রাজ‍্যে কোভিডবিধি অবহেলাই অতিমারী বৃদ্ধির কারন

কোভিড-১৯ আবার পশ্চিমবঙ্গের উপর থাবা বসিয়েছে – এটাই সংবাদমাধ্যমগুলি তারস্বরে প্রচার করছে। যেটা তারা বলছে তা এতটাই অর্ধসত‍্য যে, তাদের বক্তব‍্যে এর কারন শুধু নয়, রোগের বর্তমান ভয়াবহতাটিও সঠিকভাবে প্রতিভাত হচ্ছেনা। আমরা অনেক আগেই সরকারকে সতর্ক করেছিলাম দূর্গাপুজোর আগে এবং পুজোর মধ‍্যে বাজার, দোকান, রেঁস্তোরায় ভিড় ও পুজোর মধ‍্যে ঠাকুর দেখার ব‍্যপারে সংযমী না হলে, রাজ‍্যে পুজো পরবর্তী অতিমারী পরিস্থিতি রাজ‍্যের আয়ত্বের বাইরে চলে যাবে। পরিসংখ্যান সেই বক্তব‍্যকেই সন্দেহাতীতভাবে সমর্থন করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সতর্কতামূলক চিঠি থেকেই তা পরিষ্কার। গত এক সপ্তাহে শুধু কোলকাতায় আক্রান্তের হার ২৭% বেড়েছে। এক্ষেত্রে শতকরা হিসেব ছাড়া শুধু সংখ‍্যা দিয়ে পরিস্থিতির সঠিক মূল‍্যায়ন করা যাবে না। কারন, পুজোর সময় থেকে রাজ‍্যে কোভিড পরীক্ষার সংখ‍্যা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে! ফলে, আক্রান্তের সংখ‍্যার বিচারে সংক্রমনের ভয়াবহতা ধরা পড়ছে ঙনা! শতকরা হিসেবে গত পনেরো দিনে রাজ‍্যে প্রায় ৩০% আক্রান্তের সংখ‍্যা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ‍্য-সচিব রাজেশভূষণ পশ্চিমবঙ্গের জন‍্য বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, গত একমাসে এই রাজ‍্যে ২০,৯৩৬ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছে এবং ৩৪৩ জনের এই সময়ে অতিমারীতে মৃত‍্যু হয়েছে। এই পরিসংখ্যান অত‍্যন্ত ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারন ইতিমধ‍্যে উৎসব মুডে রাজ‍্যসরকার কোভিড পরীক্ষার সংখ‍্যা অনেক কমিয়ে দিয়েছে।
যা সবচেয়ে খারাপ লাগে তা হল স্বাস্থ‍্য বিভাগের সচেতনতার অভাব – তা সে রাজনৈতিক বা অন‍্য কোন কারনে হোক না কেন। এই রাজ‍্যে শুধু কোভিড সংক্রান্ত কমিটি তৈরী হয়েছে – কিসের “অনুপ্রেরনায়” বা যুক্তিতে তা কেউ জানে না। এখানে গ‍্যাস্ট্রোএন্টারোলজিষ্ট, হার্ট সার্জেনরা সব বিশেষজ্ঞ কোভিড ম‍্যানেজমেন্টে; সঙ্গে সর্ব ঘটে কাঠালী কলার মত IAS রা ও আছেন। ফলে এই বিশেষজ্ঞ কমিটির কার্যকারিতা বিশেষ চোখে পড়ে না। এ রাজ‍্যের কোভিড রোগীদের ভরসা হাসপাতালের ফ্রন্টলাইন ডাক্তারবাবু আর সিস্টারদের ম‍্যানেজমেন্ট ও রোগীদের নিজস্ব ইমিউনিটি। আগে একাধিকবার সতর্ক করে বিভিন্ন লেখায় জানিয়েছিলাম যে, কোভিড-১৯এর কারন RNA ভাইরাস হওয়ায়, এই ভাইরাস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত জিন মিউটেশান করে। সেকারনে যে গবেষণার উপর ভিত্তি করে আজ তার প্রতিষেধক টীকা দেওয়া হচ্ছে, কাল সেই টীকা পরিবর্তিত ভ‍্যারিয়েন্টের ভাইরাসের জন‍্য কার্যকরী নাও হতে পারে। ডেল্টা প্লাস ভ‍্যারিয়েন্ট এখন এই রাজ‍্যে সর্বাধিক। এই ভ‍্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক,তা কোভ‍্যাক্সিন, কোভিশিল্ড, মডার্না বা ফাইজার – যা ই হোক না কেন, কতটা কার্যকরী – সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকেই। এই বক্তব‍্যই এখন প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। কোভিডে আক্রান্তের শতকরা কত ভাগের মৃত‍্যু হচ্ছে – সেই হিসেব থেকে সহজ পদ্ধতিতে কোভিড ম‍্যানেজমেন্টের দক্ষতার হিসেব পাওয়া যেতে পারে। কোমর্বিডিটি, মর্বিডিটি, প্রিডিজিস – এসব তথ‍্য আমার মতে data fudging মাত্র। ওয়ার্লডোমিটারের তথ‍্য অনুযায়ী, পৃথিবীতে কোভিডে আক্রান্তের মধ‍্যে ২.০২৯% এর মৃত‍্যু হয়েছে। ভারতে কিন্তু সেটা ১.৩৩%। আবার এখানে পশ্চিমবঙ্গের হিসেবে আক্রান্তের ২.০৩% এর মৃত‍্যু হয়েছে। এই তথ‍্য নিঃসন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের কোভিড ম‍্যানেজমেন্টের বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং স্বাস্ত‍্য দপ্তরের উৎকর্ষতা প্রমাণ করে না। আমাদের দায়িত্ব সরকারকে সচেতন করা, সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষদের সঠিক পথ দেখানো, কোন রাজনীতি করা নয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে একথা বলতে হচ্ছে যে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম রাজনৈতিক উদ্দেশ‍্যে পেইড মিডিয়ার মত আচরন করে রাজ‍্যের মানুষকে বিপদে ফেলছে। কিভাবে? বলছি।
প্রথমতঃ, রাজ‍্যে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আমরা বারবার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছি ; মূখ‍্যমন্ত্রী নিজে বর্ধিত নিরাপত্তার ব‍্যবস্থা ঘোষণা করেছেন। সবই ভালো। কিন্তু উৎসবের প্রাক্কালে এইসব সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের সংবাদ ও বিজ্ঞাপনের মাধ‍্যমে বিভিন্ন ছাড়, ফ‍্যশান,ও আরো প্রমোদ উপকরণ, রেষ্টুরেন্টের তত্ব-তালাশ – সঙ্গে আকর্ষনের জন‍্য বিভিন্ন বিজ্ঞাপন – সব মিলিয়ে যত রকমভাবে সম্ভব, মানুষের মধ‍্যে আকাঙ্খা ও চাহিদা তৈরী করা হল। এরা সংযমের বুলি আউরে মানুষকে রাস্তায় নামতে প্রলুব্ধ করল। সংবাদমাধ্যমগুলি বিজ্ঞাপন ও বিক্রির লোভে এ কাজে ইন্ধন যোগালো। ফলে, আমজনতার ঢল নামল – রাস্থাঘাট, যানবাহন, রেষ্টুরেন্ট শপিংমল, বাজার – সঙ্গে থুতনি-মাস্ক বা মাস্কবিহীন বিচরণ। সোশ‍্যাল ডিসট‍্যান্সিংয়ের বালাই নেই। সব ভিড়েভিরাক্কার। এদিকে উৎসবেয হাওয়া তুলে বিভিন্ন পুজোকমিটিগুলিকে ভিড় নিয়ন্ত্রনের আওতায় নিয়ে আসা হল। এতে লাভ ত হলই না, ক্ষতি হল সাংঘাতিক। আমার বাড়ি বিধাননগরের অন‍্যতম বড় একটি পুজোমন্ডপের ঠিক পাশে। পুজো শুরুর আগে হাইপ তোলার কায়দায় এই পুজোর থিম’, মন্ডপ-ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম,কোলকাতার সংবাদপত্র ও টিভি চ‍্যনেলগুলি রিপোর্টিং শুরু করল। এমন অনেক পুজোয় এভাবে ঠাকুর দর্শনের ক্রেজ তৈরী করা হল! দূর্গাপুজোর প্রথমদিকেই বেশ কিছু তথাকথিত বড় পুরস্কারের (বিশ্ববাংলা সহ) বণ‍্যায় এই পুজো ভাসল! পঞ্চমী থেকে দুরে দাঁড়িয়ে ঠাকুর ও মন্ডপ দর্শন করে বেড়িয়ে যাবার রাস্তায় হরেক খাবার ও আইসক্রিম, ফুচকার দোকানের সামনে প্রতিদিন সন্ধে থেকে লক্ষাধিক মানুষের আনাগোনা। শতাধিক গাড়ি, অটোরিক্সা, রিক্সা, মোটরসাইকেল – বিনা ঠেলাঠেলিতে মানুষের হেঁটে যাওয়ার পথ বন্ধ। এদিকে সংবাদমাধ‍্যম ঠাকুরের আর্ট (!) ও তার গুণকীর্তনে ব‍্যস্ত! এই সময় অল্পসংখ‍্যক মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও এই ভিড়ে তা কতটা কার্যকরী তাতে সন্দেহ আছে। অন্ততঃ অর্ধেক দর্শনার্থীর মাস্কের বালাই নেই, থুতনি-মাস্কের কথা আর বললাম না! এছাড়া খাওয়া দাওয়া, ফটো ও সেলফি তোলার সময় মাস্ক ত কোন ছার, হাত স‍্যনিটাইজেশানের কোন ব‍্যপার নেই। শুধু একটি বড় পুজো – তাও বিধাননগরের – তার হিসেবই এই – ত কোলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে কি হয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে। এর ফল এখন ফলতে শুরু করেছে। সংবাদমাধ‍্যভগুলি নিজেদের অর্থনৈতিক মুনাফার স্বার্থে একাজ করেছে,এতে সন্দেহ নেই। এই ধরনের প্রচারকে সরকারের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা উচিৎ ছিল। দেখা যাক, সামনে দীপাবলী, ভাইফোঁটা, ছটপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো (বিশেষতঃ চন্দননগর ও নদীয়ায়) এই সময় সরকার কিভাবে সামলায়।
এবার বলি, অনেকে এক বা দুটি টীকা নিয়েই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে তাঁদের আর কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা নেই, তাঁরা যতই প্রোটোকল অমান‍্য করুন, তাঁদের আর কোভিড কিছু করতে পারবে না! অনেক শিক্ষিত মানুষের মধ‍্যেও এই বিশ্বাস জন্মেছে! তাঁরা ঠিকমত মাস্ক ব‍্যবহার করছেন না।, রাস্তায় ধূমপান থেকে থুতু ফেলা – সবই চালিয়ে যাচ্ছেন। এরা যদি অ‍্যাসিমটোম‍্যাটিক পজিটিভ হন, তবে তার ফল মারাত্মক। আমাদের স্কুল অফ ট্রপিক‍্যাল মেডিসিনের পিএইচডির ছাত্র, আমার ভ্রাতৃসম একটি ছেলে এবং তার স্ত্রীযাদের গত মার্চ মাসে টীকাকরনের দ্বিতীয় ডোজ হয়ে গিয়েছে, উভয়েরই অতি সম্প্রতি কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট হয়েছে। অন‍্য একটি ঘটনা – এক অবসরপ্রাপ্ত ব‍্যঙ্ক অফিসারের স্ত্রী – বরিষ্ট নাগরিক – গত মার্চেই টীকার দ্বিতীয় ডোজ নেন, পুজোর আগেই কোভিডে আক্রান্ত হন এবং পুজোর পর তাঁর মৃত‍্যু হয়। এখন এমন অনেক উদাহরণ আসছে যাদের দ্বিতীয় ডোজ টীকাকরন শেষ হওয়ার পরেও তাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন! আসলে এটাই স্বাভাবিক। ‘সুখবর’ কাগজে আগেও লিখেছি যে টীকাকরনের ফলে যে ইমিউনিটি তৈরী হয়, তা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কার্যকরী থাকে। এই সময়টাও নির্ভর করে আমাদের দেহের ব‍্যক্তিগত ইমিউনিটি ও সাইটোকাইন মুভমেন্টের কার্যক্ষমতার উপর। ব‍্যক্তিবিশেষে তা ভিন্ন ভিন্ন হতেই পারে। এছাড়া, changed gene mutationএর কথা আগেই বলেছি। সুতরাং টীকাকরন প্রক্রিয়ার মাধ‍্যমে কোভিডের বিরুদ্ধে একটা স্তর অতিক্রম করা মাত্র – তার বেশী কিছু নয়।
এদিকে এই মূহুর্তে রাজ‍্যের অর্থনীতি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে সেখানে লকডাউনের মত বড় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়। আবার যার দোষেই হোকনা কেন, সরকারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খোলার ব‍্যপারে অনেক আগেই যত্নবান হওয়া উচিৎ ছিল। পরীক্ষার নামে গত বছর যা হয়েছে তাকে বোধহয় ধ‍্যাষ্টামো বললেও কম বলা হয়। ফলশ্রুতি – একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান চাকরীর বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছে যে ২০২০সালে পাশ করা কোন ছাত্র যাতে আবেদন না করে! আইনত সরকার কিছুই করতে পারেনা। আসলে ভুল সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষা-প্রক্রিয়ার উপরেই মানুষের বিশ্বাস টলে গেছে। যদি সিদ্ধান্ত নেওয়া মানুষদের বাধ‍্য করা যেত যে, ২০২০তে পাশ করা ডাক্তারদের দিয়েই তাদের চিকিৎসা করাতে হবে ;আর তাদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষার জন‍্য শুধু ২০২০র পাশ করাদের নিয়োগ করতে হবে – তাহলে এই অবিমৃষ‍্যকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া মানুষদের উপযুক্ত শিক্ষা হত! ভাবা যায়, পদার্থবিদ‍্যা, রসায়ন, জৈববিজ্ঞান, শারীরবিদ‍্যার মত ল‍্যাবোরেটরী নির্ভর বিষয়ে কোন ল‍্যাবোরেটরী ওয়ার্ক ছাড়াই ডিগ্রি দেওয়া হল! ডাক্তারী ডিগ্রিও অনলাইনের ক্লাশ করে পাওয়া গেলে ব‍্যপারটা ডিসট‍্যান্স এডুকেশানের মত হল না?
এই কারনে ইউরোপ ও আমেরিকায় শুধু উচ্চশিক্ষা ও টেকনিক‍্যাল শিক্ষাই নয়, সাপ্লাই লাইন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন‍্য কিন্ডারগার্টেন থেকে সমস্ত স্কুলশিক্ষাও খুলে দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই। এখানকার মত ‘ডিগ্রি বিলানো’ হয়নি। আমার এক নাতনি আমেরিকাতে স্কুলে পড়ে – ফার্স্ট স্ট‍্যন্ডার্ড।সেখানে অনেকদিন আগে থেকেই শিশুদের পুরোদমে ক্লাশ চলছে। সেখানকার শিশুদেরও ভ‍্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়নি। তাহলে? আসলে পুরো জিনিষটাই মানসিকতা। আমাদের রাজনৈতিক নেতা থেকে প্রশাসক এমনকি জআমজনতা পর্যন্ত চেষ্টা করছে – এলোমেলো করে দে মা লুঠেপুটে খাই। পাওয়ার উইদাউট রেস্পন্সিবিলিটি আমাদের প্রশাসনকে এমন করে তুলেছে।
এখানেই আমাদের খামতি আর ঐসব দেশের সার্থকতা। আমাদের মত ধাপ্পাবাজীর লোকদেখানো স‍্যানিটেশান আর মাস্ক, সেইসঙ্গে সোশ্যাল ডিস্ট‍্যান্সিংয়ের নামে ধ‍্যাষ্টামো সেখানে নেই। প্রথমদিকে ঐসব দেশের অনেক মানুষ সঠিকভাবে প্রোটোকল না মানায় যথেষ্ট ভুগেছে। তারা সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েছে। কিন্তু আমরা ঠেকেও শিখিনি। তার ফল ভুগছি। গত এক মাসে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের তুলনায় মৃতের শতকরা হিসেব ৩% এর উপর। এটি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে অসৎ ও লোভী সংবাদমাধ্যম দ্বারা প্ররোচিত আমজনতার উৎকট উল্লাসের চাহিদা। এক্ষেত্রে সরকারের যা করণীয় তা হল লকডাউনের রাস্তায় না হেঁটে শক্ত হাতে মানুষকে কোভিড প্রোটোকল মানতে বাধ‍্য করানো। অসামাজিক ও অসংযত আচরণ করে মানুষ সরকারের উপর অতিমারীর সংক্রমণ বৃদ্ধির দায় চাপাতে পারে না। নতুন করে শুরু করতে যাওয়া লোকাল ট্রেণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে কোভিড প্রটোকল কঠোরভাবে মানানো আশু প্রয়োজন। রাস্তাঘাট ও বাণিজ‍্যিক প্রতিষ্ঠানগুলিতেও কোভিড প্রটোকল মানানো জরুরী। শুধু এভাবেই আমরা এই রাজ‍্যে তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব রুখে দিতে সক্ষম হব। সেক্ষেত্রে সমাজের সব স্তরের মানুষের সহযোগীতা ও সরকারের তরফে শক্ত নজরদারী প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *