধ প্রায় সবকটি প্রাচীন হিন্দু গ্রন্থ। চরক-সংহিতা এর ব‍্যতিক্রম নয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতীয় চিকিৎসার গবেষণা ও অভিজ্ঞতার ফসল হল সুশ্রুত-সংহিতা এবং চরক-সংহিতা। যে কারনে বেদের যুগেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়। এই ভারতীয় চিকিৎসার পরম্পরাই হল আয়ুর্বেদ।
চরক-সংহিতার মোট ৮টি বইয়ের মধ‍্যে ১২০টি অধ‍্যায় আছে – যার মধ‍্যে শেষ দুটি বই দৃধবলা সংযোজিত। এগুলিতে চিকিৎসা-দর্শন, স্বাস্থ‍্যকর অভ‍্যাসে রোগ প্রতিরোধ থেকে নিয়ে প‍্যাথলজি, অ‍্যানাটমী, এমব্রায়োলজি, থেরাপিউটিক্স, ফার্মাসিউটিক্স ও টক্সিকোলজি যেমন আলোচিত হয়েছে, তেমনি চিকিৎসকদের ট্রেণিং, চিকিৎসার এথিক্স ইত‍্যাদি বিষয়ে বিশদে আলোচিত হয়েছে। এই বইগুলি এবং তাদের অধ‍্যায় বিভাজন ও বিন‍্যাস দেখলে বোঝা যায় যে, ভারতীয় আয়ুর্বেদের আধুনিক রূপ হল অ‍্যালোপ‍্যাথি।
তাহলে আজকে আধুনিক চিকিৎসায় অ‍্যালোপ‍্যাথি আদৃত হলেও আয়ুর্বেদ অবহেলিত কেন? এর কারন জানতে হলে প্রথমেই দেখতে হবে আয়ুর্বেদিক ওষুধের সঙ্গে অ‍্যালোপ‍্যাথািক ওষুধের পার্থক‍্য কেন এবং কোথায়। একটি কথা সকলের মনে রাখা দরকার যে, শরীরবিদ‍্যা – physiology ও anatomy আয়ুর্বেদ ও অ‍্যালোপ‍্যাথি দুইয়েই এক ; যেজন‍্য সার্জারীতে সুশ্রুতের ব‍্যবহৃত সার্জিক‍্যাল ইন্সট্রুমেন্টের সঙ্গে বর্তমান সার্জিক‍্যাল ইন্সট্রুমেন্টের অনেক মিল পাওয়া যায়। এখানে মনে রাখা দরকার যে চিকিৎসা বিজ্ঞান একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময়ের সঙ্গে নতুন ও উন্নততর উদ্ভাবনী এখানে সতত বহমান। পাথমিকভাবে প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতিতে ওষুধ হিসেবে সবচেয়ে বেশী ব‍্যবহার করা হত বিভিন্ন গাছগাছড়ার মূল ও অন‍্যান‍্য অংশ। এটি শুধু আয়ুর্বেদ নয়, অ‍্যালোপ‍্যাথির ক্ষেত্রেও প্রযোজ‍্য। যেমন, নয়নতারা গাছের মূলকে আয়ুর্বেদে প্রাচীন সময় থেকেই কয়েক প্রকারের ক‍্যান্সারের ওষুধ হিসেবে ব‍্যবহার করা হত। এই গাছের মূলে ভিনব্লাস্টিন ও ভিনক্রিস্টিন নামের দই প্রকারের অ‍্যালকালয়েড থাকে যারা এখন অ‍্যালোপ‍্যাথিতে ক‍্যান্সারের ওষুধ হিসেবে ব‍্যবহার করা হয়। আধুনিক অ‍্যালোপ‍্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই বিশেষ যৌগগুলিকে পৃথকীকরণ ও শুদ্ধিকরণ করা হয়েছে। এমনকি এই যৌগগুলি কৃত্রিম পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই পৃথকীকরণ ও শুদ্ধিকরণ একটি অবশ‍্য পালনীয় কর্তব‍্য। কারন, এই গাছের মূলে উল্লেখিত যৌগগুলি ছাড়াও এমন অনেক যৌগ থাকে যেগুলি ক‍্যান্সার সারানোর পরিবর্তে তার বৃদ্ধিতে সহায়ক হয় – যেমন ভিন্ডোলিন জাতীয় যৌগ। এই যৌগটিও নয়নতারা গাছের মূলে থাকায় পৃথকীকরণ ও শুদ্ধিকরণ ওষুধ প্রস্তুত করার একটি অতি প্রয়োজনীয় পর্যায়। উদ্দেশ‍্যপ্রণোদিতভাবে আয়ুর্বেদকে হেয় করার জন‍্য আয়ুর্বেদীয় ওষুধের ক্ষেত্রে আধুনিক পৃথকীকরণ ও শুদ্ধিকরণ পদ্ধতির অভাবের জন‍্য এই চিকিৎসা পদ্ধতিকেই বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হয়। আয়ুর্বেদ একটি উদ্দেশ‍্যমূলক অপপ্রচারের শিকার। আয়ুর্বেদ এই পদ্ধতি স্বীকার করে – কারন আয়ুর্বেদেও টক্সিকোলজির বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে। এই নয়নতারা গাছই যেমন বিষাক্ত। সেজন‍্য সমস্ত আয়ুর্বেদ ওষুধই যথার্থ শোধন করা হয় – প্রাচীন শোধন প্রক্রিয়াই আধুনিক পৃথকীকরণ ও শুদ্ধিকরণ। কারন, প্রাচীন আয়ুর্বেদ ওষুধ প্রস্তুতিতে বর্তমান অ‍্যালোপ‍্যাথির ফাইটোমেডিসিন তৈরীর জন‍্য ব‍্যবহৃত সক্সলেট, রিটর্ট ও ক্রোমাটোগ্রাফীর বিভিন্ন ছবি প্রাচীন আয়ুর্বেদের বইগুলিতে পাওয়া যায়। সুতরাং, প্রাচীনকালের ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসার স্বাভাবিক ও সময়োপযোগী রূপান্তরই হল বর্তমানের অ‍্যালোপ‍্যাথি চিকিৎসা।
আয়ুর্বেদের বর্তমান অবহেলার কারন খুঁজতে গেলে দেখা যায় তা চিকিৎসাবিজ্ঞানজনিত নয় – রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারনে। ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসার সুনাম দ্বাদশ শতাব্দী অবধি অক্ষুন্ন ছিল। বহির্বিশ্বের যবন আক্রমণের সময় থেকেই ভারতের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও শিল্পের যে দ্রুত অবক্ষয় শুরু হল, তার ঢেউ এসে লাগল চিকিৎসায়। নতুন যবন শাসকদল দেশের মানুষের চিকিৎসার ব‍্যপারে উদাসীন ত ছিলই, পরন্তু তারা আয়ুর্বেদ নয়, ইউনানী চিকিৎসার উপর নির্ভর করত। এই সময় চিকিৎসা সম্পর্কিত বহু পুঁথি ও নথিপত্র নষ্ট করে ফেলা হয়। পরবর্তী সময়ে ইংরেজরা ভারতের শাসনভার নেওয়ার পরে ভারতীয় এই চিকিৎসাবিদ‍্যাকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেনি। কিছু ক্ষেত্রে এর অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান নিজেদের চিকিৎসাশাস্ত্রে (যা এখন অ‍্যালোপ‍্যাথি নামে পরিচিত) ব‍্যবহার করেছে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসার একটি অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ‍্যায় ‘শোধন’ এইভাবে রাজনৈতিক কারনে হারিয়ে যায়। তারপর, ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিদেশে – বিশেষতঃ জাপান, আমেরিকা ও ইউরোপে (সুশ্রুত-সংহিতা আরবী ও ল‍্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল) এই দুটি সংহিতা নিয়ে গবেষণা করা হয় এবং তার বিস্ময়কর ফল জানার পর ভারত সরকার নড়েচড়ে বসে। কিন্তু এনিয়ে বেশীদূর এগোনো যায়নি। তার সবচেয়ে বড় কারন হল, বিশ্বের সবচেয়ে বেশী টাকার বাণিজ‍্য করে ওষুধ শিল্প – যার প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে আমেরিকা ও ইউরোপের কয়েকটি উন্নত দেশ। এখানে যদি আয়ুর্বেদশাস্ত্র সম্মত ওষুধ তৈরী ও আধুনিক উপায়ে তার শোধন প্রক্রিয়ার পর আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এই ওষুধের এফিকেসি পরীক্ষার পর তাকে বাজারে বিক্রির ছাড়পত্র দেওয়া হয় তবে তুলনামূলকভাবে বহুগুণ বেশী দামে বিক্রিত এই আন্তর্জাতিক ওষুধ কোম্পানীগুলির ওষুধ আর বিক্রিহবেনা – ভারতসহ সারা পৃথিবীর মানুষ উপকৃত হলেও ঐ ওষুধ কোম্পানীগুলির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। সেজন‍্য আমেরিকার FDA আর সেইসঙ্গে WHO ভারতীয় আয়ুর্বেদিক ওষুধকে মাণ‍্যতা দেয়না। অথচ ঐ একই পদার্থ যখন ল‍্যাবোরেটরীতে কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুত করে এই ওষুধ কোম্পানীগুলি বাজারে বিক্রি করছে,তার ক্ষেত্রে দ্রুত ছাড়পত্র মিলছে!
এখানে ভারত সরকারের ভূমিকা অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীন ও জাপান সরকার তাদের দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরী ওষুধের স্বীকৃতির জন‍্য অনেক লড়াই করেছে এবং এখনো করছে। কিন্তু ভারতের উচ্চমানের স্বীকৃত চিকিৎসাশাস্ত্রের ওষুধ যাতে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পায় তার জন‍্য গবেষণার infrastructure গঠন ও তার আধুনিক রূপ দেওয়ার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। FDA যাতে ভারতীয় আয়ুর্বেদীয় ওষুধ, যা অ‍্যালোপ‍্যাথিক ওষুধের চেয়ে উৎকৃষ্ট বা সমমানের – সেইসব কমমূল‍্যের ওষুধকে স্বীকৃতি দেয়, তার জন‍্য সব রকম কুটনৈতিক চাপ দেওয়া প্রয়োজন। দেশ এই কাজে সফল হলে চিকিৎসার খরচ কমবে তাই নয়, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসায় ভারত আবার বিশ্ব-শ্রেষ্ঠত্বের আসনের দাবীদার হবে।

(লেখক পশ্চিমবঙ্গ জৈবপ্রযুক্তি নিগমের প্রাক্তণ নির্দেশক ও পরামর্শদাতা)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *