রাজ‍্যপালের এক্তিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীন নয়

১৯৮৩ সালে ভারত সরকার যে কেন্দ্র-রাজ‍্য সম্পর্কের প্রশ্নে রঞ্জিত সিং সারকারিয়া কমিশন গঠন করে, তারা তাদের পর্যবেক্ষণ সরকারের কাছে জমা দেওয়ার পর তা তৎকালীন এবং পরবর্তী কোন সরকারই গ্রহণ করেনি। কিন্তু এই কমিশনের পর্যবেক্ষণগুলি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজ‍্য-সরকার তাদের স্বার্থে ব‍্যবহার করার কথা বলেছে! সারকারিয়া কমিশনের রিপোর্ট মানতে হলে আমাদের দেশের সংবিধানকে জ্বলাঞ্জলী দিতে হবে! বিশেষতঃ, রাজ‍্যপাল নিয়োগের প্রশ্নে তাঁকে কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করার যে সংবিধান স্বীকৃত পন্থা আছে, তা বদলে রাজ‍্য বিধানসভা তথা রাজ‍্যের মূখ‍্যমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে রাজ‍্যপাল নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে! কোন রাজ‍্য-সরকার যদি দেশের সংহতির পরিপন্থী এবং সংবিধান বিরোধী কাজ করে, তা হলেও কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধান মোতাবেক সেই রাজ‍্য-সরকারকে সরাতে পারবে না! মনে পড়ল, কম‍্যুনিস্ট পার্টির প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক ডঃ গঙ্গাধর অধিকারীর তত্ত্ব – যেখানে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রীয় দেশ বলে দেখানো হয়েছে! এদিকে রাজ‍্য-সরকারগুলি তাদের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে ও উন্নয়ণের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সাহায‍্যের উপর নির্ভরশীল। কিছু রাজ‍্য-সরকারের, বিশেষতঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বভাব হচ্ছে, একের পর এক প্রকল্পের জন‍্য কেন্দ্র থেকে টাকা নিয়ে তার হিসাব না দেওয়া – এমনকি টাকার Utilization certificate পযর্ন্ত দেওয়া হয় না। এর কারন বহুবিধ। অনেক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পাল্টে দেওয়া, প্রকল্পের টাকার হিসাব না দেওয়ার বড় কারন হচ্ছে এক খাতের টাকা সম্পূর্ণ অন‍্য খাতে ব‍্যয় করা, প্ল‍্যানড্ ও আন-প্ল‍্যানড্ বাজেটের হিসেব গুলিয়ে ফেলা – সর্বোপরি দুর্ণীতির সুযোগ তৈরী করা!
সারকারিয়া কমিশনের পরামর্শ গ্রহণ করতে হলে বহিরাগত শক্তির বিরুদ্ধে রাজ‍্যগুলিকে রক্ষা করা এবং রাজ‍্যগুলির ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুসারে তাদের অর্থ প্রদান করা ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের আর কোন ভূমিকা থাকবে না! রাজ‍্যগুলির কাজকর্মের সঠিক গতি ও পথ নির্ণয়ে রাজ‍্যপালের ভূমিকা বদলে গিয়ে তা রাজ‍্য-সরকার তথা মূখ‍্যমন্ত্রীদ্বারা চয়ন করা একজন “রাবার স্ট‍্যাম্প” হবে মাত্র! এমন অবাস্তব ও সংবিধান-বিরোধী পর্যবেক্ষণের কারনেই স্বাভাবিকভাবে এত বছরে যত সরকার কেন্দ্রে এসেছে, তারা কেউই এই কমিশনের পরামর্শ গ্রহণ করেনি। কিন্তু রাজনৈতিক নেতারা রাজনীতি, ব‍্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের কারনে এখনো এই কমিশনের পরামর্শ না মানার জন‍্য কেন্দ্রকে দোষারোপ করে থাকেন। আবার এই নেতারাই যখন কেন্দ্রীয় সরকারে থাকেন, তখন কেউ সারকারিয়া কমিশনের কোন অংশকেই গ্রহণ করার আগ্রহ দেখান না।
সারকারিয়া কমিশনের পর্যবেক্ষণ কার্যকর না হওয়ার জন‍্যই কেরলের রাজ‍্যপাল আরিফ মহম্মদ খান কেরল সরকারের আইন বিরোধীভাবে সরকারি অর্থ অপচয় করে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ‘পেনশন’ দেওয়ার প্রকল্প নিয়ে আপত্তি করতে পারেন। কেরলে রাজ‍্যের মন্ত্রীরা তাদের ব‍্যক্তিগত কাজের জন‍্য চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করতে পারেন। এই কর্মীরা যত কম দিন কাজ করুন না কেন, তাঁরা সরকারি স্থায়ী কর্মীদের মত পেনশন পাওয়ার অধিকারী! বামফ্রন্টের সময় থেকে পশ্চিমবঙ্গে এই নিয়ম চালু আছে! এদের নিয়োগের কোন নির্দিষ্ট যোগ‍্যতা নেই। এরা কোন নির্বাচন পদ্ধতির মধ‍্যে দিয়ে নির্বাচিত নয়! এদের একটাই যোগ‍্যতা – পার্টির লোক এবং মন্ত্রীর ইচ্ছেয় চাকরী করছেন! এদের কাজও রাজনৈতিক স্বার্থ ও রাজনীতিকের স্বার্থ দেখা! এখানে কেরলের মাননীয় রাজ‍্যপাল প্রশ্ন তুলেছেন – সরকারি অর্থ ব‍্যয় করে এইসব রাজনৈতিক কর্মীদের আজীবন পেনশন দেওয়া হচ্ছে কেন? আশ্চর্যের ব‍্যাপার হল, রাজ‍্য-সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে পেনশন পাওয়ার জন‍্য যে নূন‍্যতম বছর চাকরি করার প্রয়োজন, তা এদের ক্ষেত্রে প্রযোজ‍্য নয়! এভাবে সরকারি অর্থ রাজনৈতিক দলের কর্মীদের পেনশন দিতে খরচের ব‍্যাপারে কেরলের রাজ‍্যপাল সঠিক প্রশ্ন তুলেছেন। লক্ষ‍্যণীয়, পশ্চিমবঙ্গের তদানীন্তন থেকে ধরে বর্তমান রাজ‍্যপাল – কেউ এ ব‍্যাপারে বিন্দুমাত্র আপত্তি করেছেন বলে জানা নেই। এভাবে সরকারি অর্থ রাজনৈতিক কর্মীদের মধ‍্যে বিলি করার নৈতিক অনুমোদন পাওয়া যায় কি? পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মীরা, পেনশনভোগী বৃদ্ধ প্রাক্তণ সরকারি কর্মীরা ডিএ না পাওয়ায় যে অর্থকষ্টে ভুগছে, তাদের রাস্তায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বানচাল করার জন‍্য পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে এদের ঘুঁষি মারা হচ্ছে, লাঠিপেটা করা হচ্ছে! অথচ, এমন নীতিবিরুদ্ধ কাজের জন‍্য কোন প্রতিবাদ নেই! তাই, ধন‍্যবাদ মাননীয় রাজ‍্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে। তিনি এব‍্যপারে মুখ খুলেছেন। অথচ, কোন রাজনীতিক এই অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করেছেন বলে জানা নেই। এভাবে দলের লোককে সরকারি অর্থ পাইয়ে দেওয়ার প্রবণতা প্রথম শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের হাত ধরে। তারপর তা অন‍্যান‍্য রাজ‍্যেও ছড়িয়ে পড়ে। এবার কথা হল, সারকারিয়া কমিশনের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক রাজ‍্যপাল নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হলে কেরল সরকারের মনোনীত রাজ‍্যপালকখনোই সরকারের এই নীতি বিরুদ্ধ কাজ নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলতেন না। আবার পশ্চিমবঙ্গের মূখ‍্যমন্ত্রী মমতা ব‍্যানার্জী দাবী করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের নব-নিযুক্ত রাজ‍্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোসকে নিয়োগের সময় তাঁর পরামর্শ চাওয়া হয়নি! আইন ও সংবিধান মোতাবেক কেন্দ্রীয় সরকার কোন রাজ‍্য-সরকারের সঙ্গেই আলোচনা করে ঐ রাজ‍্যের রাজ‍্যপাল নিয়োগ করে না।একটি রাজ‍্যের রাজ‍্যপাল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে রাজ‍্য-সরকারের কাজকর্মের ব‍্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন রাজ‍্যের মানুষের স্বার্থে। তিনি নির্বাচনে জেতা দলীয় প্রতিনিধি নন। রাজ‍্যের প্রথম নাগরিক, রাজ‍্যপালের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব রাজ‍্য-সরকারের উপর। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে রাজ‍্যপালের সক্রিয়তা জরুরী।
অথচ, রাজ‍্য-সরকারের কোন কাজকে সঠিক দিশা দেখানোর জন‍্য যদি রাজ‍্যপাল তাঁর সরকারকে পরামর্শ দেন, তখন, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে, রাজ‍্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। আবার শিক্ষার মানদন্ড না থাকায়, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যখন রাজ‍্যের ক্ষমতায় বসেন, তখন তাঁদের নিজেদের ক্ষমতার সীমা ও এক্তিয়ার সম্পর্কে তাঁরা নিজেরাই বিশেষ অবগত থাকেন না। বিশেষভাবে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গে বলা যায়, সরকারের জন-বিরোধী বা বেআইনি কাজকে যখন কোন রাজ‍্যপাল সামনে এনেছেন, সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন, তখনই সেই রাজ‍্যপালের বিরুদ্ধে সরকার তথা শাসক দলের পক্ষে প্রতিবাদের ঝড় তোলা হয়েছে – অনেক সময় এই প্রতিবাদ শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। এতে হয়ত রাজনৈতিক ফয়দা হচ্ছে, কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
এইভাবে এই রাজ‍্যে হয় রাজ‍্য-সরকারের রাবার-স্ট‍্যাম্প রাজ‍্যপাল অথবা দায়িত্বশীল রাজ‍্যপালের জন‍্য বরাদ্দ হয়েছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির তকমা! লাভ হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের; ক্ষতি সাধারণ মানুষের। এখানেও বলতে হয়, সিপিএম পরিচালিত বামফ্রন্টের রাজত্বকালেই রাজ‍্যপালের সঙ্গে অসভ‍্যতা করা শুরু হয়। রাজ‍্যপাল ধর্মবীরার সময় কিভাবে তাঁকে অপমান করা হয়, মিছিল সংঘবদ্ধ করে তাঁর বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভ করা হয় – তা এখনো পশ্চিমবঙ্গের জনগণ মনে রেখেছে। এখন “সিপিএমের মেধাবী ছাত্রী”র রাজত্বে এই নোংরামো বহুগুণ বেড়েছে।
যে রাজ‍্যে বড় কল-কারখানা থেকে ছোট শিল্প, SEZ ইত‍্যাদি ধ্বংস করে রাজ‍্যের মানুষকে ভাতা কেন্দ্রীক জীবন ধারনে বাধ‍্য করা হয়েছে, তার দায় এই রাজ‍্যে বিভিন্ন সময়ে (গত ষাট বছর) শাসন করা রাজনৈতিক দলগুলির। এখন রাজ‍্যের প্রায় সব ক্ষেত্রেই শাসকদলের মদতে একমাত্র ব‍্যবসা হল ‘কাটমানি’ ব‍্যবসা। এইসবের বিরুদ্ধে যে রাজ‍্যপাল সরব হবেন, তাঁকেই শাসক বাহিনীর বিদ্রুপ ও অগণতান্ত্রিক উপায়ে অপমান সহ‍্য করতে হবে। এর শুরু সেই ধর্মবীরের সময় থেকে। সে সময়ের শাসকদল এখন বিধানসভায় একজনকেও জিতিয়ে আনতে পারে না! কারন, এ রাজ‍্যে শাসকদল শোষকদলে পরিণত হয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক দুর্ণীতির নাগপাশে নিষ্পেষিত সাধারণ মানুষের জন‍্য কেন্দ্রের প্রতিভূ রাজ‍্যপাল যখনই কোন পদক্ষেপ করতে গেছেন, তখনই তাঁকে শাসকদলের সমবেত আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। সেটাই এখন এ রাজ‍্যের রাজনৈতিক ঐতিহ‍্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে রাজ‍্যপালকে কাজ করতে না দেওয়ার কারন একটাই – রাজ‍্যের শাসকদলের দুর্ণীতি কার্পেটের তলায় লুকিয়ে রাখার অসৎ রাজনৈতিক প্রচেষ্টা।
আরেকটি রাজনৈতিক কারন এখানে উল্লেখ করা যায় – বিশেষতঃ দেশের গণতন্ত্রের প্রেক্ষিতে। এই রাজ‍্যে ভোটের সময় যত সন্ত্রাস, হিংসাত্মক ঘটনা, খুণ-জখম এবং রক্ত ঝরানোর ঘটনা ঘটে, সারা দেশে তার অর্ধেক হিংসা ঘটে না। ভোট-পরবর্তী হিংসাও এই রাজ‍্যের বিশেষত্ব। এর বেশ কয়েকটি কারন আছে – প্রথমতঃ রাজ‍্যে কর্মসংস্থান ও অর্থ উপার্জনের সুযোগ অত‍্যন্ত সীমিত হওয়ায় রাজনীতির ছত্রছায়ায় থেকে অনৈতিক উপায়ে দালালী, কাটমানি ইত‍্যাদি রাজ‍্যের এক বড় অংশের মানুষের রুজি-রোজগারে পরিণত হয়েছে। এখানেও সেই বামপন্থী রাজত্বের থেকে শাসকদলের হয়ে বিভিন্ন রকম প্রচার, তাদের দলের স্বার্থে হিংসাত্মক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে বহু মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে। এ ধরনের কাজে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ‍্য আসায় এবং রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপে পুলিশের ছত্রছায়ায় এই কাজে রিস্ক কম থাকায় বহু অল্প বয়সী ছেলেপিলে একে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করে – বিশেষতঃ অন‍্য কাজের সুযোগ না থাকায়।
এভাবে ধীরে ধীরে রাজ‍্য-রাজনীতিতে যেমন দুর্ণীতি ও হিংসা বাড়তে থাকে, তেমনি ক্ষমতা দখলে রাখার মরিয়া চেষ্টায় রাজনৈতিক হিংসাও বাড়তে থাকে। বিশেষ করে ভোটের সময় স্বাভাবিক কারনেই স্বার্থ ও জীবিকা বাঁচানোর তাগিধেই এ ধরনের লুম্পেন কর্মীদের দ্বারা রাজনৈতিক স্বার্থে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হয়। এ রাজ‍্যে নির্বাচন পরিণত হয়েছে লুম্পেন কর্মীদের রুজি-রোজগার বজায় রাখা অথবা তা ছিনিয়ে নেবার সংগ্রাম হিসাবে! এইভাবে রাজ‍্যে হিংসাত্মক রাজনীতির জন্মও হয় বামপন্থী ও অতি-বামপন্থী রাজনীতির অনুসঙ্গ হিসাবে। পরবর্তী সময়ে বামপন্থীসহ কিছু রাজনৈতিক নেতার ইচ্ছা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ এই হিংসাত্মক রাজনীতির কবল থেকে মুক্ত হতে পারেনি। রাজ‍্যে শিল্প ও ব‍্যবসা-বাণিজ‍্যের প্রতিকুল পরিবেশে এই লুম্পেন রাজনীতির হাত ধরে বামপন্থী রাজত্বেই আসে কাটমানি বাণিজ্য – যা ২০১১ সালে পালা বদলের পর রাজ‍্যের বর্তমান শাসককুল প্রায় সব ধরনের বাণিজ‍্যিক আদান প্রদানে বাধ‍্যতামূলক করে দিয়েছেন! এ কাজের গণতন্ত্রীকরনের জন‍্য রাজ‍্যের আইনের রক্ষকদের এমনভাবে কাজে লাগানো হয় যে, তাদের বিরুদ্ধে শাসকদলের লিগ‍্যালাইজড্ গুন্ডাবাহিনীর মত আচরণের অবিযোগ বিস্তর।
এমতাবস্থায় রাজ‍্যের সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব রাজ‍্যপালের। তিনি যদি সেটিং তত্ত্বের ক্রীড়নক হয়ে পড়েন, তাহলে বলতে হয়, দেশে আইনের শাসন ও সংবিধানের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা হয়ে গেছে। তার দায় তখন রাজ‍্যপাল ও তিনি যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ‍্যে সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়েছেন – সেই সরকারের কুশীলবদের উপরেই বর্তায়। এখানে গত শতাব্দীর শেষপাদ থেকে কাশ্মীর রাজ‍্যের কথা মনে করিয়ে তার ফলাফল বিষয়ে সতর্কবার্তা দেওয়ার কথা মনে হল। অতয়েব, সাধু সাবধান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *