হীরক রাণীর দেশে

বেশ কয়েক বছর আগে নিউ জার্সিতে এক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রে যোগদান করতে গিয়ে এক ডাক্তার-বিজ্ঞানীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। ভদ্রলোকের সাথে কথোপকথনের সময় উনি একটি কথা বলেছিলেন – ভগবান যাকে ধ্বংস করা মনস্থ করেন, তাকে প্রথমে পাগল করে দেন! সেই কথা আমার এখন মনে পড়ল – সৌজন‍্যে পশ্চিমবঙ্গের স্বঘোষিত অধিশ্বরীর কার্যকলাপ!
আমরা জানি, ভিতরে ভিতরে মন দেওয়া নেওয়া হয়। এখন জেনেছি ভিতরে ভিতরে খাটের তলায়, ফ্ল‍্যাটের মধ‍্যে টাকার পাহাড় থাকে! এর কারন বোধহয় গোপন ব‍্যবসা! কিন্তু ভিতরে ভিতরে কিভাবে শিল্প হয়- তা ভেবে ভেবে মাথার একশ গাছি চুল ছিঁড়ে ফেলেও কোন উত্তর পেলাম না!
উনি নাকি ত্রিশ হাজার ছেলেমেয়েকে চাকরি দেবেন! নিয়োগ পত্র দেওয়া হল, বেসরকারী শিল্পের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষানবিশের! তাও যে কোম্পানির অধীনে, তারা জানালো তাদের লেটার হেড ব‍্যবহার করে এই কাজ করা হয়েছে। তারা এ ব‍্যপারে বিন্দু বিসর্গ জানে না। তারপর তিনি চুপ! বেকারদের তিনি অনেক পরামর্শ দেন – অনেকটা শিবরাম চক্রবর্তীর কৃষি পত্রিকার সম্পাদকীয় লেখার মত! তাঁর শেষ নিদান, পুজোর সময় চা,ঝালমুড়ি, ঘুগনি বিক্রির!
আসলে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতির দায় অপ্রত‍্যক্ষভাবে রাজ‍্যের অধিবাসীদের (পড়ুন ভোটার)। জনসাধারণ ভোট দেওয়ার আগে প্রার্থীদের রাজ‍্য ও প্রশাসন পরিচালনায় যোগ‍্যতা এবং ক্ষমতা বিচার না করে – অর্থাৎ মস্তিষ্ক প্রয়োগ না করে, শুধু হৃদয়ের তাড়নায় ভোট দিয়েছেন। সেজন‍্য তাঁরা এমন শাসক পেয়েছেন। আমাদের দেশের রাজনীতিকদের কার্যকরী প্রাতিষ্ঠানিক যোগ‍্যতার অভাবে তারা ক্ষমতায় থাকার সময় অনেক ক্ষেত্রেই তাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার উৎকট বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ভোটে জিতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেই স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের মত যা খুশী তা বলার এবং করার অধিকার জন্মায় না। সংবিধান মেনে আইন ও ঐতিহ্যকে সম্মান করে শাসন ব‍্যবস্থা চালাতে হবে – এই সাধারন সীমাবদ্ধতার কথা মনে হয় এই রাজ‍্যের শাসকদের অজানা!
প্রথমে বলি, গত কয়েকটি সাধারন নির্বাচনের সময় তৃণমূল দলের সুপ্রিমো বলতেন যে, জনগণ যেন মনে করেন, রাজ‍্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের সবকটিতেই তিনিই প্রার্থী – এই বিবেচনায় যেন মানুষ তাঁকে ভোট দেন! অর্থাৎ রাজ‍্যে তিনি একটিই পোষ্ট, বাকী সব ল‍্যাম্পপোষ্ট! তাই, এখন যখন রাজ‍্যের মন্ত্রী, পার্টির জেলা সভাপতি, অন‍্য নির্বিচিত নেতারা দুর্ণীতি ও নানাবিধ অসততার দায়ে ধরা পড়ে হাজতে যাচ্ছেন – তার দায়ও নিঃসন্দেহে দলের সুপ্রিমোকেই নিতে হবে – অন্ততঃ সহজ যুক্তি তাই বলে। নৈতিকভাবে তিনি সে দায় অস্বীকার করেন কিভাবে? তাঁর আরেকটি বড় সমস‍্যা হল, তাঁর কথাবার্তায় একজন megalomaniac রোগীর প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। এই রোগের লক্ষণ, বেশী কথা বলা এবং সেই কথায় তাঁর অহংভাব ফুটে ওঠা। আমি ব‍্যক্তিগতভাবে মনে করি, তাঁর অনেকগুণ থাকলেও তিনি সেসব নিয়ে কিছু না বলে, যে সব সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান নেই বা সীমিত – সেসব সম্পর্কে জনসমক্ষে জ্ঞান জাহির করতে গিয়ে বাহবা নেওয়ার বদলে হাস‍্যাষ্পদ হন। বহু উদাহরণ দেওয়া যায় – সরস্বতী-বন্দনার মন্ত্র সর্বসমক্ষে বলতে গিয়ে বললেন “কুচোসিত ভুইতো মুক্তা হারে, বিনা পুস্তক রঞ্জিত হস্তে”! অথচ আসল মন্ত্র হল, “কুচযুগ শোভিত মুক্তাহারে, বীণা রঞ্জিত পুস্তক হস্তে”। আবার, ওনার অন‍্যতম প্রিয়পাত্র বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতি – যিনি কথায় কথায় পুলিশকে বোম মারতে বলতেন; বিরোধীদলের মহিলাদের অব্দি গাঁজা কেসে ফাঁসানোর নিদান দিতেন ( নিজেই এখন নানাবিধ দুর্ণীতির দায়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশ ও তত্বাবধানে চলা মামলায় ধরা পড়ে জেলে) – সম্পর্কে স্নেহের সুরে বললেন, ” ওর মাথায় অক্সিজেন কম যায়”! উনি ডাক্তারীর কিছু না জানলেও ওঁর কাছের ডাক্তাররা কেউ কি ওঁকে বলতে পারেননি যে, অক্সিজেন মাথায় নয়, লাংয়ে যায়, যার একাংশ রক্তদ্বারা বাহিত হয়ে ব্রেনে অর্থাৎ মাথায় পৌঁছায়। এর সাপ্লাই কমে গেলে ব্রেন স্ট্রোক হয়ে যাবে। তাছাড়া, ওনার বিভিন্ন ভাষায় কথা বলা নিয়ে এমনকি ওঁর নিজের দলের লোকজন পর্যন্ত হাসাহাসি করেন। ভদ্রমহিলার megalomaniac চরিত্রের পরিচয় আমরা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই পেয়েছি। ১৯৮৪ সালে উনি যখন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রথম সংসদীয় ভোটে দাড়ালেন, তখন হটাৎ নামের আগে ডঃ (পিএইচ ডি ডিগ্রীধারী) লেখাশুরু করলেন। দেখা গেল, উনি নাকি আমেরিকার অস্তিত্বহীণ বিশ্ববিদ্যালয় (!) ইস্ট জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এই ডিগ্রি পেয়েছেন! কিছুদিন আগে উনি বলেন যে, তিনি একসঙ্গে আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট, পোষ্টগ্র‍্যাজুয়েট ও ল ডিগ্রি করেছেন! অন‍্য রাজনীতিকদের সম্পর্কে ওনার বাক‍্য চয়নেও ওনার পরিচয় মেলে। একবার লোকসভা নির্বাচনের আগে উনি বললেন, নির্বাচনের পর উনি নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শৃঙ্খলিত করে টেনে আনবেন! উনি প্রধানমন্ত্রী সম্বন্ধে তুই-তোকারি পর্যন্ত করেছেন! এগুলো সবই megalomaniac চরিত্রের প্রমাণ। আবার, অন‍্যান‍্য বহু আচরণে তাঁর মধ‍্যে অস্বাভাবিকতা দেখা যায় না।
এবার সংবিধান স্বীকৃত ক্ষমতার বিষয়ে কিছু আলোকপাত করা যাক। সরকারী প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলতে পারি, কোন মন্ত্রী, এমনকি মূখ‍্যমন্ত্রীর পর্যন্ত সরকারী কোষাগার থেকে অর্থ বিতরণের ক্ষমতা নেই। এই ক্ষমতা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানের – সচিব, প্রধান সচিব, অতিরিক্ত মূখ‍্য সচিব ইত‍্যাদির উপর ন‍্যস্ত। বিভাগের নীতি নির্ধারণ ক্ষমতা বিভাগীয় মন্ত্রীদের। তবে তাদের সিদ্ধান্ত মন্ত্রীমন্ডলীর বৈঠকে গৃহীত হবার পরই তা কার্যকর হয়। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মূখ‍্যমন্ত্রী। আমার ব‍্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এখন যাঁরা মূখ‍্য সচিব ও অর্থ সচিব, তাঁরা মৃদুভাষী, সুভদ্র অফিসার। কিন্তু তাঁরা DA মামলায় যদি আদালত অবমাননার দায়ে পড়েন, তাঁদের হাজতবাসের মত কড়া শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে। তখন আইনী প্রক্রিয়ার মধ‍্যে মূখ‍্যমন্ত্রী কোন ভাবেই পড়বেন না। অথচ এই রাজ‍্যের মূখ‍্যমন্ত্রী প্রশাসনিক ঘোষণা এমনভাবে করেন – এটা করলাম, ওটা দিলাম গোছের – সবেতেই ‘আমিত্ব’ ফুটে ওঠে! এগুলো যতদূর জানি, মন্ত্রীসভার যৌথ সিদ্ধান্ত, যা কার্যকর করার দায়িত্ব মূখ‍্য সচিবের তত্বাবধানে বিভাগীয় সচিবদের। সেজন‍্য প্রশাসনিক গাফিলতির দায় সচিবদের উপর বর্তালেও তা কখনো মন্ত্রী বা মূখ‍্যমন্ত্রীর উপর আসে না। রাজনৈতিক নেতারা যখন গ্রেপ্তার হন, এসব কারনে নয়, একমাত্র দূর্ণীতি করে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীণ সম্পত্তি করার জন‍্য – আর এভাবেই থলে থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ে। সাধারন মানুষের কাছে বাহবা নেওয়ার জন‍্য আত্মম্ভরী ঘোষণায় অসুবিধার জায়গাগুলো এবার আস্তে আস্তে প্রকাশ পাচ্ছে। রাজ‍্য সরকারের বকেয়া DA না দেওয়া, যা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে – সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত – তার দায় সম্পূর্ণভাবে মূখ‍্য সচিব ও অর্থ সচিবের। মূখ‍্যমন্ত্রীর এখানে কোন দায় নেই। কিন্তু অনাবশ‍্যক আত্মম্ভরীতার কারনে রাজ‍্য সরকারের সমস্ত ব‍্যর্থতার দায় তাঁর ঘাড়েই চাপছে।
এখানে ১৯৮৯ সালে রুমানিয়ার একটি ঘটনার কথা মনে পড়ল। সে দেশের নির্বাচনে রুমানিয়ার কম‍্যুনিস্ট ডিক্টেটর Nicolae Ceausescu ৯৯.৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। তখন অস্বাভাবিক মূল‍্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের কারনে যে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হল, তা ভাঙ্গতে সরকার দমন-পীড়ন ও হত‍্যার যে চিরাচরিত পন্থা অবলম্বন করল, তাতে বিক্ষোভের আগুন প্রবলতর রূপ নিল। Ceausescuর ২৪ বছরের অপশাসনের পরিসমাপ্তি হল ঐ বছরের ২২শে ডিসেম্বর আর সস্ত্রীক Ceausescu ২৫শে ডিসেম্বর ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রাণ দিলেন। তিন মাস আগে তিনি দেশের সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন! এই Ceausescu এবং তাঁর স্ত্রী Elena Ceausescu তাঁদের আত্মম্ভরী ও উদ্ধত স্বভাবের জন‍্য পরিচিত ছিলেন। তাঁদের প্রচার, বিশেষতঃ বাইরের দেশে এমন ছিল যেন Ceausescu আধুনিক রুমানিয়ার রূপকার – উন্নয়ণের জোয়ারে তিনি রুমানিয়াকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছেন! তাঁর পতনের সঙ্গে সঙ্গে এই মিথ‍্যার ফানুষ ফেটে গিয়েছিল।সুতরাং, নির্বাচনে জিতে যেমন যা খুশী তা করা যায় না; তেমনি নির্বাচনে বেশী ভোটে জেতা কোন শাশ্বত জনপ্রিয়তার নির্ণায়ক নয়। এই সহজ কথাটা স্মরণ রাখলে রাজ‍্যবাসীর মঙ্গল। রাজনীতির মঞ্চে আজকের নবাব আগামীকালের ফকির।
আমরা যারা তৃণমূল সুপ্রিমোর রাজনীতি শুরু থেকে দেখে আসছি, তারা তাঁর অতিনাটুকেপনা দেখতে অভ‍্যস্ত। যেমন, তিনি যখন কংগ্রেসে সোমেন মিত্রদের দ্বারা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কোণঠাসা অবস্থায়, তখন একদিন প্রকাশ‍্যে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ফাঁসের অভিনয় করেছিলেন। আরেকবার ব্রিগেডের জনসভায় বিরাট এক রেডিমেড ঘন্টা বাজিয়ে বামফ্রন্টের বিদায় ঘন্টা বাজিয়েছিলেন! তিনি সর্বদা একদল চাটুকার সাংবাদিক ‘সেট’ করে রাখেন যারা সবেতেই “কেয়াবাৎ কেয়াবাৎ” বলে বাহবা দেন। এই মেলোড্রামা বহু বছরের পুনঃ পুনঃ ব‍্যবহারে দীর্ণ। ফলে, গত বিধানসভা ভোটের সময় যখন তিনি নন্দীগ্রামে অজ্ঞাত (!) শত্রুর আক্রমণে (!) পা ভাঙ্গার কথা বলে পুরো নির্বাচন পর্বে হুইল চেয়ার অভিযান করলেন, তখনও তিনি নন্দীগ্রামে নির্বাচনী পরাজয় এড়াতে পারলেন না।
তবে আমি বরাবর তাঁর রাজনৈতিক বোধকে শ্রদ্ধা করি। উনি যথার্থই বুঝতে পারছেন, “একেএকে নিভিছে দেউটি”র মত তাঁর বিশ্বস্ত অনুচর, মন্ত্রী-সান্ত্রীরা, যারা কিছুদিন আগে পর্যন্ত ঔদ্ধত্বে দলের সুপ্রিমোকেও টেক্কা দিত – তারা এখন জেলের ভাত খেতে অভ‍্যস্ত হচ্ছে। অনেক আগে একটি বৈদ‍্যুতিন চ‍্যানেলে আমি বলেছিলাম, পার্থ চট্টোপাধ‍্যায়ের মনোভাবের প্রতিফলন হয়েছে রাজ‍্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের কর্মদক্ষতায়! তখন পার্থবাবু শিক্ষামন্ত্রী – তিনি বলেছিলেন, শিক্ষকদের তিনি মাইনে দেন, তাই শিক্ষকরা তাঁর চাকর! এই লোকটির আমলে বিধানসভায় বেআইনীভাবে বিল পাশ করিয়ে আচার্য তথা রাজ‍্যপালকে বাদ দিয়ে দলদাস উপাচার্য নিয়োগ প্রথা চালু হয়! উচ্চ আদালতের নির্দেশে এইভাবে নিযুক্ত দলদাস এক বিশ্ববিদ‍্যালয়ের উপাচার্যর নিয়োগ বাতিল হয়। এই উপাচার্য, যার অধ‍্যাপক হওয়ার নূন‍্যতম যোগ‍্যতা ছিল না, তিনি তার নিয়োগ কর্তাকে তৈল মর্দনের নতুন রেকর্ড করেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান কর্ণধারকে সাম্মাণিক ডি লিট দিয়েছেন! এই কর্ণধার এমনই বিদ্বান যে মুক্ত সভায় দাবী করেন, পশ্চিমবঙ্গে তিনি নাকি পাঁচশটি IIT তৈরী করে দিয়েছেন! অবশ‍্য রেকর্ড অনুযায়ী সারা দেশে তার পাঁচ শতাংশ IIT নেই! আমার অনুমান, উনি ITI এর সঙ্গে IITকে গুলিয়ে ফেলেছেন। কোন কিছু যদি না জানা থাকে তাতে সমস‍্যা হয় না; কিন্তু কেউ যদি না জানেন যে তিনি জানেন না, তবে তা বিপদের!
পরিশেষে বলি, তিনি এখনো “দুধেল গাই” তত্ত্ব প্রয়োগে মগ্ন। দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনায় তিনি ও তাঁর দল বলিষ্ট প্রতিবাদ করেন। হাতরাসের ঘটনায় চারজন হিন্দুকে গ্রেপ্তার করা হল যেখানে নির্যাতিতা একজন ইসলামী মহিলা – তিনি ডেরেকের নেতৃত্বে দলের পুরো টিমকে পাঠালেন। নিজে বারবার একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে নিশানা করলেন! তাঁর বশংবদ অর্ধশিক্ষিত “বুদ্ধিজীবী” সম্প্রদায় দম দেওয়া পুতুলের মত খুব লাফালাফি করল! তারপর যখন লখিমপুর খেরীর ঘটনা ঘটল, যেখানে একজন হিন্দু মহিলার উপর চরম পাশবিক অত‍্যাচারের কারনে ছ জন ইসলামী দুষ্কৃতি গ্রেপ্তার হল, তখন তিনি লোক পাঠানো দূরের কথা, এই ঘটনার উল্লেখ পর্যন্ত করলেন না। তাঁর পোষা “বুদ্ধিজীবী”রা শীত ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে রইলেন! এভাবে তিনি কিছু জেহাদীর সমর্থন পেলেও সাধারন ইসলামীদের সমর্থন হারাবেন। দুষ্কৃতি সর্বদা দুষ্কৃতি। নির্যাতিতাও সর্বদা নির্যাতিতা। এভাবে ধর্মের সুড়সুড়ি দেওয়া রাজনীতি বাঙ্গালী পরিত‍্যাগ করবেই। অনেক রাজনৈতিক গুণের অধিকারী হয়েও ধান্দার রাজনীতি, দুর্ণীতিকে প্রশ্রয়, ও জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে নিতে এক সময় তিনি রাজনীতি থেকেই হারিয়ে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *